জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা - জন্ডিসের কারণ ও লক্ষণ কি জানুন
ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি জানতে চাপ দিনআপনি কি জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা জন্ডিসের কারণ ও লক্ষণ কি জানেন ? যদি না
জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোনই কারণ নেই কারণ আজকের পোস্টে আমি আলোচনা করেছি
জন্ডিসের কারণ এবং লক্ষণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। তা অবশ্য বিস্তারিত
জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। বর্তমান সময়ে ছোট থেকে বড় সবাই জন্ডিসের শিকার।
জন্ডিস হলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। শরীর থাকে অনেক ক্লান্ত।
কিন্তু অনেকেই জানিনা এসব কারণ এবং লক্ষণ কি। যা আলোচনা করা হয়েছে আজকের পুরো
পোস্ট জুড়ে। এছাড়াও আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি জন্ডিস প্রতিরোধে করণীয় কি
এই সম্পর্কেও। তাহলে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক।
ভূমিকা
জন্ডিস তিন ধরনের হয় এবং এটা মূলত পানিবাহিত রোগ। কারো জন্ডিস হলে তার চোখ হলুদ
হয় এবং প্রস্রাব ও হলুদ হয়ে যায়। এই সময়ে আমাদের উচিত বিভিন্ন ধরনের সবজি
খাওয়া এবং পুষ্টিকর ফল খাওয়া। লিভারের সমস্যার কারণে জন্ডিস হলেও অনেকের
ক্ষেত্রে তা বংশগত কারণেও হতে পারে। পৃথিবীতে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে জন্ডিস
রোগে।
জন্ডিসের কারণ। জন্ডিস কেন হয়।
জন্ডিস রোগের প্রতিকার করতে হলে তার আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে জন্ডিস কেন হয়।
আপনি কি জানেন জন্ডিস কেন হয় ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কারণ নেই। কারণ
এখন আমরা আপনাকে জানাবো জন্ডিসের কারণ সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে ছোট থেকে বড় সবাই
এর আগে আক্রান্ত হচ্ছে। তো চলুন এবার জেনে আসা যাক জন্ডিসের কারণ।
আমাদের প্রত্যেকের সবার শরীরেই ব্লাড সেল রয়েছে দুই ধরনের। একটি হচ্ছে রেড ব্লাড
সেল এবং অন্যটি হচ্ছে হোয়াইট ব্লাড সেল। একটা নির্দিষ্ট সময়ে রক্তে রেডব্লাড
সেল গুলো ভেঙ্গে যায় এবং সৃষ্টি করে বিলুরুবিন। যা আমাদের লিভারের মাধ্যম দিয়ে
পিত্তরসের দারা পিত্তনালী দিয়ে পরিপাকতন্ত্র এবং একসময় পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে
পায়খানা বা মল দিয়ে শরীর থেকে বাইরে আসে।
কিন্তু যদি ঠিকভাবে এই বিলি রবিন শরীর থেকে বের না হয় তাহলে শরীরে এর মাত্রা
বাড়তে থাকে এবং দেখা যায় আমাদের সবার কাছে পরিচিত এক নাম জন্ডিস নামক এক
রোগ।সাধারণত জন্ডিস তৈরি হয় লিভার এর প্রদাহ দারা। এছাড়া জন্ডিস হওয়ার পিছনে
আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও সৃষ্টি হয় জন্ডিস।
পিত্তথলিতে পাথর, থ্যালাসিমিয়া রোগ, শরীরের টিউমার কিংবা ক্যান্সার,
হিমোগ্লোবিনের সমস্যা থাকলেও সৃষ্টি হতে পারে জন্ডিস। অনেকেই মনে করেন শুধু
লিভারের সমস্যার কারণে জন্ডিস হয় তবে পুরোপুরি এ ধারণা ঠিক না।
জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা
জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীদের জন্য খাবার তালিকা মেনটেন করে চলা খুব জরুরী। জন্ডিস
রোগীদের ক্ষেত্রে খাবার গুলো অবশ্যই সতর্কতার সাথে খাওয়া দরকার। কিন্তু অনেকেই
জানেন না এসব খাবার সম্পর্কে । তাহলে চলুন এবার জেনে আসা যাক জন্ডিস রোগীর খাবার
তালিকা।
- প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ জন্ডিস রোগীদের জন্য খাবার তালিকায় প্রোটিনযুক্ত খাবার থাকতে হবে। এজন্য মুরগির মাংস, মাছ, ডাল পরিমাণ মতো থাকা দরকার। নয়তো রোগী আরো দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবারঃ বাতাবি লেবু, লেবুর শরবত জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীর জন্য অনেক ভালো। এগুলো খাওয়া হলে তা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরও পূরণ করে পানির চাহিদা। এর পাশাপাশি চাইলে বাদামও খেতে পারেন। কিছু পরিমাণ আদা কিংবা রসুন কুচি করে আদা চায়ের সাথে কিংবা আদার রস করে খেতে পারেন। যকৃতের জন্য এগুলো অনেক ভালো।
- গোটা শস্যঃ কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা পূরণ করার জন্য ওটস বাদামের চাল রুটি এগুলো খেতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং আরস থাকে গোটা শস্যে।এছাড়া এগুলো শরীর থেকে বের করে দেয় ক্ষতিকর টক্সিন ও।
- ফলঃ জন্ডিস রোগীদের জন্য ফল হিসেবে আঙ্গুর, বেরিস,পাকা আম, তরমুজ, পেঁপে, জলপাই, কমলা ও অ্যাভোকাডোর মতো সহজপাচ্য ফলগুলো রাখতে পারেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে।
- সবজিঃ পালংশাক, মিষ্টি, আলু, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, ফুলকপি,টমেটো, মূলা, ব্রকলি, বিট এগুলো খাওয়া যেতে পারে। জন্ডিস রোগীদের জন্য এগুলো খুবই উপকারী।
- পানিঃ জন্ডিস রোগীদের অবশ্যই পরিমাণমতো পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ গ্লাস করে পানি পান করা লাগবে। আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন গুলো বের করতে পানি সাহায্য করে। ডাবের পানি ও আমাদের শহরের জন্য ভালো। আপনি চাইলে আখের রস খেতে পারেন। কিন্তু ফুটপাতে রাস্তায় বিক্রি করার আগে রস না খেয়ে বাড়িতে তৈরি করে খেতে হবে।
জন্ডিস প্রতিরোধে করণীয়
অনেকেই জানতে চেয়েছেন জন্ডিস প্রতিরোধে করণীয় কি। আসলে জন্ডিস প্রতিরোধ করার
জন্য কিছু নিয়ম মেনে চললে জন্ডিসের থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাহলে
চলুন এবার আমরা জেনে আসি জন্ডিস প্রতিরোধে করণীয় গুলো।
- সিরিঞ্জ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ব্যবহার করাতে হবে ডিসপোজিবল সিরিঞ্জ।
- শরীরে যেন হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস বি না হয় এজন্য আশঙ্কা মুক্ত করার জন্য আপনাকে এসবের ভ্যাকসিন গ্রহণ করা লাগবে। জন্ডিস হয়ে গেলে কি করা নিয়ে কোন লাভ হয় না এজন্য আগেই টিকা নিয়ে থাকতে হবে।
- সেলুনে সেভ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যেন অন্যের ব্যবহার করা ব্লেড বা খুব যেন ব্যবহার না হয়।
- আপনার যদি কোনরকম সংক্রমণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- সব সময় আপনাকে বিশুদ্ধ পানি ও বিশুদ্ধ খাবার খেতে হবে। নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
- রক্ত নেওয়ার সময় আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্কিনিং করতে হবে।
- বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
- যৌন মিলন নিরাপদ করতে হবে।
- বেশি মসলাযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন।
জন্ডিসের লক্ষণ সমূহ
এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আলোচনা করলাম জন্ডিস রোগের খাবার তালিকা জন্ডিসের কারণ সহ
বিভিন্ন বিষয়ে। অনেকেই জানিনা জন্ডিস হলে লক্ষণ গুলো কি কি। আপনি কি জানতে
চাচ্ছেন জন্ডিস রোগের লক্ষণ সমূহ? তাহলে চলুন এবার জেনে আসা যাক জন্ডিসের লক্ষণ
সমূহ।
- জন্ডিস হলে ত্বক এবং শরীর হলুদ হয়ে যায়।
- চোখের ভেতরে হলুদ হয়ে যায়।
- শরীর অনেক দুর্বল লাগে।
- প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়।
- নাভির আশপাশে এবং তলপেটে ব্যথা করে।
- খাবার থেকে রুচি হারিয়ে যায় এবং খাবারের অরুচি চলে আসে।
- পায়খানার রং পরিবর্তন হতে পারে।
- অনেকের ক্ষেত্রে এলার্জির মতো চুলকানি হয় শরীরে।
- শরীরে জ্বর জ্বর ভাব হয় অনেক সময় কাঁপনির মতো জর আসতে দেখা যায়।
- পেটে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয়।
- ওজন কমতে থাকে।
জন্ডিস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ
জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা জন্ডিসের কারণ ও লক্ষণ কি জানলেও অনেকে জানে না জন্ডিস
হলে কি কি খেতে হয় না। তাই এখন আমরা জানবো জন্ডিস হলে কি কি খাওয়া নিষেধ।
জন্ডিস রোগীর ক্ষেত্রে খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ থাকে। তাহলে চলুন
জেনে আসি সে বিষয়গুলো সম্পর্কে।
- জন্ডিস রোগীদের জন্য অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।
- অ্যালকোহল জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে।
- কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যেসব তরকারিতে বা খাবারে অতিরিক্ত তেল রয়েছে সেগুলো খাওয়া যাবেনা।
- জন্ডিস হলে গরুর মাংস সিদ্ধ বা ভাজা ডিম না খাওয়াই ভালো।
- যে খাবারগুলোতে অধিক পরিমাণে ফ্যাট থাকে সেগুলো না খাওয়াই ভালো হয়।
জন্ডিস হলে কি মানুষ মারা যায়
জন্ডিস আক্রান্ত রোগী সহ আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে জন্ডিস হলে কি মানুষ মারা
যায় ? এটা নিয়ে আমাদের সবার মনে একটা ভয় কাজ করে থাকে। তাই এখন আপনাদের সাথে
আলোচনা করব জন্ডিস হলে কি মানুষ মারা যায় এ বিষয়ে সম্পর্কে। সারা বিশ্বে জন্ডিস
আক্রান্ত হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ। জন্ডিস রোগ লিভারের প্রদাহ দ্বারা সৃষ্টি হয়ে
থাকে।
সারা বিশ্বের লক্ষাদিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে থাকে জন্ডিস রোগে। শরীরে জন্ডিস হওয়া
অনেক সময় লক্ষণ দেখা দিতে পারে অনেক বড় বড় রোগের। এজন্য কারো জন্ডিস হলে
অবহেলা না করে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জন্ডিস রোগ
যেহেতু বিভিন্ন কারণে হয় তাই এক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
লোহিত রক্তকণিকা যদি অতি পরিমান ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় তাহলে অতিমাত্রায় সৃষ্টি করে
বিলিরুবিন। আবার অনেকে এর ক্ষেত্রে যদি লিভারের সমস্যা হলে সৃষ্টি হতে পারে
জন্ডিস। অতিমাত্রায় যদি জন্ডিস বেড়ে যায় তাহলে সৃষ্টি হতে পারে ক্যান্সার।
অনেক সময় আবার মৃত্যুও পর্যন্ত হতে পারে জন্ডিস হলে।
জন্ডিস হলে কি কি টেস্ট করতে হয় ?
আপনি কি জানেন জন্ডিস হলে কি কি টেস্ট করতে হয় ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে
চিন্তার কোনই কারণ নেই। কারণ আজকের আর্টিকেলের এ অংশে আমরা আলোচনা করব জন্ডিস হলে
কি কি টেস্ট করতে হয় ? তাহলে আর দেরি কেন। চলুন জেনে আসি জন্ডিস হলে যেসব টেস্ট
করতে হয়।
- সর্বপ্রথম প্রাথমিকভাবে টেস্ট করে নিতে হয় জন্ডিস হয়েছে কিনা বা কোন স্টেজে রয়েছে।
- যাদের ক্ষেত্রে জন্ডিস অনেক পুরনো। কখনো হয় তো কখনো আবার ভালো হয়। এমন ক্ষেত্রে ক্যালোরি ডিপ্রাইজেশন টেস্ট করা লাগে।
- সি বি সি ও ব্লাড টেস্ট করতে হয় জন্ডিস হলে।
- আল্ট্রাসনোগ্রাম করার ফলে যদি দেখা যায় কারো ক্ষেত্রে লিভারে জন্ডিস হয়েছে তাহলে এজন্য টেস্ট করতে হবে এমারসিপি।
- যাদের ক্ষেত্রে মনে হয় যে ওষুধ সেবন কিংবা ড্রাগজনিত কারণে জন্ডিস হচ্ছে তাহলে এক্ষেত্রে গামা-জিটি নামক টেস্টি করতে হবে।
- রক্ত জনিত কারণে যদি জন্ডিস হয় তাহলে এক্ষেত্রে টেস্ট করতে হয় হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোসিস। যেকোনো টেস্ট করার আগে অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে
জন্ডিস কত প্রকার
এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা জানলাম জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা জন্ডিসের কারণ ও লক্ষণ সহ
জন্ডিস নিয়ে বিভিন্ন বিষয়। তাই এখন আমরা জানবো জন্ডিস কত প্রকার। তাহলে চলুন
বিস্তারিত জানা যাক।
- হ্যামোলাইট্রিক জন্ডিসঃ অল্প বয়সে এবং জন্ডিসের সাথে যদি রক্তশূন্যতা হয় তাহলে এক্ষেত্রে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা অনেক পরিমাণ ধ্বংস হয়। এ ধরনের সমস্যাকে বলা হয় হিমোলাইটিক জন্ডিস। এক্ষেত্রে জ্বিভ এবং চোক হলুদ হয়,খুদা কমে যাওয়া এমনকি বমি বমি ভাবও আসতে পারে।
- হেপাটোসেলুলারঃ লিভার এ কোষের সমস্যার দ্বারা সৃষ্টি হয় এরকম জন্ডিস। হেপাটাইটিস,কার্সিনোমা অফ লিভার ইত্যাদি রকম জটিল শারীরিক সমস্যা জনিত কারণে বিলুরুবিন যদি পরিণত হয় পিত্তরসে তাহলে এটা রক্তে মিশে যায় এবং সৃষ্টি করতে পারে হেপাটোসেলুলার জন্ডিস।
- অবস্ট্রোকটিভ জন্ডিসঃ পিত্তথলিতে পাথর সৃষ্টি হলে এ ধরনের জন্ডিস সৃষ্টি করে। এছাড়াও পেটের ভেতরে থাকা কিরমি যখন পিত্তথলিতে ঢুকে, আর সে কারণে যদি বন্ধ হয় পিত্তরস চলাচল এর ফলে সৃষ্টি হয় এমন জন্ডিস। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়
আপনি কি জানেন বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে
এখনি জেনে নিন বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়। কারণ আমরা এখন আলোচনা করব এ
বিষয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে আসা যাক। বিলিরুবিনের যে ঘনত্ব থাকে তার
স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে 1.2mg/dl এ মাপের নিচে।
কিন্তু যদি কারো ক্ষেত্রে বিলিরুবিনের ঘনত্ব এই স্বাভাবিক মাত্রা না থেকে যদি
3mg/dl কিংবা এর থেকেও বেশি হয় তাহলে জন্ডিস সৃষ্টি হয়। আমাদের শরীরের যখন এর
মাত্রা বাড়তে থাকে তখন আমাদের প্রস্রাব হলুদ হয় এবং চোখসহ শরীরও হলুদ হতে
থাকে। আর এভাবে জন্ডিসের উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়।
জন্ডিস কি বাহিত রোগ
জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা জন্ডিসের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে আমরা তো জানলাম।
কিন্তু জন্ডিস কি বাহিত এটা অনেকেরই অজানা। তাইতো এখন আমরা আলোচনা করব জন্ডিস কি
বাহিত রোগ।তাহলে চলুন এবার জেনে আসি। সাধারণত জন্ডিস হচ্ছে পানিবাহিত এক ধরনের
রোগ। অস্বাস্থ্যকর এবং দূষিত প্রাণী যদি পান করা হয় তাহলে এ জন্ডিস হতে পারে।
এছাড়াও রান্নার কাজেও যদি এরকম দূষিত বা অস্বাস্থ্যকর পানি দিয়ে রান্না করা হয়
আর তা যদি আমরা খায় তাহলে জন্ডিসের জীবাণু। একসময় যা ছড়িয়ে পড়তে থাকে আমাদের
শরীরে। বর্ষাকালে যত পানি বিষাক্ত খুব বেশি হয় তাই এ কারণেই বর্ষাকালীন সময়ে
জন্ডিস রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়। কিন্তু মানুষ জন্ডিসে আক্রান্ত হতে
পারে বছরের যে কোন সময়েই।
লেখকের শেষ কিছু কথা- জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা জন্ডিসের কারণ ও লক্ষণ
জন্ডিস যেহেতু যেকোনো বয়সের মানুষেরই হয় এজন্য আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।
অন্যের ব্যবহার করা সিরিঞ্জ আমাদের ব্যবহার করা যাবে না। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া তেল
খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আজকের আর্টিকেলে আমরা এ সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি
শেয়ার করে দিন এবং আপনার একটি শেয়ার মাধ্যমে সুযোগ করে দিন আপনার বন্ধু ও
আশপাশের মানুষদেরও এ সকল তথ্য সেবা পেতে। আর হ্যাঁ এ সকল তথ্য সেবা পেতে নিয়মিত
ভিজিড করুন আমাদের এই Www.multiplebd.comওয়েবসাইটটি।ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url