১২ টি উপায়ে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করতে চাপ দিনআজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ১০টি পদ্ধতি
সম্পর্কে। আপনি কি জানতে চাচ্ছেন youtube থেকে আয় করার পদ্ধতি গুলো ? তাহলে
আজকের আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আজকের
আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানাবো ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়
সম্পর্কেও।
বর্তমান সময়ে ইউটিউবিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিচ্ছে বড় বড় সব ইউটিউবার।
আপনিও যদি চান youtube থেকে আয় করতে তাহলে জেনে নিন ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার
১০টি পদ্ধতি। বিস্তারিত জানান আর্টিকেলে।
পোস্ট সূচিপত্র
আপনি কি ইউটিউবিং করে টাকা আয় করতে চাচ্ছেন ? আপনিও যদি চান ইউটিউব থেকে আয়
তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জেনে যাবেন
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ১০ টি পদ্ধতি সম্পর্কে। আপনি ইউটিউব থেকেই শর্টস এর
মাধ্যমে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ, চ্যানেল মেম্বারশিপ, ব্যাকিং
বিক্রি এছাড়াও আরো অনেক উপায় আয় করতে পারবেন যা আলোচনা করা হয়েছে আর্টিকেলে।
তাই অবশ্যই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ পড়ুন।
ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম
প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায় ? যদি না
জেনে থাকেন তাহলে জেনে জেনে আসুন এখনই। আপনি চাইলে youtube এ ভিডিও না বানিয়ে
নিয়ম ইনকাম করতে পারবেন। youtube ভিডিও না বানিয়ে অনেক রকম ভাবে আয় করা যায়
আপনি সেই কাজগুলো করতে পারবেন।
যেমন - আপনি চাইলে অন্য কারো ইউটিউব ভিডিওতে জেনারেট করতে পারেন রেভিনিউ। অন্য
কারো ভিডিওগুলোর গুরুত্বপূর্ণ টপিক আপনি ভালো করে এডিট করে সেগুলো কপিরাইট মুক্ত
করে মিউজিক লাগিয়ে এটুবে আপলোড করলে সেখান থেকেও আপনি আপনার ইনকাম জেনারেট করতে
পারবেন। আপনি যদি এভাবে কাজ করতে চান তাহলে -
অবশ্যই আপনাকে হতে হবে একজন মাস্টার মাইন্ডের প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর। আপনি যদি
অন্য কারো ভিডিও এডিট করার সময় ভালো করে এডিট না করার কারণে যদি কপিরাইট
স্ট্রাইক হয় তাহলে আপনি টাকা পাবেন না এমনকি আপনার যে ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে তা
ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ব্যান করতে পারে।
ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ১০টি পদ্ধতি গুলোর ভেতরে একটি হচ্ছে ইউটিউব
শর্টস থেকে ইনকাম। আপনি ইউটিউব শর্টস থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে আজকের পর থেকে আপনি এ
পদ্ধতির মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা শুরু করে দিতে পারবেন ।
ইউটিউব শর্টস থেকে টাকা আয় করা বর্তমানে অনেক সহজ একটা কাজ। খেয়াল করে দেখবেন যখন
আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে থাকেন হট করে আপনার সামনে অনেক শর্ট ভিডিও চলে আসে। ঠিক
একইভাবে আপনিও চাইলে এমন শর্ট ভিডিও বানিয়ে আয় করতে পারবেন অনেক টাকা। এরকম
শর্ট ভিডিও হতে পারে অনেক রকমের ।
যেমন - ইসলামিক ভিডিও, গান, যেকোনো ধরনের মার্কেটিং, যেকোন তথ্য, আবহাওয়া
সংক্রান্ত, ডান্স, ফানি ভিডিও, মোটিভেশনাল,খেলাধুলা ইত্যাদি সকল ধরনের ভিডিও আপনি
বানাতে পারবেন। আর এ সকল শর্ট ভিডিও দিয়ে আপনি আয় ও করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই
আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে।
আর তুই যদি এ শর্ট ভিডিও দিয়ে ইনকাম করতে চান অবশ্যই তাহলে ইউটিউব চ্যানেলটি
মনিটাইজেশন করতে হবে। আপনি যদি ইউটিউব শর্ট ভিডিও দিয়ে ইনকাম করতে চান তাহলে
অবশ্যই আপনাকে সাবস্ক্রাইবার হতে হবে ১০০০ তা হতে হবে ৯০ দিনের ভেতরে। এছাড়াও
ভিউ থাকতে হবে ১০ মিলিয়ন। আপনার ইউটিউব সট যদি মনিটাইজেশন হয়ে যায় তাহলে এখান
থেকে আপনি আয় করতে পারবেন প্রচুর পরিমাণ টাকা। আশা করছি বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন।
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ১০টি পদ্ধতি জেনে নিন
আজকে আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে।
যে উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন অনেক টাকা।
আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন কিভাবে
আয় করবেন। নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
-
ভিডিওতে এড দেখানোর মাধ্যমেঃ আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান তাহলে
অবশ্যই একটি youtube চ্যানেল খুলবেন এবং সেখানে ভিডিও আপলোড করলে আপনি যদি
google এডসেন্স পেয়ে থাকেন তাহলে সে ভিডিওতে ১০০ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম
করতে পারবেন।
-
পণ্য বিক্রয় করে আয়ঃ ধরুন আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। সেই ইউটিউব
চ্যানেলে আপনি বিভিন্ন পণ্যর গুনাগুন তুলে ধরলেন এবং যেগুলো আপনার অডিয়েন্স
দেখল এবং পণ্যটি ক্রয় করলো। এখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
-
ভিডিও ভিউ করে আয়ঃ আর্টিকেলটি পরে নিশ্চয়ই এতক্ষণ জেনে গেছেন আপনি
যদি ইউটিউব ভিডিও ভিউ করে টাকা পেতে চান তাহলে অবশ্যই একটি ইউটিউব চ্যানেল
থাকতে হবে। তাহলে আপনি এই ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করলেন যেগুলো
ভালো ভিউ হলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা দিবে। এখান
থেকে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
-
ইউটিউব প্রিমিয়াম ব্যবহার করেঃ ইউটিউবে যখন আপনার ভিডিও গুলোর
মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম শুরু করতে পারবেন তখন আপনি ইউটিউব প্রিমিয়ামে গিয়ে
সাইন আপ করে নিবেন। এতে করে আপনার ইনকাম বেড়ে যাবে। কারণ এই ফিচরে
সাবস্ক্রাইবার রক অতিরিক্ত পরিমাণ খরচ যে কোন রকম বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও দেখে।
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ১০টি পদ্ধতির ভেতরে এটি একটি ।
-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেঃ আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান
তাহলে এক্ষেত্রে আপনার জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে অন্যতম একটি
মাধ্যম। আপনার ভিডিওগুলোর শেষে অথবা ভিডিও ডেসক্রিপশনে আপনি লিংক দিয়ে দিলেন
অন্য কোন কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের পণ্যের। আর আপনার ভিডিওর ভেতরে এ
সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করলেন। তাহলে আপনার দেওয়া এই লিংকে এসে যারা ক্লিক করে
পণ্য কিনবে সেখান থেকে আপনিও একটি নির্দিষ্ট মাপে কমিশন পাবেন। এভাবে আপনি
ইউটিউব এ এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
-
চ্যানেল মেম্বারশিপ থেকে ইনকামঃ আপনার যে ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে তা
আপনি মেম্বারশিপ মাধ্যমেও প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন ইউটিউব থেকে। আপনার
চ্যানেলে আকর্ষণীয় কিছু ভিডিও দর্শকদেরকে আপনি ফ্রিতে দিয়ে দিলেন এবং
গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভিডিও রাখলেন। আপনার এ সকল ভিডিও যদি শিক্ষনীয় ও
গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে দর্শকরা টাকা দিয়ে পেমেন্ট করে আপনার থেকে এই
ভিডিও কিনবে। এতে করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার ও বাড়বে আর আপনি
চ্যানেল মেম্বারশিপ করেও ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
-
স্পন্সরশিপ থেকে আয়ঃ আপনার ইউটিউব ভিডিও যদি ভাল হয়ে থাকে এবং ভিউ
ভালো হয় তাহলে আপনি খুব সহজে স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার ভিডিওর ভেতরে আপনি বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এর স্পন্সার দিয়ে
দিলেন। এর বিনিময়ে এসে কোম্পানিগুলো আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেবে। আর
এভাবে আপনি চোখের মাধ্যমে দিয়ে স্পন্সর ছিট দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ১০টি পদ্ধতির ভেতরে এটি একটি ।
-
ব্রেন্ডিং প্রমোশন করে আয়ঃ আপনি অন্য কারো ব্যাংকে আপনার নিজের
ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি সেগুলো প্রমোশন করে সে ব্যান্ড কর্তৃপক্ষ থেকে
টাকার মাধ্যমে জেনারেট করতে সক্ষম হবেন। অর্থাৎ আপনার কোন ভিডিওতে আপনি সে
ব্যান্ড নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করলেন এবং সেই ব্যান্ডকে প্রমোশন করে দিলেন।
যার বিনিময়ে সে কর্তৃপক্ষ আপনাকে পেমেন্ট করল।
-
ব্যাকলিং বিক্রিঃ এমন অনেক ব্লগার রয়েছে যারা কোয়ালিটির সম্পূর্ণ
ব্যাকলিংক নিতে চাই। এজন্য আপনি আপনার ভিডিও সেরকম টাইপ সেই ধরনের
ওয়েবসাইটের কাছে আপনি লিংক বিক্রি করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। আশা
করছি বুঝতে পেরেছেন।
-
ভিডিও লাইসেন্স ইন করে আয়ঃ আপনার ইউটিউব ভিডিও যদি খুব বেশি ভাইরাল
হয় এবং সেগুলো চাহিদা যদি অনেক থাকে তাহলে বিভিন্ন প্লাটফর্ম আছে যারা এই
ধরনের ভিডিওকে স্ট্রিম করার জন্য আপনার ভিডিওকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে স্টিম
করবে। আর এভাবেই আপনি লাইসেন্সিংয়ের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে
পারবেন।
ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ১০টি পদ্ধতি তো জানলেন। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে
ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা। অবশ্যই আপনিও একটা জানতে আগ্রহী। তাই আজকের আর্টিকেলের
এই পর্বে আমরা আপনাকে জানাতে যাচ্ছি ইউটিউবে কত ভিউ হলে কত টাকা পাওয়া
যায়। চলুন বিস্তারিত ভাবে
জেনে আসা যাক।
ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিওর জন্য বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট দিয়ে থাকে। এজন্য আপনি কত টাকা পাবেন তা নির্ভর করে মূলত আপনার ভিডিও ভিউয়ের উপরে। সাধারণত আপনার যদি ১ হাজার ইউটিউব ভিউ হয় তাহলে এর জন্য পেতে পারেন ১ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ২৫ ডলার। কোন কোন ক্ষেত্রে এর থেকে বেশি উপরে পেতে পারেন।
আশা করছি বুঝতে পেরেছেন কত ভিউ হলে কেমন টাকা পাবেন। মূলত আপনার ইউটিউব ভিডিওতে
যে ধরনের এড শো হয় তার ওপর নির্ভর করে আপনার ইনকাম।
ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়
আর্টিকেলটি পরে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করবেন। এখন
প্রশ্ন হচ্ছে আপনি ভাবতে পারেন ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় ? যে
প্রশ্নর উত্তর দেওয়া হয়েছে আজকে আর্টিকেল এর এ অংশে। চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে
আসি ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যাবে প্রতিমাসে।
একটি প্রতিমাসে ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করতে পারবেন এটা মূলত আপনার কনটেন্ট
কোয়ালিটি আপনার সাবস্ক্রাইবার এর ওপর নির্ভর করে। ভিডিও যদি মাস্টার লেভেল হয়
এবং সাবস্ক্রাইবার বেশি হয় ভিউ ভালো হলে তাহলে অনেক টাকা পাবেন। ইউটিউব থেকে
টাকা ইনকাম করার জন্য নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ নেই।
সাধারণত আপনার ইউটিউব ভিডিওতে যদি ১০০০ ভিউ হয় তাহলে আপনি পেতে পারেন সর্বোচ্চ
২৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ১ ডলার। আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি যদি টপ অবস্থায় থাকে
তাহলে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। যারা নতুন
ইউটিউবার রয়েছে তারা ইউটিউব থেকে টাকা পেতে সময় লাগে।
তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর তারা ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করে ফেলেন নতুন
অবস্থাতেই। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
বিজ্ঞাপন থেকে আয়
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ১০টি পদ্ধতি যদি জানতে চান তাহলে অন্যতম একটি মাধ্যম
হচ্ছে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা। আচ্ছা আপনি কি জানেন কিভাবে youtube এ বিজ্ঞাপন থেকে
আয় করবেন ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার একদমই কারণ নেই। কারণ এখন আমরা
আপনাকে জানাবো বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা সম্পর্কে। চলুন জেনে আসি।
আপনি যদি ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে আপনার জন্য এটি
গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যে ভিডিও আপলোড করেন সেখানে খেয়াল করে
দেখবেন অনেক ধরনের বিজ্ঞাপন শো করে।বিজ্ঞাপন শো করে এখান থেকে টাকা আয় করতে
পারবেন গুগল এডসেন্স থেকে। কিন্তু কত টাকা আয় করবেন সে বিষয়ে নির্দিষ্ট মাপ
পাওয়া যাবে না।
এটা পুরোপুরি নির্ভর করবে গুগল এর উপরে। তবে একটি ধারণা মতে আপনার যদি ১০০০ ভিউ
হয় তাহলে এই এক হাজার ভিউ এর জন্য আপনি ডলার পাবেন ৩ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ
ডলার পেতে পারেন পর্যন্ত। আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন ।
অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে ইনকাম
আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার জন্য হতে পারে
অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে ইনকাম করা বেস্ট একটি চয়েজ। কিন্তু আপনি কি জানেন
কিভাবে অ্যাফিলিন দিয়ে ইনকাম করবেন ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের এই অংশ
পড়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।
কারণ এখন আমরা এই সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং অর্থাৎ অন্য কারো প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিওতে
প্রচার করে দিলেন। তার একটা লিংক আপনি দিয়ে দিলেন। মনে করুন আপনি দারাজ
প্রতিষ্ঠান এর একটি পন্ডের লিংক আপনার ভিডিওতে বললেন এবং লিঙ্ক করে দিলেন।
এখন আমি যদি এই লিংক ব্যবহার করে দারাজ থেকে কোন কিছু ক্রয় করি তাহলে আপনিও
কমিশন হিসেবে ধারাজ থেকেই পেমেন্ট পাবেন। এভাবে আপনি অ্যাফিলিয়েট লিংক এর
মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আশা করছি বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।
স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে আয় করা
আপনি স্পন্সারশিপ এর মাধ্যমে থেকে আয় করতে পারবেন প্রচুর পরিমাণে টাকা। অনেকে
জানতে চেয়েছেন স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে আয় করা যাবে কিভাবে এ সম্পর্কে। তাই এখন
আমরা আর্টিকেলের এই অংশে এসে আপনাকে জানাবো কিভাবে আপনি আয় করবেন স্পন্সারশিপ
থেকে। চলুন বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
মনে করুন আপনার যে ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে সেখানে আপনার আপলোড করা ভিডিওগুলো
প্রচুর ভিউ হয় এবং সাবস্ক্রাইবার অনেক। তাহলে আপনার এই ভিডিওর মধ্যে অনেক বড়
বড় প্রতিষ্ঠান চাইবে একটি স্পন্সর প্রকাশ করতে।এর ফলে স্পন্সর করার মাধ্যমে
তাদের প্রোডাক্ট বা পণ্য তারা সেল করতে পারবে।
এজন্য তারা আপনার সাথে একটি চুক্তি করবে আপনার ভিডিওর ভেতরে তাদের স্পন্সর
দেখানোর জন্য। আর এভাবে আপনি ইনকাম করতে পারবেন স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে।
ইউটিউব থেকে আয় কি হালাল
আজকের এই আর্টিকেল পড়ে নিশ্চয়ই এতক্ষন জেনে গেছেন কিভাবে আপনি ইউটিউব থেকে টাকা
আয় করবেন। সবার মনে একটি প্রশ্ন তৈরি হয় যে ইউটিউব থেকে যেটা আয় করব তা কি
হালাল নাকি হারাম। আপনার মনেও হয়তোবা এ প্রশ্ন রয়েছে। তো চলুন এবার আমরা জেনে
আসি ইউটিউব থেকে আয় কি হালাল। ইসলামী মোতাবেক যদি আপনি কন্টেন আপলোড করেন বা
ভিডিও তৈরি করেন তাহলে সেগুলো হালাল হবে।
আপনি আপনার গায়ের শ্রম দিয়ে সততার সাথে মানুষকে শিক্ষনীয় কিছু উপকারী দিক
বিষয়ে ইউটিউবে করলেন তাহলে তা হালাল হবে। কিন্তু আপনি যদি নেগেটিভ ভিডিও কিংবা
খারাপ ভিডিও যা ইসলামে নিষিদ্ধ এ সকল ভিডিও দিয়ে যদি ইউটিউবিং করেন বা কমেন্ট
করেন তাহলে তা হারাম হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন আপনি ইউটিউব থেকে আয় করা হালাল
নাকি হারাম।
লেখক এর মতামত
আজকের আর্টিকেলে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন আপনি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা সম্পর্কে।
তবে আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউবের সত্য
মেনে কাজ করতে হবে। ইউটিউব থেকে টাকা পাওয়ার জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে এবং
মনিটাইজেশন এর জন্য যে সকল সত্য রয়েছে অবশ্যই সেগুলো মেনে চলতে হবে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করছিলাম ইউটিউব নিয়ে বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে। আমি
আশা করছি আপনি সবকিছু ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি যদি
আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর হ্যাঁ সকল তথ্য
সেবা করতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই
www.multiplebd.com
ওয়েবসাইটটি। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url