জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা অসুবিধা- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব ও ব্যবহার
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি? এর প্রভাব ও সুবিধা-অসুবিধা জানতে এখানে
চাপ দিনআজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার বিষয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা অসুবিধা-
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব ও ব্যবহার সম্পর্কে। আপনি যদি জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। তাই অবশ্যই বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত পড়তে
থাকুন।
বর্তমান সময়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনেক আলোচিত একটি বিষয় তাই এই সম্পর্কে
আপনার জানা উচিত। যা জানতে পারবেন এই আর্টিকেলে। কারণ আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা অসুবিধা- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব ও
ব্যবহার নিয়ে আলোচিত হয়েছে। এছাড়াও আপনি জানতে পারবেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পোস্ট সূচিপত্র
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা রয়েছে। কৃষি থেকে শুরু করে ফরেনসিক এবং ওষুধ
শিল্পতেও ব্যবহৃত হচ্ছে যে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর
গুরুত্ব এবং ব্যবহারিক দিক রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে কিছু অসুবিধাও। যে
সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি আজকের এই আর্টিকেলটিতে। তাই অবশ্যই
বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি
আপনি যদি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা অসুবিধা- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর
গুরুত্ব ও ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই তার আগে আপনাকে জানতে হবে
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি ? আপনি যদি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে জেনে থাকেন
তাহলে আপনি এর পুরোপুরি সুবিধা নিতে পারবেন এবং ব্যবহারিক দিকগুলো ব্যবহার করতে
পারবেন।
চলুন বিস্তারিত জেনে আসে যাক। জীনতত্ত্ব এবং প্রকৌশল হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
এর অর্থ। এভাবেও বলা যায় যে, জীবের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করার জন্য যে বিশেষ এক
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। কোন
একটি জীব থেকে যখন একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী ডিএনএকে খন্ড এবং পৃথক করা হয় ।
এবং তা যখন ভিন্ন অন্য আরেকটি জীবে স্থানান্তর করা হয় তাহলে এই কৌশল কে বলা হবে
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। এটাকে আবার জিনতত্ত্ব কৌশল ও বলা হয়ে থাকে। ডি এন এ
পরিবর্তন করার জন্য এটাকে একটি প্রক্রিয়া বলা হয়। অর্থাৎ বলার যায় যে জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম কিংবা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা
অন্য কোন একটি জীবের ভিতর জিনোমকে পরিবর্তন করে থাকে। আশা করছি জানতে পেরেছেন
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি ।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর যতগুলো গুরুত্ব রয়েছে তার ভেতরে অর্থনৈতিক গুরুত্ব
অনেক। যেটা আপনার জানা উচিত। এজন্য আজকের আর্টিকেলের এই অংশে আমাদের আলোচনার
বিষয় হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে। চলুন আমরা
এবার বিস্তারিত জেনে আসি। অর্থনীতি শাখাতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব অনেক
এবং ব্যবহার বহুবিধ।
আমাদের দেশের অর্থনীতিতে কৃষি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা তো আপনি জানেন।
আর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কৃষিতে ব্যবহারিত হয় অত্যাধিক। এর ফলে গুরুত্ব পাচ্ছে
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও। এছাড়াও বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করার ফলে
তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন প্রাণী এবং উদ্ভিদ। যেগুলো বাইরে দেশে বিক্রি করার মাধ্যমে
অর্জন করা হচ্ছে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা। যেটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান
রাখছে দেশের অর্থনীতিতে।
মূলত এটার সম্ভাব হয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রযুক্তি গুলোর মাধ্যম দিয়ে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন অর্থনৈতিক গুরুত্ব হিসেবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অবদান বা
ভূমিকা কত। এছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে বিভিন্ন ধরনের কৃষি পণ্য কিংবা
বিজ ব্যবহার করে কৃষকদের জীবন মন আরো অনেক বেশি উন্নত হচ্ছে ।
যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে তারা পালন করছে অন্যান্য এক ভূমিকা। জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা অসুবিধা- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব ও ব্যবহার
জানতে আর্টিকেলটি নিচের দিকে পড়তে থাকুন।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা কি আপনি কি তা জানেন ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে
চিন্তার কোনই কারণ নেই। কারণ আজকের আর্টিকেলে এখন আমরা জানবো জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা গুলো। যেগুলো জানলে আপনিও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসব সুবিধা
গুলো নিতে পারবেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে। চলুন বিস্তারিত জানা যাক
আর্টিকেলে।
নিম্নে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা গুলো আলোচনা করা হলোঃ
কৃষি উন্নয়নের জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনন্য এক ভূমিকা রাখছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করার ফলে উদ্ভিদের দ্রবাদির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গঠন,পুষ্টিগুণ, স্বাধ, বর্ণ ইত্যাদি ধরনের উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে ফসলের গুনাগুন আরো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- কৃষির পাশাপাশি ওষুধ শিল্পেও রয়েছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর দারুন ভূমিকা। বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করার ফলে উন্নত সব টিকা এবং ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হয় যেগুলো বিভিন্ন ধরনের বসন্ত পোলিও হাম যক্ষা ইত্যাদি সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- খুব অল্প সময়ের ভেতরে অনেক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভূমিকা অনন্য। বর্তমান সময়ে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করার ফলে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদিত হচ্ছে এক হাজারেরও বেশি।
- দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদনের জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার হয়ে থাকে । যেমন- পনির,মাখন, দই ইত্যাদি সব খাদ্য সামগ্রী।
- গৃহপালিত পশু এবং মাংস উন্নয়ন ক্ষেত্রেও রয়েছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর দারুন ভূমিকা। বিভিন্ন ধরনের ট্রান্সজেনিক ছাগল কিংবা ভেড়া,গরু,মুরগি, খরগোশ, শুকুর তৈরিতেও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করা হয়।
- বায়ো ফার্মাসিটিক্যাল শিল্পতেও অনেক গুরুত্ব রয়েছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর। বিভিন্ন সব ওষুধ উৎপাদন করতে ব্যবহার হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
- বিভিন্ন ধরনের প্রাণীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি। যা চিন্মত ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এ কারণে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অন্যতম এক বড় সুবিধা হচ্ছে এটি।
- শুধু তাই নয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার হয় ফরেনসিক টেস্ট গুলোতেও। রক্ত, বীর্য রস, লালা, মুত্র, ও অশ্রু ইত্যাদি সব দিয়ে ফরেনসিক টেস্ট এর মাধ্যমে এগুলো থেকে অপরাধীকেও সমাপ্ত করা হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে।
- পরিবেশ রক্ষা এবং যেসব উদ্ভিদ রোগাক্রান্ত, এসব উদ্ভিদ গুলোর পেস্টিসাইড ব্যবহার করার মাত্রা রাজ করতে এবং জৈবিক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ আবেদন রাখছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। তাহলে বুঝতে পারছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর কবিতাগুলো।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অসুবিধা
প্রত্যেকটা জিনিসেরই ভাল দিকের পাশাপাশি কিছু খারাপ দিক রয়েছে। তাইতো জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং ও এর ব্যতিক্রম না। সুবিধার পাশাপাশি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর
অসুবিধাও রয়েছে। আপনি কি জানেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অসুবিধা কি ? যদি না
জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখনই জেনে নিন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অসুবিধা গুলো-
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয় তার ভেতরে সৃষ্টি হতে পারে উদ্বেগ। এছাড়াও হতে পারে পরিবেশের জন্য এক ধরনের হুমকি স্বরূপ।
- জেনেটারিং ইঞ্জিনিয়ারিং এর রিকম্বিনেটেড ডিএনএ কোনভাবে যদি ক্ষতিকর হয় তাহলে এর প্রভাব হতে পারে জীবজগতে অনেক বিপর্যয়স্বরূপ।
- জেনেটারিং ইঞ্জিনিয়ারিং যে জেন প্রবেশ করে তা যদি ক্ষতিকর অথবা বিষাক্ত প্রোটিন সংশ্লেষণ হয় তাহলে সেখান থেকে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে ক্যান্সার সহ আরো অনেক বিভিন্ন সব নতুন রোগ।
- ট্রান্সজেনিক ভাবে জীবের যে পরিবর্তন হয় এর ফলে জীবের যে উৎপন্ন হয় তা হয়ে থাকে অপ্রাকৃতিক। আর তা আমাদের পৃথিবীর মৌলিক নীতি অথবা উদ্ভাবন করে আদর্শ বিরোধীকে ।
- কোষে যে অ্যান্টিবায়োটিক এর রেজিস্ট্যান্ট জিন প্রবেশ হয় তা যদি কোন ভাবে কোন ধরনের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে স্থানান্তরিত করে তাহলে সেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার ফলে দমন করা অসম্ভব হয় ঐ রোগ জীবাণু।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব
আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা
অসুবিধা- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব ও ব্যবহার। আর্টিকেলটি পড়ে
নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি এবং এর সুবিধা
অসুবিধা বিভিন্ন বিষয়ে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব অনেক। চলুন তাহলে
এবার বিস্তারিত জানা যাক।
বিজ্ঞানে রাজ্যের বস্ত্র বৃদ্ধি করতে যে সকল পদ্ধতি ও প্রযুক্তি কাজে লাগায়
তার ভেতরে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে অন্যতম। এছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
কে ব্যবহার করা হয় রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ প্রযুক্তির জন্যও। মূলত জেনেটারিং
ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার হয়ে থেকে জিনগুলোর ভেতরে পরিবর্তন করার জন্য। আর এই
পরিবর্তন করার মাধ্যম দিয়ে সৃষ্টি হয়ে থাকে নতুন সব প্রাণী এবং উদ্ভিদ।
এজন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব অনেক। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার
করে আসলে প্রাণী এবং উদ্ভিদের যে সৃষ্টি করা হয় তা অন্য কোন প্রযুক্তি দিয়ে
সম্ভব হয় না। বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে কৃষি উন্নয়ন থেকে
শুরু করে ওষুধ শিল্প গৃহপালিত পশু ও মৎস্য উন্নয়ন সহ পরিবেশ রক্ষা তো ব্যবহৃত
হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
প্রায় সব ক্ষেত্রেই রয়েছে এর অধিকতম ব্যবহার। এর জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
এর গুরুত্ব অত্যাধিক। উন্নত ধরনের ধান উৎপাদন সৃষ্টি সহ কৃষিজাত যত কাজ রয়েছে
এ সকল ভেতর থেকে বিভিন্ন সামগ্রী গুলোর উন্নতি করতে ব্যবহৃত হচ্ছে জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ট্রান্সজেনিক
প্রাণী সৃষ্টি করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয় ফরেনসিক টেস্টগুলোতেও বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার হচ্ছে জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং। আশা করছি আপনি জেনে গেছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব
সম্পর্কে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার
আপনি কি জানেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার এর দিকগুলো সম্পর্কে ? কোন কোন
ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার হয় এটা যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে
আপনিও আপনার বিভিন্ন প্রয়োজনে এ সকল সুবিধা নিতে পারেন। এজন্য অবশ্যই আপনার
জানা দরকার এর ব্যবহারিক দিক গুলো সম্পর্কে। যে সম্পর্কে আমরা আপনাকে এখন
জানাবো ।
নিচে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলো -
- পরিবেশ রক্ষায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংঃ পয়ঃপ্রণালী শোধন করতে এবং মানুষের মলমত্রকে দুর্গন্ধ মুক্ত জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অফ রাখছে ব্যাপক। পেট্রোল এবং পেট্রোলিয়াম যার দ্রব্যগুলোর গুনাগুন রক্ষা করতে জেনেটারিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনন্য ভূমিকা রাখে। এছাড়াও জিন ব্যাংক স্থাপন করার মাধ্যমে তা জীববৈচিত্র কে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখতে পারে।
- কৃষি উন্নয়নে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার ফলে একটি উদ্ভিদ কিংবা উদ্ভিদ অংশ থেকে খুব কম সময়ের মধ্যে তৈরি করতে পারা যায় একই বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ অনেক চারা। যা সম্ভব হয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে। বর্তমানে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে উদ্ভিদ যার দ্রব্য গুলির বিভিন্ন আকার আকৃতির গুনাগুন ইত্যাদির উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে।
- ফরেনসিক টেস্টের ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে মানুষের লালা, রক্ত, অশ্রু, বীর্যরস, মূত্র ইত্যাদি ব্যবহার করে ডিএনএ কিংবা এন্টিবডির মাধ্যমে টেস্ট করে সনাক্ত করা হচ্ছে অপরাধীকে। মূলত এই টেস্টটা করা হয়ে থাকে সেরোলজি টেস্ট থেকে। এছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে মানুষের দেহে যে ক্ষতিকর জিন রয়েছে তা অপারেশনের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে সুস্থ জিনকে।
- গৃহপালিত পশু ও মৎস্য উন্নয়নেঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা অসুবিধা- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব ও ব্যবহার এর দিকগুলো সম্পর্কে নিয়ে যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহারিক এর অন্যতম একটি দিক হতে পারে গৃহপালিত পশু এবং মৎস্য উন্নয়নে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে বিভিন্ন ট্রান্সজেনিক প্রাণী কে সৃষ্টি করা হচ্ছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে যে ছাগল সৃষ্টি হয় এ ছাগলের দুধ থেকে যে এক ধরনের প্রোটিন পাওয়া যায় যা রক্ত জমাট বাধাকে গলানোর মাধ্যমে আমাদেরকে রক্ষা করে এক ধরনের করোনারি থ্রম্বসিস থেকে।
- ওষুধ শিল্পে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংঃ ওষুধ শিল্পে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভূমিকা ব্যাপক। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রয়োগ করার মাধ্যমে ভ্যাকসিন কিংবা টিকা উৎপাদন হয়। যেগুলো বসন্ত ইত্যাদি প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয় বিভিন্ন সংক্রামক জনিত রোগের। এছাড়াও এটি প্রয়োগ করার মাধ্যমে ইন্টারফেরুন উৎপাদন করা হয় যা ব্যবহার হয় হেপাটাইটিস চিকিৎসাতে। এছাড়াও খুব অল্প সময়ে তৈরি করে অনেক পরিমান এন্টিবায়োটি।
- দুগ্ধযাত দ্রব্য উৎপাদনে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংঃ দূর থেকে বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধ যার দ্রব্যটি সৃষ্টি করা হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে। যেমন - দুধ থেকে দই,পনির এবং মাখনসহ ইত্যাদি রকমের খাদ্য সামগ্রী। কাজে বুঝতে পারছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহারিক দিক অনেক।
এছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার হয় আরো অনেকগুলো ক্ষেত্রে। যেমন-
- বিভিন্ন ধরনের হরমোন তৈরি করার কাজে।
- বিভিন্ন ধরনের তথ্যপ্রযুক্তিতেও ব্যবহার হয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
- বিভিন্ন ধরনের টিকা এবং জ্বালানি তৈরির ক্ষেত্রে।
- বিভিন্ন সব জিন থেরাপিতে ব্যবহার করা হয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
- অনেক ধরনের ফার্মাসিটিক্যাল পণ্য উৎপাদন করার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। আশা করছি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ধাপসমূহ
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নিশ্চয়ই এতক্ষণ আপনি জেনে গেছেন জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা অসুবিধা- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব ও ব্যবহার
সম্পর্কে। তাই আজকের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
এর ধাপসমূহ। চলুন তাহলে আমরা এবার বিস্তারিত জেনে আসি।
- DNA নির্বাচনঃ সর্বপ্রথমে আলাদা করে নেওয়া হয় যে জিনিসটি দ্বারা অন্য একটি জীবের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করবে। অর্থাৎ নির্বাচন করা হয় ডোনার থেকে।
- DNA এর বাহক নির্বাচনঃ যেটি নির্বাচিত হয়েছে সেটি বহন করতে ব্যবহৃত হয় E.coil নামক ব্যাকটেরিয়া বাহক হিসেবে। সাধারণত এই ব্যাকটেরিয়া দেহেতে DNA অনু ব্যতীত বৃত্তাকার এক ধরনের স্বনিয়ন্ত্রিত DNA থাকে যার নাম প্লাজমিড। ডিএনএর সাথে যুক্ত করে ব্যবহার করার জন্য ব্যবহৃত হয় বাহকের এই প্লাজমিড।
- DNA খণ্ড কর্তনঃ এই কাজটি করার জন্য ব্যবহার করা হয় একটি নির্দিষ্ট ধরনের রেজিস্ট্রিকশন নামক এনজাইম। এভাবে নির্বাচিত করা DNA থেকে প্লাজমিডের অংশটা সুবিধা মতো কেটে ফেলা হয়।
- কর্তনকৃত DNA খন্ড প্রতিস্থাপনঃ লাইগেজ নামক এনলাইনের এর মাধ্যমে নির্বাচন করা DNA এ কে প্রবেশ করানো হয় কর্তনকৃত প্লাজমিডে। সাধারণত DNA এ কে ব্যাকটেরিয়া কোষের ঢোকানোর জন্য ব্যবহার করা হয় তাপ এবং ইলেকট্রিক শক। এভাবে পরিবর্তন করা প্লাজমিড কে বলা হয় রিকম্বিনেট।
- পোষক দেহে রিকম্বিনেট DNA স্থানান্তরঃ সাধারণতো অনুকূল একটা পরিবেশে মাইকেরো ইঞ্জেকশন এর মাধ্যমে পোষক দেহের DNA সমূহকে প্রবেশ করানো হয়ে থাকে নিউক্লিয়াসে। যেন বৃদ্ধি পেতে থাকে এর সংখ্যা মাত্রা। আর এতে DNA গ্রহণ করার জন্য যে ব্যাকটেরিয়া থাকে তাকে বলা হয় ট্রান্সফর্মড ব্যাকটেরিয়া।
- রিকম্বিনে DNA এর সংখ্যা বৃদ্ধি ও মূল্যায়নঃ কালচার মিডিয়ামে রেখো রিকম্বিনেন্ট ডিএনএর ব্যাকটেরিয়ার কে বৃদ্ধি করা হয়। এ সময়ে পোষক কোষের ভেতরে সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে কাঙ্খিত জিনবাহী প্লাজমিড। আশা করছি আপনি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ধাপসমূহ বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
প্রিয় পাঠক আজকেরে আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন জেনেটিক
ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা অসুবিধা- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব ও ব্যবহার
সহ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত। অনেকে জানতে
চেয়েছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে।
চলুন তাহলে আমরা এখন এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনে আসি।
নিম্নে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যে বায়োইনফমেটিক্স ব্যবহার করা হয় এটা তৈরি করার কাজে ব্যবহার করা হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে।
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারে গবেষণা করে যে তথ্য এবং ফলাফল পাওয়া যায় তা গবেষকদের মাঝে আদান-প্রদান এবং মত বিনিময় করতে ব্যবহার করা হয় ইন্টারনেট।
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারে কম্পিউটার সিম্যুলেশন ব্যবহার করা হতে পারে গবেষণার জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রক্রিয়ার জন্য।
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ডাটাবেজ ব্যবহার করা হয় গবেষণাতে বিভিন্ন প্রাণী এবং জিবদের যে সকল তথ্যসংক্রান্ত ফলাফল থাকে সেগুলো সংরক্ষণ করতে।
- এছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন ধাপে ব্যবহার করা হয় কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের বিশেষ সিস্টেম। আশা করছি আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
লেখক এর শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা এবং
অসুবিধা সহ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর যত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে সেগুলো
সম্পর্কে। আমি আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে সবকিছু জানতে পেরেছেন। তাই এখন থেকে
আপনিও নিতে পারেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুবিধা গুলো।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হন কিংবা আপনার যদি ভালো
লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই ওয়েবসাইট টি বেশি বেশি শেয়ার করে দিন।আর এ সকল তথ্য
সেবা পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি।
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url