লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত -লো প্রেসার এর লক্ষণ

হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় জানতে এখানে চাপ দিনআপনি কি লো প্রেসারে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ? তাহলে জেনে নিন লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত -লো প্রেসার এর লক্ষণ গুলো। কারণ আজকের এই আর্টিকেলটি আলোচনা করা হয়েছে এ সকল বিষয় নিয়েই। এছাড়া আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আরো জানবেন লো প্রেসার হলে করণীয় কি। তাই অবশ্যই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন শেষ পর্যন্ত।
multiplebdলো- প্রেসার- হলে- কি -খাবার- খাওয়া- উচিত -লো -প্রেসার -এর- লক্ষণ
লো প্রেসার হলে সঠিক খাবার খাওয়া হলে অনেকটাই কমতে পারে লো প্রেসার। আবার অনেকেই জানিনা এই লক্ষণগুলো। লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত -লো প্রেসার এর লক্ষণ আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। 

সূচিপত্র 

বর্তমান সময়ে আমরা অনেক মানুষই লো প্রেসার জনিত সমস্যার শিকার। আবার অনেকেই বুঝে না যে লো প্রেসার হয়েছে কিনা। তাই এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জেনে যাবেন লো প্রেসারের লক্ষণসমূহ থেকে শুরু করে লো প্রেসার হলে কি করণীয় সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। তাই অবশ্যই আপনার উপকৃত এ সকল তথ্যগুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

লো ব্লাড প্রেসার কি

লো ব্লাড প্রেসার কি এটা অনেকের অজানা। আপনি যদি এ বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তা নেই কারণ এখন আমরা জানাবো লো ব্লাড প্রেসার কি। আমাদের দেহে যে একটা স্বাভাবিক রক্তচাপ থাকে সেই রক্তচাপ যখন কমে যায় তখন তাকে বলা হয় লো ব্লাড প্রেসার। আমাদের দেহের স্বাভাবিক রক্তচাপের মাত্রা হচ্ছে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি।

কিন্তু এই রক্তচাপ যখন ৯০/৬০ মিলিমিটার মার্কারি থেকে নিচে চলে আসে তখন তাকে বলা হয় লো ব্লাড প্রেসার। মানুষের শরীরে হঠাৎ করে লো প্রেসার হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন কারো শরীরে যদি হঠাৎ করে লো প্রেসার হয় তাহলে এক্ষেত্রে তার কিডনি মস্তিষ্ক এবং হৃদপিণ্ড সঠিকভাবে রক্তকে পরিবাহিত করতে পারেনা।

যে করে দেয় সঠিকভাবে রক্ত প্রবৃদ্ধ না হওয়ার জন্য রোগী নানা রকম শারীরিক সমস্যায় হবে। কোন ব্যক্তির লো ব্লাড প্রেসার যদি মাঝে মাঝে হয় তাহলে এই ক্ষেত্রে পর্যায় এক সময়ে অকালে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অবহেলার না করে লো ব্লাড প্রেসার হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত -লো প্রেসার এর লক্ষণ জানতে আর্টিকেলটির নিচের দিকে পড়তে থাকুন।

লো প্রেসার এর লক্ষণ

প্রেসার লো হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যেগুলো হলে বুঝতে হবে যে আপনার প্রেসার লো হয়ে গেছে । আমরা অনেকে আছি যারা লো প্রেসার হলেও বুঝতে পারিনা যে আমাদের লো প্রেসার হয়েছে কিনা। তাই আর্টিকেলের এই অংশটি পড়লে আপনি বুঝে যাবেন লো প্রেসার এর লক্ষণ কোনগুলো। চলুন তাহলে জেনে নিন লো প্রেসার এর লক্ষণগুলো।
  • চোখে ঝাপসা দেখাঃ স্বাভাবিকভাবেই শরীরের যখন রক্ত চলাচল কম হয়ে যায় তখন এক্ষেত্রে শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গে ভালোভাবে পৌঁছাতে পারে না অক্সিজেন ও পুষ্টি। আর যার প্রভাব পড়ে চোখের উপর। এতে করে চোখে ঝাপসা অনুভূত হয়। আপনি যদি চোখে ঝাপসা দেখেন হঠাৎ করে তাহলে বুঝতে হবে আপনার লো প্রেসার হয়েছে।
  • মাথা ঘোরাঃ নিম্ন রক্তচাপ অথবা লো ব্লাড প্রেসার আমরা যেটাই বলি না কেন এর একটি অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে মাথা ঘোরা। বিশেষ করে যখন আপনি অনেক সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকেন এবং তারপর যদি বসেন অথবা অনেক সময় ধরে বসে থেকে তারপর যদি দাঁড়ানো হয় তাহলে এ সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি এরকম সমস্যা হতে থাকে তাহলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিন।
  • ঘাম হয়ঃ শরীরে যদি রক্তচাপ কম হয়ে যায় তাহলে এক্ষেত্রে প্রচুর ঘাম হতে পারে। শরীরে থাকা পানিগুলো ঘামের মাধ্যমে বের হতে থাকে। আপনার যদি এরকম সমস্যা হয় তাহলে দেরী না করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যান।
  • মূর্ছা যাওয়াঃ স্বাভাবিকভাবে যখন মস্তিষ্কের ভিতর রক্ত চলাচল কম হয় তখন রক্তচাপ হওয়ার কারণ এর ফলে রোগীদের মূর্ছাভাব হয়। লো ব্লাড প্রেসারের এটা একটি লক্ষণ।
  • ম্লান ত্বকঃ লো ব্লাড প্রেসারের যতগুলো লক্ষণ আছে তার ভিতরে একটি হচ্ছে ম্লান ত্বক। রক্তচাপ যখন কম হয়ে যায় তখন তাকে ম্লান অথবা হলুদ হয়।
  • বুক ধরফর করাঃ বুক ধরফর করা হচ্ছে লো ব্লাড প্রেসারের একটি লক্ষণ। কারো যদি লো ব্লাড প্রেসার হয় তাহলে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরে হৃদপিণ্ড তে। এক্ষেত্রে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হয়। এবং বুকে ধরফর করতে থাকে।
  • শরীর দুর্বল হওয়াঃ প্রেসার লো হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। প্রায় সব সময় মাথাতে ঝিমঝিম ভাব অনুভূত হয়। চোখে হঠাৎ করে আচ্ছা দেখা শরীর দুর্বলসহ মাথা ঘোরা ভাব হয়।

লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

লো প্রেসার হলে আমাদের খাবারের ক্ষেত্রে সচেতনত থাকতে হবে আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত -লো প্রেসার এর লক্ষণ। আর্টিকেলটি পরে আমরা এতক্ষন তো যার নাম লোক প্রেসার হলে লক্ষণগুলো। চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে আসি লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত।

  • স্যালাইনঃ লো প্রেসার হলে অবশ্যই বেশি বেশি করে স্যালাইন খাওয়া খুব জরুরী। হঠাৎ করে যদি আপনার লো প্রেসার হয় তাহলে এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব স্যালাইন খাওয়া ভালো । কারণ লো প্রেসার হলে শরীর থেকে অনেক পানি ঘামের মাধ্যমে বের হয় এক্ষেত্রে স্যালাইন খাওয়া আপনার জন্য বেশ উপকারী।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়াঃ আপনি যদি হঠাৎ করেই লো প্রেসারে আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে আপনার শরীরে অধিক পরিমাণ পানির ঘাটতি হয়েছে। এই সময় আপনার তরল খাবার এবং পানি খেতে হবে। কারণ যখন শরীরে পারমিশূন্যত হয় তখন রক্তের ঘনত্ব অনেক কমে যায়। আর যে কারণে রক্তচাপ কমে। তাই এ সময়ে স্বাভাবিক রক্তচাপ তৈরির জন্য বেশি করে তরল জাতীয় খাবার খান যেমন- ফলের রস,ডাবের পানি ইত্যাদি।
  • টক ফলঃ আপনি যদি লো প্রেসার সমস্যার স্বীকার হন তাহলে এক্ষেত্রে আপনি টক ফল খেতে পারেন। টপ ফলে আছে অতি পরিমান ভিটামিন সি। এছাড়াও আছে মিনারেল তাই এগুলো খাওয়া হলে তা আপনার লো প্রেসার কমাতে সাহায্য করবে।
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে এমন খাবারঃ যেসব খাবার খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয় এমন খাবার খেলে আপনার লো ব্লাড প্রেসার কমবে। এছাড়াও এ সময় আপনি খেতে পারেন জলপাই, টক আঙ্গুর, আমলকি, তেতুল, এবং কাঁচা আম সহ ইত্যাদি সব ফল। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
  • লবণঃ লো প্রেসারে কি খাওয়া উচিত এ তালিকায় একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকারী ভূমিকা পালন করে লবণ। কারণ হচ্ছে সোডিয়াম ক্লোরাইড এর অন্যতম একটি উৎস। আর এই সোডিয়াম রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে। তবে এক্ষেত্রে শুধু লবণের সাথে পানি গুলিয়ে খেলেই হবে না বরং আপনাকে এর সঙ্গে দুই এক চামচ চিনি মিশিয়ে খেতে হবে।
  • বিটরুট এর জুসঃ আপনার যদি লো ব্লাড প্রেসার হয় তাহলে আপনি বিটরুট জুস পান করুন। কারণ বিটরুটের জুসে রয়েছে অনেক পরিমাণ সোডিয়াম যা আপনার লো ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করবে।
  • স্যুপঃ ডাল, চিকেন, সবজি, বিট অথবা যেকোনো ধরনের স্যুপে সোডিয়াম এর মাত্রা অনেক হারে থাকে। সুপে থাকে অনেক মাত্রই সোডিয়াম যে আপনার নিম্ন রক্তচাপ করা হচ্ছে সাহায্য করবে। আপনি এর ভিতরে বিভিন্ন ধরনের সস ব্যবহার করতে পারেন যেমন - সয়াসস বা টমেটো সস ইত্যাদি। এর কারণ হলো সসে আছে অধিক পরিমাণ সোডিয়াম।
multiplebdলো- প্রেসার- হলে- কি -খাবার- খাওয়া- উচিত -লো -প্রেসার -এর- লক্ষণ
এছাড়াও আপনি লো প্রেসার কমাতে খেতে পারেন-

  • পানিতে কিসমিস ভেজানোর পর সেই পানি পান করতে পারেন। আর যদি কিসমিস পানিতে ভেজানো না থাকে তাহলে আপনি কয়েকটি কিসমিস খেয়ে নিন।
  • ডাবের পানি যেহেতু ব্লাড প্রেসারের বৃদ্ধি করে তাই আপনি প্রেশার নিম্ন হয়ে গেলে এ সময় ডাবের পানি পান করুন। যা খুব সহজে আপনার প্রেসার বাড়াবে।
  • এ সময় আপনি বেশি করে সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন। আর যদি সেদ্ধ ডিম না পাওয়া যায় তাহলে আপনি গরম এক গ্লাস কুসুম দুধ পান করুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন এটা প্যাকেটের দুধ না হয়।
  • আপনি হাঁসের ডিম সিদ্ধ করে তাতে একটু লবণ মাখিয়ে খেয়ে নিন। আর যদি আপনার বাসায় হাঁসের ডিম না পাওয়া যায় তাহলে এক্ষেত্রে আপনি মুরগির সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

লো প্রেসারে কি হার্ট এটাক হয়

আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত -লো প্রেসার এর লক্ষণ সম্পর্কে। অনেকে জানতে চেয়েছেন লো প্রেসারে কি হার্ট এটাক হয় ? বর্তমান সময়ে যেহেতু লোক প্রেসারে কম বেশি সবাই আক্রান্ত । আপনারাও যদি লো প্রেসার থেকে থাকে তাহলে আপনারও এটা জানার দরকার যে লোক হিসেবে হার্ট এটাক হয় কিনা।

চলুন তাহলে জেনে নিন বিস্তারিত। বিশেষজ্ঞরা সহ google এর বিভিন্ন তথ্য মতে দেখা যায় যে কারো শরীরে যদি রক্ত সঞ্চালন কম হয়ে যদি নিম্ন রক্তচাপ হয় তাহলে বিভিন্ন সময় এই নিম্ন রক্তচাপের জন্য শরীর ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। বিভিন্ন সময় অজ্ঞান হতে পারে এছাড়া লো প্রেসার এর মাত্রা যদি অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় তাহলে তা হার্ট অ্যাটাক সহ স্টক এমনকি কিডনি ফেইলও হতে পারে।

অনেক সময় আবার লো প্রেসারে মানুষ মারাও যায়। অর্থাৎ লো প্রেসারে হার্ট এটাক সহ ঝুঁকি রয়েছে বিভিন্ন বিপদ হওয়ার। এজন্য অবহেলার না করে আপনার যদি লো প্রেসারের কোন লক্ষণ দেখতে পান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং খুব বেশি হয়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তি হন।

লো প্রেসার হলে করণীয় কি

আপনি কি জানেন লো প্রেসার হলে করণীয় কি ? লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত -লো প্রেসার এর লক্ষণ গুলো নিশ্চয়ই এতক্ষণ জেনে গেছেন আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে। লো প্রেসার হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। কারণ আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব লো প্রেসার হলে করণীয় সম্পর্কে। চলুন এবার বিস্তারিত জানা যাক।
  • আপনার যদি প্রেসার হঠাৎ লো হয়ে যায় তাহলে আপনি সোডিয়ামযুক্ত খাবার খান।
  • যেসব খাবার ফুলেট সমৃদ্ধ আপনি বেশি করে এই সকল খাবার খান। যেমন - মটরশুটি মসুর ডাল,ডিম, শাক খেতে পারেন।
  • আপনার শরীরে যদি ডিহাইড্রেশন হয় তাহলে এক্ষেত্রে লো প্রেসার হতে পারে এর জন্য যদি কারো ক্ষেত্রে লো প্রেসার হয় তাহলে পানি পান করার কোন বিকল্পতা নেই। তাই আপনার শরীরে যদি লো প্রেসার হয় প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন।
  • নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসার হলে একই জায়গাতে দীর্ঘ সময় ধরে শুয়ে অথবা বসে থাকবেন না।
  • দীর্ঘ সময় ধরে যদি শুয়ে থাকেন কিংবা বসে থাকেন তাহলে উঠার সময় একটি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং আস্তে আস্তে ধীরে উঠুন।
  • প্রত্যেক দিনের খাবার তালিকাতে যুক্ত করুন স্যালাইন এবং গ্লুকোজ।
  • কিছু সময় পর পর হালকা করে খাবার খান। কারণ অধিক সময় ধরে যদি খালি পেটে থাকা হয় তাহলে রক্তচাপ আরো কম হতে পারে।

লো প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়

আপনারা যারা ঘরোয়া উপায়ে লো প্রেসার কমানোর কথা ভাবছেন আর্টিকেলের এই অংশটি পড়লে আপনারা জেনে যাবেন লো প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়। আসলে লো প্রেসার যদি দীর্ঘ দিন বা সময় ধরে থাকে এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। আপনি লো প্রেসার কমাতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে কমে যেতে পারে আপনার লো প্রেসার। চলুন এবার বিস্তারিত জানুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ আপনার যদি লো প্রেসার হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যায়াম করা ভালো। এতে করে শরীরের লো প্রেসার কম হয়। এজন্য যাদের লো পেশার রয়েছে তারা প্রত্যেকদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করুন।
  • ভারী এবং অতিরিক্ত খাবার না খাওয়াঃ আপনার যদি লো প্রেসার জনিত সমস্যা হয় তাহলে এক্ষেত্রে আপনি ঘনঘন অধিক পরিমাণ না খেয়ে অল্প পরিমাণ করে খান। এতে আপনার জন্য বেশ উপকারী হবে।
  • তুলসী চা পান করাঃ আপনি যদি চা পান করেন তাহলে এক্ষেত্রে সম্ভাবনা থাকে আপনার লো প্রেসার কম হওয়ার। এজন্য আপনি কিছুটা গরম পানি নিয়ে তুলসী পাতা নিয়ে ফুটিয়ে চা তৈরি করে খান। দেখবেন লো প্রেসার এর সমস্যা থেকে একটু স্বস্তি পেয়েছেন।
  • হাইপার টেনশন না করাঃ আমাদের ভিতরে অনেকেই আছে যারা বিভিন্ন সময়ে হাইপার টেনশন করে থাকি। কিন্তু অতিরিক্ত হাইপারটেনশন করার ফলে শরীরে প্রেসার বাড়বে। শরীরে আপনার লোকেশন নিয়ন্ত্রণ করা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ কর গুরুত্বপূর্ণ।
  • বিট রুটের রসঃ বিটরুটের রস খাওয়া হলে তা আপনার নিম্ন রক্তচাপ কম করতে সাহায্য করবে। তবে এ ক্ষেত্রে যারা কিডনি সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান।
  • লবণ পানিঃ শরীরে যদি লো প্রেসার হয় তাহলে এক্ষেত্রে আপনি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য লবণ পানি খেতে পারেন। আপনি এক গ্লাস পানিতে দু-এক চামচ লবণ মিশিয়ে তা ভালোভাবে গুলিয়ে খেয়ে নিন এটা আপনার শরীরে সাহায্য করবে, রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে।
  • multiplebdলো- প্রেসার- হলে- কি -খাবার- খাওয়া- উচিত -লো -প্রেসার -এর- লক্ষণ
    কফিঃ আপনার যদি নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা হয় তাহলে এক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে আপনি খেতে পারে এক কাপ কফি। এ সময় আপনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে কফি খেতে পারেন। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য নিম্ন রক্তচাপকে স্থিতিশীল রাখবে।
  • তুলসী পাতাঃ প্রত্যেকদিন সকালবেলাতে উঠে আপনি এক টেবিল চামচ পরিমাণ তুলসী পাতার রস করে অথবা ৬-৭ টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। কারণ পেতে থাকে অনেক পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম সহ ভিটামিন সি যার রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখে। তুলসী পাতাতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোলেস্টেরল মাত্রা কমায়।
  • সজনে শাকঃ সজনে সাক্ষী আছে অধিক পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরে উচ্চ রক্তচাপ তো কমায় এবং এর পাশাপাশি সাহায্য করেন নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও।তাই আপনি নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অন্ততপক্ষে সপ্তাহে ২ দিন খান।
  • পানি পানঃ প্রত্যেকদিন অন্ততপক্ষে ৩-৪ লিটার পানি পান করুন। যা আপনার শরীর থেকে টক্সিক বের করবে এবং স্যারের কার্যক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে। শরীর রাখবি সতেজ আর সাথে আপনার নিম্ন রক্তচাপ ও কম হবে।
  • বাদামঃ আপনি যদি নিম্ন রক্তচাপ ঠিক রাখতে চান তাহলে রাতে ৮ থেকে ১০ টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে তা খোসা ছাড়িয়ে গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খান। এতে আপনার শরীরের নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে কারণ বাধা মে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।

প্রেসার লো হওয়ার কারণ

আমরা তো জানলাম লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত -লো প্রেসার এর লক্ষণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে প্রেসার লো হওয়ার কারণ কি ? তাইতো আজকে আর্টিকেলের এই অংশে আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। চলুন তাহলে বিস্তারিত যেনে নিন।
  • গর্ভকালীন সময়ে যদি পরিমাণ মতো আর সময় মত যদি না খাওয়া হয় তাহলে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে।
  • বিভিন্ন কারণে যখন শরীরে পানি শূন্যতা হয় এমনকি অধিক বমি কিংবা ডায়রিয়া হলে।
  • দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা ও সৃষ্টি করতে পারে লো প্রেসার।
  • আসলে যখন বেশি পরিমাণ রক্তক্ষরণ হয় তাহলে এ কারণে শরীরে রক্তশূন্যতা হলে।
  • দীর্ঘমেয়াদি কোন ধরনের রোগ কিংবা ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলেও হতে পারে লো প্রেসার।
  • থাইরয়েডের সমস্যা জনিত কারণে যখন শরীরে হরমোন জনিত ভারসাম্যহীনতা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে লো প্রেসার হতে পারে।
  • হজম দুর্বলতা কিংবা লিভারের অসুখ জনিত কারণেও হতে পারে লো ব্লাড প্রেসার।

প্রেসার লো হলে কি কি সমস্যা হয় 

আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন লো প্রেসার হওয়ার কারণ থেকে শুরু করে লো প্রেসার হলে করনীয় কি এ বিষয়ে সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত। অনেকেই জানতে চেয়েছেন প্রেসার লো হলে কি কি সমস্যা হয়। চলুন তাহলে এবার এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
  • প্রেসার লো হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এমনকি কোন কোন সময় আবার অনেক মানুষের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • প্রেসার যদি লো হয় তাহলে বিভিন্ন সময় ক্লান্তি ভাব চলে আসে কাজ করতে গেলেও অনেক ক্লান্তিবোধ মনে হয়। মানসিক সমস্যা হয় এবং অবসাদগ্রস্ত মনে হয়।
  • লো প্রেসার হলে মাথা ঘুরে। কোন কোন সময় আবার মাথার পিছনে ব্যথা অনুভূত হয়। মানুষ অজ্ঞান পর্যন্ত হতে পারে।
  • লো প্রেসার হলে যত সমস্যা হয় তার ভেতরে একটি হচ্ছে চোখে ঝাপসা দেখা। এ সময় চোখে আচ্ছা ভাব চলে আসে এবং সবকিছুই কেমন অন্ধকার অন্ধকার মনে হয়।
  • প্রেসার যদি স্বাভাবিক মাত্রা থেকে কম হয় তাহলে এক্ষেত্রে শরীরে প্রচন্ড দুর্বলতা ভাব চলে আসে। শরীল হয়ে পড়ে অনেক দুর্বল।
  • তাছাড়া লো প্রেসার হলে বিভিন্ন সময়ে বমি বমি ভাব হয়। যেকোনো কিছু খাওয়ার সাথে সাথে বমি ভাব চলে আসে
  • একটু পরপর পানি খাওয়ার প্রবণতা চলে আসে। প্রেসার কম হওয়ার কারণে তৃষ্ণা বেশি পায়।
  • অনেকের ক্ষেত্রেই আবার প্রস্রাব কমে যায়। ঠিকভাবে প্রস্রাব না হলে তার শরীরে সৃষ্টির করতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন ।

আমাদের পরামর্শ 

আপনি যদি লো পেশার জনিত সমস্যায় ভুবেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনি বেশি বেশি স্যালাইন পানি খান। এবং বেশি বেশি করে পানি পান করুন। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত -লো প্রেসার এর লক্ষণ। আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে বুঝতে পেরেছেন। কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর এই সকল তথ্য সেবা পেতাম নিয়মিত ভিজিট করা আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিষয়ের পোস্ট করে থাকি। এতক্ষণ ধরে ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url