হাই প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত-হাই প্রেসার হলে করণীয় কি
লো প্রেসার এর লক্ষণ ও লো প্রেসার কমানোর উপায় জানতে এখানে চাপ দিনআপনি কি হাই প্রেসার সমস্যায় ভুগছেন ? হাই প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া
উচিত-হাই প্রেসার হলে করণীয় কি এসকল দিক যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি
পড়ে জেনে নিন। কারণ আজকের আর্টিকেলটি আলোচনা হয়েছে এ সকল বিষয় সম্পর্কে।
এছাড়াও আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আরো জানবেন হাই প্রেসারের ঔষধের নাম। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। তাহলে চলুন বিস্তারিত জানুন আর্টিকেলে।
শুধু ওষুধ না বরং খাবারের ওপরও নির্ভর করে হাই প্রেসার কম বেশি হওয়া। তাই আপনার
জানা উচিত হাই প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত-হাই প্রেসার হলে করণীয় কি। যা
আলোচনা করা হচ্ছে আর্টিকেলের ভেতরে। চলুন তাহলে আর্টিকেলটি পরে বিস্তারিত জেনে
নিন।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে হাই প্রেসার সমস্যার শিখার আমরা অনেকে। কিন্তু অনেকেই জানিনা হাই
প্রেসার এর কারণ এই হাই প্রেসার কেন হয় এবং এর থেকে মুক্তি পেতে উপায় গুলো কি
কি।যা আপনি জানতে পারবেন আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়েছে হাই প্রেসার এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে। তাই অবশ্যই
বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
উচ্চ রক্তচাপ কি
বর্তমান সময়ে উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হাই প্রেসার সমস্যার শিখার অনেকেই। উচ্চ রক্ত
কিংবা হাই প্রেসার হয়ে অনেক সময় মানুষের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। কিন্তু
অনেকে জানে না উত্তর রক্তচাপ কিংবা হাই প্রেসার কি। তাই আমরা ভেবেছি যারা উচ্চ
রক্তচাপের শিকার অথচ জানেনা যে উচ্চ রক্তচাপ কি এ ধরনের মানুষদেরকে জানানোর
জন্য আমরা এখন আলোচনা করব উচ্চ রক্তচাপ কি।
তাহলে চলুন কথা না পেরে এবার আমরা আলোচনায় যাই। সাধারণত মানুষের শরীরের
স্বাভাবিক রক্তচাপ যখন আর স্বাভাবিক থাকে না, অস্বাভাবিক হয়ে যায় অর্থাৎ
স্বাভাবিক মাপের থেকে বেশি হয় তখন তাকে বলা হয় উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হাইপারটেনশন।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে আমাদের দেহের স্বাভাবিক রক্তচাপের মাত্রা কত ?
একটি মানবদেহের স্বাভাবিক রক্তচাপ হচ্ছে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। আশা করছি
আপনি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।
হাই প্রেসার হলে করণীয় কি
হাই প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত-হাই প্রেসার হলে করণীয় কি আমাদের আজকের
মুখ্য বিষয়। আপনারা তো জানলেন উচ্চ রক্তচাপ কি বা হাই প্রেসার কি। হাই প্রেসার
হলে আমাদের কিছু করণীয় আছে যে সম্পর্কে অনেকেই অজানা। আপনি যদি হাই প্রেসার
এড়িয়ে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে চান তাহলে আপনি আর্টিকেলের নিচের
অংশে আলোচিত-
হাই প্রেসার হলে করণীয় কি বিষয়গুলো অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন । সাধারণত কোন
ব্যক্তি যখন হাই প্রেসারের সমস্যা শিকার হয় তখন চিকিৎসকগণ তাকে দুটি পরামর্শ
দেন। একটি হচ্ছে স্বাস্থ্যকরভাবে জীবন যাপন করা এবং অন্যটি হচ্ছে পেশার
নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ খাওয়া। চলুন এবার আপনি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নিন।
স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা
আপনি স্বাস্থ্যকর ভাবে জীবন যাপন করার মাধ্যমে হাই প্রেসার অনেকটাই কমাতে পারেন। যেমন ধরুন-
- যেসব খাবার অতিরিক্ত মসলাযুক্ত ঐ সকল খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
- কারণ হাই প্রেসার রোগীদের জন্য প্রতি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া অনেক ক্ষতিকর। অবশ্যই ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকি মদ ও পান করা যাবে না।
- কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। শুধু রান্নার সাথেও লবণ খেতে হবে তবে অল্প পরিমাণে। কারণ বেশি লবণ খাওয়া হলে তা প্রেশার কে বাড়িয়ে দিবে
- প্রত্যেকদিন অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট জোরে জোরে হাটুন।
- আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত মেদ হয় তাহলে অবশ্যই আপনি মেদ কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- প্রত্যেক দিনের খাবার তালিকাতে পুষ্টিকর সমৃদ্ধ সব খাবার যোগ করুন।
- সকল ধরনের মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
- আপনার যদি হাই প্রেসার হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই সময় ভি চিনি লবণ তেল মাখন এসব ধরনের খাবার খাবেন না।
- আপনার যদি এই হাই প্রেসার হয় তাহলে আপনি হাই প্রেসার ওষুধ খেতে পারেন।
- আপনার যদি হঠাৎ করেই প্রেসার বেড়ে যায় তাহলে আপনি এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য টক দই অথবা তেতুলের রস খেতে পারেন। এতে করে আপনি সময়ের ব্যবধানে শান্তি অনুভব করবেন ।
হাই প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত
হাই প্রেসার হলে যেমন ওষুধ খাওয়া দরকার ঠিক তেমনি খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও
কিছু সচেতনতা পালন করলে আপনি হাই প্রেসার থেকে মুক্ত হতে পারেন।কিন্তু অনেকেই
জানে না কি কি খাবার খাওয়া দরকার হাই প্রেসার হলে। আর্টিকেলের এই অংশ আমরা
জানব হাই প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত। চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
- পালং শাক খাওয়াঃ পালং শাকে রয়েছে এমন কতগুলো খাদ্য উপাদান যা হাই প্রেসার কমাতে সাহায্য করে। যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম নাইট্রেট ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সহ ইত্যাদি সব উপাদান। পালংশাক খাওয়া হলে তা হৃদপিন্ডের ধমনীর স্বাভাবিক যে কার্যক্রম রয়েছে তা সচল রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি ব্লাড প্রেসার কমাতে।
- চিয়া বীজ খাওয়াঃ সাবিজের মধ্যে আছে এমন কিছু উপাদান যা আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমাবে। চেয়ারে যে উপস্থিত আছে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম এবং ফাইবার সহ ইত্যাদি সব উপাদান। তাই নিয়মিত চেয়াবিস খাওয়া হলে তা হাই প্রেসার। নিয়ন্ত্রণে উপকারী ।
- কুমড়ো বীজ খাওয়াঃ কুমড়ো বেজে থাকে এক ধরনের অ্যামিনো এসিড যা আমাদের শরীরের ভেতরে উৎপাদন করতে ভূমিকা রাখে নাইট্রিক অক্সাইড। আরে নাইটিক অফ সাইট যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদিত হয় তাহলে তা হাই প্রেসার কিংবা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এজন্য আপনি কুমড়ো বীজ খেতে পারেন।
- ভিটামিন সি যুক্ত ফলঃ ভিটামিন সি যুক্ত ফলের ভিতরে থাকা অবদানগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমানোর মাধ্যমে তার হৃদপিণ্ডকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া ভিটামিন সি যুক্ত ফল খাওয়া হলে তা বিভিন্ন ধরনের রোড থেকে আক্রান্ত হতে ঝুঁকি কমায় তাই উচ্চ রক্তচাপ কমাতে আপনি ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান যেমন - লেবু, কমলালেবু, লামাইস সহ ইত্যাদি সব ফল।
- টমেটোঃ টমেটোতে উপস্থিত আছে ক্যারোটিনাইলয়েড পিগমেন্ট লাইকোপিন এবং পটাশিয়াম। যা হৃদপিণ্ডের জন্য খুব উপকারী। এজন্য আপনি হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খাদ্য তালিকা যোগ করতে পারেন টমেটো।
- চর্বিযুক্ত মাছঃ বিভিন্ন ধরনের চর্বিযুক্ত মাছি থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এসব চর্বি গুলো উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমাতে বেশ উপকারী।
- গাজরঃ আপনি হাই প্রেসার কমাতে খাদ্য তালিকা তে গাজর যোগ করুন। কারণ গাজরে থাকে পি- কুমারিক,ক্লিনোজেনি সহ ক্যাফিক অ্যাসিড এর মতো যৌগ। যা শিথিল করে রক্তনালিকে এবং প্রদাহ কমানোর মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ এর মাত্রা কেও কম করে। তাই আপনি গাজর খেতে পারেন উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য।
হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
অনেকে জানতে চেয়েছেন যে হাই প্রেসার ঘরানো উপায়ে কিভাবে কমাবো। হাই প্রেসার
ঘরোয়া উপায়ে কমানোর উপায় কি। তাই আমরা এখন আলোচনা করব হাই প্রেসার কমানোর
ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। এতক্ষণ নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন হাই প্রেসার হলে কি
খাবার খাওয়া উচিত-হাই প্রেসার হলে করণীয় কি
- নিয়মিত হাটা এবং ব্যায়াম করাঃ উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হাই প্রেসার কমতে কার্যকারী একটি উপায় হল নিয়মিত ব্যায়াম করা। নিয়মিত হাঁটার ফলে তার হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং রক্তের পাম কার্যাবলী আরও বেশি দুঃখ করে আর যে কারণে ধর্ম নিতেও চাপ কম হয়।
- মানসিক চাপ কমানঃ মানসিক চাপের কারণে আমাদের শরীরে হতে পারে হাই প্রেসার। মানুষের চাপের ফলে তা আমাদের শরীরে থাকা পেশিগুলোকে আরো চাপের মুখে ফেলে। যে কারণে রক্তচাপ বাড়তে পারে। এজন্য মানসিক চাপ কম করুন।
- অতিরিক্ত লবণ খাবেন নাঃ আমরা অনেকে আছি যারা ভাতের সঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খায়। কিন্তু আমরা যেটা জানি না যে তা আমাদের জন্য কত ক্ষতিকর। এজন্য হাই প্রেসার রোগীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ খাওয়া যাবেনা। কাঁচা লবণ থেকে একদমই দূরে থাকুন।
- তেতুলঃ তেতুল হল টক জাতীয় ফল আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অনেকটা সাহায্য করে ভূমিকা পালন করে। আমরা অনেকেই ভেবে থাকি যে তেঁতুল খাওয়া হলে রক্ত পানি হয়। কিন্তু যদি তেতুল খাওয়া হয় তাহলে সেটা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় |
- খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করুনঃ বেশি পরিমাণ চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া হলে এটা ওজন বৃদ্ধির করতে পারে। এছাড়া যদি একই সাথে বেশি করে কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার ছেলে তার রক্তচাপ বাড়াতে পারে। এজন্য উত্তর রক্তচাপ কিংবা হাই প্রেসার কমাতে খাদ্যভাস পরিবর্তন করুন।
- ধূমপান বন্ধ করুনঃ ধূমপান হতে পারে হাই প্রেসার রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর জন্য অ্যালকোহল এবং সকল প্রকার ধূমপান বর্জন করতে হবে। কারণ ধূমপান এবং অ্যালকোহলের জন্য শরীরের স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনে বিঘ্ন ঘাটে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুনঃ যারা হাই প্রেসার রোগী এদের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরী। কারণ অতিরিক্ত ওজনের জন্য বৃদ্ধি পায় রক্তচাপ। আপনার যদি অতিরিক্ত ওজন হয় তাহলে এটা ঘুমানোর সময় বিঘ্ন ঘটাবে শ্বাস-প্রশ্বাসে। আর যার প্রভাব পড়বে আপনার রক্তচাপে।
- রসুনঃ শরীরের যখন রক্ত সঞ্চালনে বাধা ঘটে তখন প্রেশার বাড়ে। রসুন খাওয়া হলে এটা রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। এছাড়া নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কে। এজন্য হাই প্রেসার কমাতে প্রত্যেকদিন খেতে পারেন ২ কোয়া করে রসুন।
- পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারঃ খাবার তালিকাতে সকল খাবার যোগ করুন যেগুলোতে অনেক পটাশিয়াম রয়েছে। এর কারণ হলো পেশার কমাতে ভূমিকা রাখবে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলো। যত ফটো খাবার খাবেন শরীর থেকে তত লবণ বের হবে প্রস্রাবের মাধ্যমে। এজন্য অবশ্যই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান।
- পেঁয়াজের রস এবং মধুঃ বিশেষজ্ঞদের মতে পেঁয়াজের রস রক্তের কোলেস্টরেলের পরিমাণকে কম করার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এজন্য আপনি সমপরিমান মধু এবং পেঁয়াজের রস মেশানোর মাধ্যমে তা প্রতিদিন 2 চামচ করে খান। এতে করে প্রেসার কমতে পারে।
- গোলমরিচঃ আপনারা যারা হাই প্রেসার সমস্যার শিকার তারা হাই প্রেসার বৃদ্ধি পেলে এক চামচ গোলমরিচের গুড়ার সাথে আধা গ্লাস পানি হালকা গরম করে মিশিয়ে নিন। ২ ঘন্টা পর পর এটা পান করুন দেখবেন অনেক উপকার পেয়েছেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
হাই প্রেসার এর লক্ষণ
আর্টিকেলটি পড়ে আপনি তো নিশ্চয়ই জেনে গেছেন হাই প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া
উচিত-হাই প্রেসার হলে করণীয় কি। কিন্তু অনেকেই হাই প্রেসার হলেও বুঝতে পারেনা
যে তার হাই প্রেসার হয়েছে কিনা। আপনিও যদি না জেনে থাকেন হাই প্রেসার এর
লক্ষণগুলো তাহলে এখনি জেনে নিন এ বিষয় গুলো। কারণ এখন আমরা আলোচনা করব হাই
প্রেসার এর লক্ষণ। চলুন আলোচনায় যাওয়া যাক -
- ক্লান্তি ও দুর্বলতাঃ মানুষের শরীরে বিভিন্ন কারণে দুর্বলতা এবং ক্লান্তি হতে পারে। তবে উচ্চ রক্তচাপের জন্য মানুষের শরীরের দুর্বলতা ও ক্লান্তি আসতে পারে। যখন দেখবেন আপনার শরীরে অতিরিক্ত আগে দুর্বল এবং ক্লান্তি ভাব মনে হচ্ছে তাহলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিন।
- মাথা ও ঘাড় ব্যথাঃ হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপে যতগুলো লক্ষণ আছে তার ভিতরে একটি একটি হচ্ছে ঘাড় ব্যথা এবং মাথা ব্যথা। উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারণে মাথাব্যথা হলে তা সাধারণত মাথার উভয়ের পাশে হয়ে থাকে।
- চোখে ঝাপসা দেখাঃ উচ্চ রক্তচাপের কারণে এটা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কে প্রবাহিত করে আর যে কারণে এর প্রভাব পড়ে রেডিতে রক্তনালীতেও। যে কারণে রক্তনালী হয় শক্ত এবং চোখে ঝাপসা দেখায়।
- অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠাঃ আপনি কি সিঁড়ি দিয়ে একটুখানি রিপ্লাই হাপিয়ে যান। তাহলে রক্তচাপ পরীক্ষা করে নিন। আপনার এই হাপিয়ে ওঠার পেছনে কারণ হতে পারে হাইপারটেনশন কিংবা উচ্চ রক্তচাপের।
- বমি বমি ভাবঃ করে যদি হাই প্রেসার হয় তাহলে এক্ষেত্রে বঙ্গভূমি ভাব আসতে পারে। আপনার যদি এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিভিন্ন সময় আবার উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে তা বমি সৃষ্টি করতে পারে যা রোগের জন্য ক্ষতিকর।
- নাক দিয়ে রক্ত পড়াঃ কেউ যদি দীর্ঘদিন যাব তাহাই প্রেশার রোগে ভোগে তাহলে নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে। আপনি যদি দেখেন হঠাৎ করে আপনার নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে তাহলে এটা কিন্তু স্বাভাবিক বিষয় না। এমন হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যান।
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়াঃ হাই প্রেসার কিংবা উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম একটি লক্ষণ হচ্ছে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। হাই হাই প্রেসার যদি বেশি হয় তাহলে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। এজন্য হাই প্রেসার রোগীদের কে হঠাৎ করেই উত্তেজিত হওয়া যাবে না।
- ঘুমাতে না পারাঃ শরীরে যদি হাই প্রেসার সৃষ্টি হয় তাহলে ঠিকভাবে ঘুম হয় না। এছাড়াও শরীরে যদি অবসাদ কিংবা ক্লান্তি থাকে তাহলে ঘুম হয় না। যেটা হতে পারে হাই ব্লাড প্রেসার এর একটি কারণ।
এছাড়াও হাই প্রেসার কিংবা উচ্চ রক্তচাপের আরও লক্ষণ হচ্ছে -
- কানে বিভিন্ন ধরনের শব্দ শোনা।
- বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা।
- পেশি কম্পিত হওয়া।
- শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ ঘাম বের হওয়া।
- হঠাৎ করেই পা ফোলা।
- বুকের ভেতরে ব্যাথার সৃষ্টি হওয়া।
- মাথার পেছনে দিকে খুব যন্ত্রণা করা। আশা করছি আপনি হাই প্রেসার এর লক্ষণ গুলো বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।
হাই প্রেসার কমানোর উপায়
অনেকেই প্রশ্ন করেছেন হাই প্রেসার কমানোর উপায় কি । বর্তমান সময়ে অনেকেই
হাই প্রেসার এর শিকার। তাই একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে অবশ্যই
আমাদের জানা উচিত হাইপ্রেসার কমানোর উপায় গুলো। যে বিষয়ে গুলো থাকছে
আলোচনার এই অংশে। শুনুন এবার বিস্তারিত জানা যাক।
- মাথাতে ঠান্ডা পানি দেওয়াঃ হঠাৎ করেই কেউ যদি হাই প্রেসারের শিকার হয় বা হাই প্রেসার বেড়ে গিয়ে খারাপ অবস্থা তৈরি হয় তাহলে বেশি করে মাথাতে ঠান্ডা পানি ঢালুন। শুধু মাথাতেই না একটা টাওয়েল নিয়ে তা ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে কিছু সময়ে ঘাড়ের উপর রাখুন এতে করে হাই প্রেসার কমবে।
- তেতুলঃ কারো ক্ষেত্রে যদি উচ্চ রক্তচাপ হয় তাহলে এক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ তেতুল নিয়ে তা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পর সেই তেতুলগুলো পানির সাথে ভালোভাবে মিশান এবং পানিগুলো খেয়ে নিন এতে করে আপনার প্রেসার কমবে।
- ঘুম এবং বিশ্রামঃ হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ যদি বেড়ে যায় তাহলে এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে শারীরিক চলাচল কম করুন। কারণ এ সময় যদি চলাচল করা হয় তাহলে রক্তচাপ আরও বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি ঘুম এবং বিশ্রাম নিন।
- খাবার তালিকাতে লবণ কম করুনঃ প্রত্যেকদিন খাবার তালিকায় লবণের ব্যবহার কমান। আপনি কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। এছাড়াও রান্নার সাথেও কম পরিমাণ খাওয়া ভালো।
- নিজেকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখুনঃ নিজেকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারেন। এজন্য আপনি নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এতে আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার কম হবে।
হাই প্রেসারের কারণ
আমাদের অনেকেরই অজানা হাই প্রেসারের কারণগুলো। যে বিষয়গুলো আপনি জানতে পারবেন আর্টিকেলের এই অংশ পড়ার মাধ্যমে। আর এতক্ষণ তো আমরা জানলামই হাই প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত-হাই প্রেসার হলে করণীয় কি। চলুন তাহলে এবার জেনে আসা যাক হাই প্রেসার এর কারণ গুলো।
- অলস জীবনযাত্রা ও অধিক ওজনঃ শরীরের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম করা না হলে তা আপনার শরীরে ওজন বাড়াতে পারে। এর ফলে হৃদযন্ত্রকে অনেক পরিশ্রম করা লাগে। আর যে কারণে অধিক ওজন সম্পন্ন মানুষদের উচ্চ রক্তচাপ হয়।
- ডায়াবেটিসঃ বিশেষজ্ঞদের মতে যারা ডায়াবেটিস রোগী তাদের ক্ষেত্রে অথারোসক্লেরোসিস বেশি থাকে। এক সময়ই যা বয়সের সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপ ও তৈরি করে।
- বংশানুক্রমিকঃ উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হাই প্রেসার হওয়ার কারণ হিসেবে বংশগত ধারাবাহিকতাও দায়ী থাকতে পারে। বিভিন্ন সময় বাবা-মায়ের উচ্চ রক্তচাপ থাকার কারণে তা সন্তানেরও হতে পারে। এছাড়াও কোন নিকট আত্মীয়রা যদি উচ্চ রক্তচাপ হয় তাহলে এক্ষেত্রেও সম্ভাবনা থাকে।
- অতিরিক্ত লবণ গ্রহণঃ সোডিয়াম লবণ যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে এটা অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য হাই পেশার তৈরি করতে পারে। এর কারণ হলো লবণে থাকা সোডিয়াম রক্তের জলীয় অংশকে আরও বাড়িয়ে দেয়। আর যে কারণে বৃদ্ধি পায় রক্তের আয়তন এবং তৈরি হয় উচ্চ রক্তচাপ।
- অতিরিক্ত মদ্যপানঃ বিশেষজ্ঞরা বলেন যারা অধিক পরিমাণে নিয়মিত মদ্যপান করে তারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগতে পারে। অ্যালকোহলে থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যালরি যা ওজন বৃদ্ধি করে এবং এর ফলে রক্তচাপও বৃদ্ধি পায়।
- ধূমপানঃ যারা ধূমপান করে এ ধূমপানের কারণে তামাক থেকে নানা রকম বিষাক্ত সকল পদার্থগুলো সেরা ধমনী এবং উচ্চ রক্তচাপ সহ বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ তৈরি করতে পারে। অবশ্যই ধুমপান করা থেকে বিরত থাকুন।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভাসঃ অবহেলা জনিত কারণে অধিক পরিমাণ চর্বিযুক্ত খাবার যেমন - বেশি পরিমাণ তেল দিয়ে ভাজা কোন খাবার, মাখন, মাংস ইত্যাদি আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও বাড়তে পারে রক্তে কোলেস্টরেল। আর রক্তে যদি কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় তাহলে রক্তনালি আরো মোটা হয় এবং শক্ত হয় আর যে কারণে রক্তচাপও বাড়ে।
- অতিরিক্ত উৎকষ্টাঃ অধিক পরিমাণে উত্তেজনা, রাগ,ভীতি এবং মানসিক বিভিন্ন চাপের জন্য রক্তচাপ বেড়ে যায়। যে কারণে মানসিক চাপ অব্যাহত থাকার ফলে রোগী এ মানসিক চাপের সঙ্গে নিজেকে ঠিকভাবে খাপ খাওয়াতে না পারলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।
হাই প্রেসার হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত না
হাই প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত-হাই প্রেসার হলে করণীয় কি শুধু এগুলো
জানলে হবে না আপনার জানা উচিত হাইপ্রেসার হলে কি ধরনের খাবার খাওয়া ঠিক না।
আপনি হাই প্রেসার এর ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এসব খাবারগুলো যদি মেন্টেন করে চলতে
পারেন তাহলে খুব সহজে আপনার হাই প্রেসার কমতে পারে। চলুন এবার জানা যাক হাই
প্রেসার হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত না।
- সর্বপ্রথম আপনার খাবার তালিকাতে লবণ কমান। কাঁচা লবণ তো কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। এছাড়াও রান্না করা খাবারের সাথেও লবণের পরিমাণ কম করতে হবে ।
- যে সকল খাবারের চর্বি বা ফ্যাট থাকে ওই সকল খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন - কেক,গরু অথবা খাসির মাংস, মাখন ইত্যাদি।
- যে সকল খাবার অতিরিক্ত কোলেস্টেরল যুক্ত ওই সকল খাবার খাওয়া ঠিক হবে না।
- প্যাকেটজাত খাওয়ার পরিহার করুন।
- অধিক পরিমাণে ভাত খাওয়া যাবেনা।
- সকল প্রকার ধূমপান কিংবা মদ্যপান ত্যাহ করে ফেলুন।
- আপনি যদি হাই প্রেশার কমিটি চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনি যে সকল খাবার ফাস্টফুড জাতীয় ঐ সকল খাবার পরিহার করুন।
- ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
হাই প্রেসারের ঔষধের নাম
অনেকেই জানতে চাইছেন হাই প্রেসার এর ওষুধের নাম কি ? আবার অনেকেই এমন রয়েছে
যারা হাই প্রেশার হলে ভুলে যায় কি ওষুধ খাওয়াতে হবে বা ওষুধের নাম সম্পর্কে।
তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করেছি হাই প্রেসারের
ঔষধের নাম। কথা না বাড়িয়ে চলুন এবার আমরা এই সকল বিষয় সম্পর্কে জেনে আসি।
- ওলার্বি ২০mg ট্যাবলেট।
- ওল্মার্ক ২০ mg ট্যাবলেট।
- অলমাইটি ২০mg ট্যাবলেট।
- ওল্মেসিপ ২০ mg ট্যাবলেট।
- ওলার্বি ২০ mg ট্যাবলেট।
কেউ যদি হাই প্রেসারে আক্রান্ত হয় তাহলে প্রেসার কমাতে এসকল ওষুধ গুলো ব্যবহার
করা যেতে পারে। এ সকল ওষুধ খাওয়ানো হলে এটা রক্তচাপ কম করে এবং রক্তের
স্বাভাবিক চলাচল বৃদ্ধি করে। হাই প্রেসার হলে রোগীকে এস ফুল ওষুধ খাওয়াতে
পারেন। তবে অবশ্যই যে কোন ওষুধ খাওয়ানের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে
খাওয়ানোরাই ভালো।
মূল কথা
আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জেনে গেছেন হাই প্রেসার হলে কি খাবার
খাওয়া উচিত-হাই প্রেসার হলে করণীয় কি সহ হাই প্রেসার নিয়ে বিভিন্ন বিষয়
বিস্তারিত। হাই প্রেসার অবশ্যই সকল ধরনের ধূমপান থেকে বিরত থাকুন লবণ মুক্ত
খাবার খান। আশা করছি আপনি আর্টিকেলটি পরে বিস্তারিত বিষয় ভালোভাবে বুঝতে
পেরেছেন।
কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হলে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে কিংবা উপকৃত হয়ে থাকেন
তাহলে বেশি বেশি শেয়ার করে দেন। আর হ্যাঁ এ সকল তথ্য সেবা গুলো নিয়মিত পেতে
ভিজিট করুন আমাদের এই এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি।
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ
থাকবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url