জিপিএস (Gps)কি ? জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় ? সুবিধা ও অসুবিধা
ন্যানো টেকনোলজি কি? এর সুবিধা অসুবিধা জানতে এখানে চাপ দিনআপনি কি জানেন জিপিএস কি এবং এর সুযোগ সুবিধা গুলো ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে
আর্টিকেলটি পরে জেনে নিন জিপিএস (Gps)কি ? জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় ? সুবিধা
ও অসুবিধা গুলো। আজকের আর্টিকেলে আমরা এ সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি।
কিন্তু অনেকের জানিনা জিপিএস এর এসব সুবিধা গুলো সম্পর্কে। তাইতো আজকে আর্টিকেলে
আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় জিপিএস (Gps)কি ? জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় ?
সুবিধা ও অসুবিধা। এছাড়া আর্টিকেলটি পড়ে আপনি আরো জানতে পারবেন জিপিএস কি কি
কাজে ব্যবহার হয় সে সম্পর্কেও। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে আধুনিক বিশ্ব জিপিএস ব্যবহার করে অনেক ব উন্নত থেকে স্মার্ট
পর্যায়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রত্যেকটা সেক্টরে ব্যবহার করা হচ্ছে জিপিএস।
আপনি যদি না জেনে থাকেন Gps কি এর সুযোগ সুবিধা ব্যবহারের দিক ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে। তাহলে
আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আর্টিকেলে এই সকল বিষয়
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নিন।
জিপিএস (Gps)কি ?
আপনি যদি জিপিএস এর সুবিধা অসুবিধা গুলো এবং জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় এ
বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে তার আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে জিপিএস কি ?
আপনি যদি জিপিএস সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখনই জেনে নিন জিপিএস
(Gps)কি ? কারণ এখন আমরা জিপিএস সম্পর্কে আলোচনা করব ।
GPS বলতে ( Global positioning system) কে বোঝানো হয়ে থাকে। এটাকে আবার বলা
হয় থেকে এক ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক মাধ্যম এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
জিপিএস কে আবার এক ধরনের ট্রাকিং সিস্টেমে বলা হয়। জিপিএস ব্যবহার করে যেকোনো
ধরনের আবহাওয়া কিংবার সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে থাকার যে কোন স্থানের
বস্তুর অবস্থান ।
খুব সহজে নির্ণয় করতে জিপিএস এর প্রধান কাজ। বাংলায় জিপিএস কে বলা হয়ে থাকে
বিশ্বজনীন অবস্থান অথবা এক ধরনের নির্ণায়ক ব্যবস্থা। বর্তমান সময়ে আধুনিক
বিজ্ঞানের এই আধুনিক অবদানটির নতুন এক আলোর দিশা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরো বিশ্বে।
সাধারণভাবে বলতে গেলে জিপিএস হচ্ছে এমন একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা যা স্যাটেলাইট
নির্ভর হয়ে থাকে ।
এবং এর মাধ্যমে আমাদের ভূপৃষ্ঠের যেকোনো ধরনের স্থান নির্ণয় অথবা ব্যাক্তি
কিংবা বস্তুর অবস্থান একদম নিখুঁতভাবে শনাক্ত করা হয়। আশা করছি আপনি
বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন জিপিএস কি এ সম্পর্কে।
জিপিএস কি কি কাজে ব্যবহার হয়
আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল জিপিএস (Gps)কি ? জিপিএস কিভাবে চালু
করতে হয় ? সুবিধা ও অসুবিধা।এছাড়াও এখন আমরা আলোচনা করব জিপিএস কি কি কাজে
ব্যবহার হয় সে সম্পর্কে। আপনি কি জানেন কি কি কাজে জিপিএস ব্যবহার হয় ? যদি
না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখনই জেনে আসা যাক।
বর্তমানের সকল ধরনের সামরিক কিংবা বেসামরিক, সরকারি অথবা বেসরকারি, এছাড়াও
বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তি পর্যায়ের অনেক কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে জিপিএস। চলুন আমরা
আরো জেনে নিই জিপিএস এর ব্যবহার সম্পর্কে।
- ট্রাকিং লোকেশন (tracking location): পৃথিবীতে থাকা যেকোন প্রান্তের অবস্থান নির্ণয় করে এ বস্তুর বিপরীতে থাকা অন্য যেকোনো স্থান কিংবা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা অথবা লোকেশন সম্পর্কে অবগত হওয়ার ক্ষেত্রে।
- পজিশনিং( Positioning): বিভিন্ন ধরনের আবহাওয়ায় বিশ্বের যেকোন প্রান্তে অবস্থিত জায়গার কোন স্থান অথবা বস্তু সম্পর্কে অবস্থার নির্ণয় করতে ব্যবহার করা হয় জিপিএস প্রযুক্তি।
- টাইমিং(Timing) : আবহাওয়া যেরকমই হোক না কেন অতি সহজে পৃথিবীর যেকোনো ধরনের জায়গার অবস্থান নির্ণয় করা এবং সে সময়ের সঠিক বিবরণ জানতে পারা যায় জিপিএস এর মাধ্যমে।
- নেভিগেটিং( Navigating) : জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমুদ্রপথ অথবা স্থল পথ কিংবা নদীপথে ট্রাভেলিং করা অবস্থায় যেকোনো প্রান্তের লোকেশন এবং দূরত্ব ও অবস্থান ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সঠিক সম্পর্ক জানতে পারা যায়।
- ম্যাপিং (Mapping) : ক্ষুদ্র পর্যায় থেকে শুরু করে একদম বৃহত্তর বিশ্বের ভৌগলিক মানচিত্র কেও তৈরি করতে পারা যায় জিপিএস এর মাধ্যমে। অর্থাৎ যদি এক কথায় বলতে হয় তাহলে এটা বলতে হবে যে জিপিএস এর যে কাজ ওর ক্ষেত্রটির রয়েছে তা খুব বিশাল। তাহলে বুঝতে পারছেন জিপিএস এর কত।
- লাইভ ট্রাকিং (Live tracking) : একদম সরাসরি ভাবে যেকোন প্রান্ত অথবা অবস্থান সম্পর্কে একদম নিরক্ষন করতে পারা যায় জিপিএস এর মাধ্যমে।
এছাড়াও জিপিএস ব্যবহার হয় আরো অনেক ক্ষেত্রে। চলুন তাহলে আমরা এবার সে
বিষয়গুলো সম্পর্কেও জেনে আসি বিস্তারিতভাবে।
- পৃথিবীতে যেকোনো রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকলা করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জিপিএস।
- অপরাধীকে ধরতেও জিপিএস এর অবদান ব্যাপক। যে কারণে অপরাধ করে দূরে কোথাও গিয়ে লুকিয়ে থাকলেও সেটা নির্ণয় করা যায় জিপিএস দিয়ে।
- যেকোনো ধরনের ডিভাইস যেমন - কার অথবা মোবাইল কিনব মোটরসাইকেল ইত্যাদি সামগ্রী যদি চুরি করা হয় কিনব কোথাও হারিয়ে যায় তাহলে তা খুব সহজেই জিপিএস এর মাধ্যমের লোকেশনের অবস্থান ট্যাক করে সেগুলো আমরা ফিরে পেতে পারি।
- জিপিএস ব্যবহার হয় আমাদের নিজেদের অবস্থান হতে আর গন্তব্য স্থানের দূরত্ব নির্ণয় করতেও। এটা অন্যতম একটি উদাহরণ হচ্ছে গুগল ম্যাপ।
- তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন হওয়ার ফলে জিপিএস দিয়ে আমরা খুব সহজে অল্প সময়ে আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন এবং স্মার্টওয়াচ দিয়ে আমরা জিপিএস টেকনোলজির দ্বারা খুব সহজেই আমাদের শরীরের বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপ গুলো নির্ণয় করতে পারছি যেমন - আমরা কত দূর পর্যন্ত হাটলাম কতক্ষণ হাটলাম ইত্যাদি বিষয় গুলো।
- প্রিয় মানুষের উপর নজরদারেও রাখতে পারবেন।
- কোন নতুন জায়গায় যেতে ভ্রমণ করতে চান তাহলে সেখানে গিয়ে রাস্তা অথবা যাত্রাপাথ এমনকি যানজটের গতিবেধিকেও পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
- বড় বড় সব শহরগুলোকে উন্নত করার জন্য এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করত GPS ব্যবহার করা হয় আশা করছি জানতে পেরেছেন বিস্তারিতভাবে।
জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় ?
আপনি কি জিপিএস (Gps)কি ? জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় ? সুবিধা ও অসুবিধা গুলো
জানতে চান ? চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে আসি জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় ? আপনার
যদি জানা থাকে জিপিএস চালু করা সম্পর্কে তাহলে আপনিও খুব সহজেই জিপিএস চালু করে
এর সুবিধা গুলো নিতে পারবেন।
- স্মার্টফোনঃ আপনি যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে জিপিএস চালু করতে চান তাহলে আপনি আপনার স্মার্টফোনের সেটিং অপশনে গিয়ে সেখানে লোকেশন নামক যে অপশন রয়েছে তা চালু করুন। এভাবে আপনার ফোনে চালু হয়ে যাবে জিপিএস।
- ডেক্সটপ বাল ল্যাপটপঃ অনেক ধরনের কম্পিউটারে পাওয়া যায় না বিল্ট ইন জিপিএস। এজন্য আপনি যদি আপনার কম্পিউটার দিয়ে জিপিএস ব্যবহার করার ভেবে থাকেন তাহলে আপনার দরকার হবে বাহ্যিকভাবে একটি GPS রিসিভার। যেটা আপনাকে সংযুক্ত করতে হবে Bluetooth অথবা USB এর মাধ্যমে। এটা যদি সংযুক্ত হয়ে যায় তাহলে আপনি জিপিএস অন করতে যে সকল ড্রাইভার এবং সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়েছে এগুলো ইন্সটল করে নিয়ে চালু করতে পারবেন আপনার ডেক্সটপ কিংবা ল্যাপটপে জিপিএস।
জিপিএস এর সুবিধা
আপনি কি জানেন জিপিএস এর সুবিধা কি ? GPS ব্যবহারের সুবিধা গুলো জানলে হয়তো
আপনিও অনেক কাজেই ব্যবহার করতে পারবেন জিপিএস। তাই অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে
জিপিএস এর সুবিধা কি। যে বিষয়ে সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলের এই
অংশে। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক বিস্তারিতভাবে।
- রোদ কিংবা বৃষ্টি যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতেই কাজ করে জিপিএস।
- আপনি জিপিএস ব্যবহার করে খুব সহজেই যেকোন প্রান্তের রেস্টুরেন্ট কিংবা অবস্থান এবং বুথ এর অবস্থান ও জানতে পারবেন।
- একদম লাইক ট্র্যাকিং করে জানতে পারবেন আপনি কোন স্থানে যাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে।
- GPS ব্যবহার করে লাইভ স্ট্রিমিং দেখতে পারবেন ডিজিটাল সব ম্যাপগুলর মাধ্যমে।
- অন্যান্য যে সকল প্রযুক্তি কিংবা নেভিগেশন সিস্টেম রয়েছে তার থেকে আপনি জিপিএস এর দাম সহনীয় এবং সহজলভ্য। আপনি খুব সহজেই আপনার হাতের স্মার্টফোনের মাধ্যমেও এটি সংযুক্ত করতে পারবেন।
- আপনি ভ্রমণ করার সময় যদি কোথাও হারিয়ে যান তাহলে অতি সহজেই ম্যাপিং করতে পারবেন জিপিএস এর মাধ্যমে এবং জানতে পারবেন সে জায়গার লোকেশন।
- এছাড়াও আপনি আগে থেকে জানতে পারবেন অপরিচিত কোন জায়গাতে যাওয়ার আগেই সে স্থানের দূরত্ব কিংবা লোকেশন এবং গতিপথ সম্পর্কে।
- কোন কিছু হারানো কিংবা চুরি হলে জিপিএস দিয়ে ট্র্যাকিং করে আপনি সহজেই তা খুঁজে বের করতে পারবেন।
- সামরিক ক্ষেত্রগুলোতে খুব সহজে অপরাধীকে খুঁজে বের করতে এবং ধরার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে জিপিএস। এজন্য জিপিএস এর সুবিধা অনেক।
- বড় বড় সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলোর ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য অতি দ্রুততম সময়ের ভেতরেই গ্রহণ করা হয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং এখানেও রয়েছে জিপিএস প্রযুক্তির এক ধরনের প্রত্যক্ষ প্রয়োগ। বর্তমান সময় গুলোতে অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার যে গেম রয়েছে সেগুলোতে কার্যকর এবং খুব ব্যাবহারের অন্যতম এক যোগ্য একটি প্রযুক্তি হচ্ছে জিপিএস ।
- আশা করছি জানতে পেরেছেন জিপিএস এর সুবিধা গুলো ।
জিপিএস এর অসুবিধা
জিপিএস এর সুবিধা অনেক হলেও রয়েছে কিছু অসুবিধা। কিন্তু এর অসুবিধা দিকে থেকে
সুবিধার দিকে বেশি। আজকে আর্টিকেলে এই পর্বে আপনি জানতে পারবেন জিপিএস এর
অসুবিধা সম্পর্কে। চলুন তাহলে এবার জেনে নিন।
- যে সকল ডিভাইস ব্যাটারি চালিত সেগুলো দিয়ে যদি জিপিএস ব্যবহার করা হয় তাহলে সম্ভাবনা থাকে ব্যাটারি ডাউন হওয়ার।
- অনেক সময়ই মাঝে মাঝে সিগনালে এমন তেমন হতে পারে যার ফলে সৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন সমস্যার।
- যেকোনো ধরনের ডিভাইসে যদি আপনি জিপিএস ব্যবহার করতে চান তাহলে এজন্য ইন্টারনেট প্রয়োজন হয়। ইন্টারনেট ছাড়া আপনি জিপিএস ব্যবহার করতে পারবেন না।
- কখনো কখনো এ সিস্টেমটি ধ্বংস করে দিতে পারে আপনার গোপনীয়তাকে।
- বিভিন্ন সময়ে জিপিএস সিগন্যাল গুলো উঁচু অথবা পুরো দেওয়াল থাকার কারণে সেখানে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে সঠিকভাবে সমার্থক করুন নাও হতে পারে।
- আপনার ও সতর্কতা সড়ক কেউ যদি একটি ছোট জিপিএস ডিভাইস আপনার সাথে দিয়ে দেয় তাহলে সব সময় সে আপনার লোকেশন ট্র্যাক করার মাধ্যমে আপনাকে নজর বন্দি করে রাখতে পারবে।
- জিপিএস চিপগুলো বেশি বেশি শক্তি খরচ করে ফেলে এর জন্য আপনার ব্যাটারি খুব অল্প সময়ের ভেতরে ডাউন হয় এবং প্রয়োজন পড়ে বেশি বেশি চার্জ দেওয়ার। আশা করছি নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন জিপিএস (Gps)কি ? জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় ? সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে।
জিপিএস কিভাবে কাজ করে
প্রিয় পাঠক, আমরা বেশিরভাগ সময় জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করলেও জানি না GPS
কিভাবে ব্যবহার হয় সেই সম্পর্কে। আপনি কি জানেন জিপিএস কিভাবে কাজ করে। যদি না
জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি পরে এখনি জেনে দিন জিপিএস এর কাজ করা সম্পর্কে।
কারণ এখন আমরা সে বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করব।
আপনার ফোনে এক ধরনের জিপিএস চিপ রয়েছে যা হচ্ছে এক ধরনের GPS সিগন্যাল
রিসিভার। জিপিএস স্যাটেলাইট থেকে যে ধরনের সিগনাল পাঠানো হয় সেগুলোকে ধরতে
পারে এই সিগনাল রিসিভার। জিপিএস স্যাটেলাইট এর ভেতরে থাকে এটমিট ক্লক। যা
একদম সূক্ষ্ম সময় দিতে পারে দিনের পর দিন মাসের পর মাস অনেক বছর দীর্ঘ সময়
ধরে।
স্যাটেলাইট গুলো যখন সিগনাল পাঠায় সেটি হলো মূলত ওই সিগন্যালটি পাঠানোর
সময়কার সময়টি। আর আপনার মোবাইলে প্রাপ্ত ওই সিগন্যালটি উৎপন্ন সময় যখন
স্যাটেলাইট থেকে পাঠানো ওই সিগনাল রিসিভ করে এর ফলে ব্যবধান থেকে সেই
স্যাটেলাইট এবং আপনার ফোনের ভিতরে যে মধ্যকার দূরত্ব থাকে তা প্রকৃতভাবে হিসাব
করে নেয়।
মূলত এই দূরত্ব থেকে জিপিএস নির্ধারণ করে ফেলে আপনার অবস্থান টি। আশা করছি আপনি
বিস্তারিত জেনে গেছেন ।
জিপিএস ট্র্যাকার কি ?
আজকের এ আর্টিকেল থেকে নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন জিপিএস এর সুবিধা
অসুবিধা এবং জিপিএস কি এসএমএস জিপিএস কিভাবে কাজ করে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে।
অনেকে জানতে চেয়েছেন জিপিএস টাকার কি। তাই এখন আমরা আলোচনা করব জিপিএস
ট্র্যাকার কি ? এ বিষয়ে সম্পর্কে। চলুন জেনে আসা যাক।
জিপিএস ট্রাকার হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে ডিভাইস ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব
সহজেই কোন কিছুর নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে নির্ধারণ করে এবং খুব সহজভাবে সেই
তথ্য রিসিভার অথবা কেন্দ্রীয় সার্ভারে পাঠায়। জিপিএস ট্র্যাকার অনেক রকম
হতে পারে যেমন -
- যানবাহন জিপিএস ট্র্যাকারঃ এ ধরনের টাকার গুলো সাধারণত ইন্সটল করা হয়ে থাকে যানবাহন গুলো পরিচালনা কিংবা গাড়ির অবস্থান, গাড়ির বিভিন্ন রিয়েল টাইম আপডেট, গাড়ি চুরির পুনরুদ্ধার,যানবাহন অপারেশন কিংবা গতি নির্ণয় করার ক্ষেত্রে।
- পোর্টেবল জিপিএস ট্রাকারঃ এধরনের জিপিএস টাকার গুলো সাধারণত ছোট ব্যাটারি চালিত এক ধরনের ডিভাইস যা সংযুক্ত হয় বস্তু, মানুষ অথবা বহন করে প্রাণী ও। সাধারণত এ সকল ডিভাইসগুলো ব্যক্তিগত কিংবা সম্পদের ক্ষেত্রে ট্রাকিং হয়। যেমন - লাগে, যানবাহন ইত্যাদি।
- অ্যাসেট জিপিএস ট্র্যাকারঃ এ ধরনের জিপিএস টাকার গুলো ব্যবহার করা হয় খুব উচ্চমূল্যের সম্পদ গুলোতে। যেমন - ট্রানসিটে মূল্যবান পণ্য গুলোর জন্য, বিভিন্ন ধরনের শিপিং কন্টেনার, শিল্প এর সরঞ্জাম গুলোতেও। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
- পরিধানযোগ্য জিপিএস ট্রাকারঃ এসকল জিপিএস ট্র্যাকার গুলো সাধারণত ডিজাইন করা হয় পরিধান করতে। ফিটনেস কিংবা স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন - হৃদস্পন্দন পর্যবেক্ষণ, ব্যায়াম করার সময় বিভিন্ন ধরনের ভ্রমণের দূরত্ব। ইত্যাদির ট্রেকিং কাজে ব্যবহৃত হয়। জিপিএস (Gps)কি ? জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় ? সুবিধা ও অসুবিধা গুলো নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে।
জিপিএস রিসিভার কি? (GPS Receiver)
আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই এতক্ষন আমরা জেনে গেছি যে স্যাটেলাইট থেকে পাঠানোর যে
কোন সিগনাল রিসিভ করা হয় মূলত এই জিপিএস রিসিভার দ্বারা। আপনি যদি না জেনে
থাকেন জিপিএস রিসিভার কি। তাহলে আর্টিকেলের এই অংশে পড়ে জেনে নিন। কারণ এখন
আমরা আলোচনা করব জিপিএস রিসিভার কি? (GPS Receiver) এ সম্পর্কে বিস্তারিত।
রিসিভার হচ্ছে এমন একটি সাধারণ উপাদান যা আমরাদের ব্যবহৃত প্রায় অনেক ডিভাইসের
সাথে যুক্ত থাকে। মূলত রিসিভার স্যাটেলাইট থেকে যে pseudo random code পাঠানো
হয় তাকে Synchronize তে তৈরি করে এবং যেকোনো রকমের স্মার্ট ডিভাইস গুলোতে যে
জিপিএস রিসিভার রয়েছে সেই ডিভাইস গুলোর ভেতরে এগুলো করে ফেলে Up To Dtae.
আর এর ফলে স্যাটেলাইট এবং রিসিভার এর ভেতরে একই ধরনের সময় হয়ে যায়। যেমন-
স্মার্ট ওয়াচ, স্মার্টফোন, গাড়ি, ল্যাপটপ। আশা করছি জেনে গেছেন জিপিএস
রিসিভার কি।
জিপিএস এর বিভিন্ন অংশের নাম
জিপিএস সম্পর্কিত অনেক কিছুই জানলেন। কিন্তু আপনি কি জানেন জিপিএস এর বিভিন্ন
অংশের নাম গুলো। যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোনই কারণ নেই। কারণ আজকের
আর্টিকেলের এই অংশে আপনি জানতে পারবেন GPS এর বিভিন্ন অংশের নাম। তাহলে আর দেরি
কিসের। চলুন এখনই বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
সাধারণত গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম কিংবা GPS এর অংশ রয়েছে তিনটি। আর এগুলো
হচ্ছে - কন্ট্রোল সেগমেন্ট, স্পেস সেপমেন্ট, রিসিভার। এই তিনটি উপাদান
একত্রিতভাবে কাজ করার ফলে বিভিন্ন সময় সম্পর্কিত, অবস্থান, এবং নেভিগেশন
সম্পর্কিত বিভিন্ন সব তথ্যসমূহ একদম নিখুঁতভাবে নির্ধারণ করে।
জিপিএস এর বৈশিষ্ট্য
জিপিএস (Gps)কি ? জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় ? সুবিধা ও অসুবিধা তো জানলেন।
জিপিএস এর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার জানা দরকার। তাই এখন আমরা জানবো
জিপিএস এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। চলুন জেনে আসা যাক।
- যেকোন প্রান্ত যেকোন স্থানের অবস্থানকে নির্ণয় করে নিখুঁতভাবে তথ্য পেতে ব্যবহার হয় জিপিএস।
- জিপিএস এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আপনি জিপিএস ব্যবহার করে খুব সহজেই উচ্চতা নির্ণয় করতে পারবেন।
- জিপিএস দিয়ে জাহাজ কিংবা স্টিমার এর নাবিকগণ খুব সহজেই দিক নির্ণয় করে জিপিএস এর মাধ্যমে।
- মিসাইল কিংবা রকেট ইত্যাদির দিক নির্ণয় করার ফলে তথ্য দেয় জিপিএস।
- এছাড়াও ট্রেনের বিভিন্ন ধরনের গতিবেগ নির্ণয় করতেও জিপিএস ব্যবহার হয়।
- এছাড়াও পরিবহন ব্যবস্থার দুর্ঘটনা মুক্ত করতে gps ব্যাপার হয় এবং সেটা গাইড হিসেবে ভূমিকা পালন করে পর্যটকদের। আশা করছি এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
স্মার্টফোনে জিপিএস চালু করার পদ্ধতি
আপনার যদি স্মার্ট ফোন থেকে থাকে তাহলে আপনিও খুব সহজেই আপনার এই স্মার্টফোন
থেকে জিপিএস চালু করে নিতে পারবেন জিপিএস এর সুবিধা গুলো। তবে এজন্য তার আগে
আপনাকে জানতে হবে স্মার্টফোনে জিপিএস চালু করার পদ্ধতি। আপনি যদি এটা না জেনে
থাকেন তাহলে এখনি জেনে নিন স্মার্টফোনে জিপিএস চালু করার পদ্ধতি।
স্মার্টফোনে যদি আপনি GPS চালু করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে খুঁজে বের করতে
হবে আপনার ফোনে থাকা সেটিং অপশন। এবার সেখান থেকে আপনি চালু করুন Location নামক
অপশন। এটা করার ফলে খুব সহজেই আপনার সাথে কানেক্ট হবে জিপিএস। সাধারণ তো একটা
বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি ফোনে জিপিএস চালু করতে চান তবে এক্ষেত্রে কোন নেট
কানেকশন প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এটা দিয়ে যদি আপনি কোন কিছুর অবস্থান ।
গতি কিংবা এটা থেকে সেবা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার নেটওয়ার্ক প্রয়োজন হবে।
আপনি যদি মনে করেন গুগল ম্যাপ দিয়ে কোন কিছু দেখবেন জিপিএস দিয়ে তাহলে এজন্য
নেট কানেকশন প্রয়োজন হবে। আশা করছি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
লেখকের মতামত
জিপিএস ব্যবহার করে আপনি অনেক সুযোগ সুবিধা নিতে পারবেন যা আজকের আর্টিকেলে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। জিপিএস দিয়ে খুব সহজেই আপনি যেকোন প্রান্তের
অবস্থান নির্ণয় করতে পারবেন গতিবিধির লক্ষ্য করতে পারবেন। আজকে আর্টিকেলে
আলোচনা করা হয়েছিল। জিপিএস (Gps)কি ? জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় ? সুবিধা ও
অসুবিধা সম্পর্কে।
আশা করছি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে কিংবা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই বেশি
বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ এ সকল তথ্য সেবা পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের
এই www.multuplebd.com ওয়েবসাইটটি। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য
ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url