মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে খানে চাপ দিনকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার বিষয় মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে । আপনি যদি মিষ্টি কুমড়ার বীজ এর এসব উপকারি দিক না যেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি হবে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আমাদের শরীর এর জন্য এর রয়েছে অনেক উপকারি দিক । বিস্তারিত জানুন আর্টিকেলে ।
multiplebdমিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি যদি এসব উপকারি দিক না জানেন তাহলে যেনে আসুন। কারণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি যেনে যাবেন মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা। আরো জানতে পারবেন মিষ্টি কুমড়ার বীজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে । তাই অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন ।

ভূমিকা

মিষ্টি কুমড়ার বীজ আমাদের শরীর এর জন্য অনেক উপকারি। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ,চুল ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ,কোষ্ঠকাঠিন্য দূর সহ আরো অনেক ভাবে সাহায্য করে। কিন্তু এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে । যে বিষয়ই গুলো নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি আলোচিত হয়েছে। তাই অবশ্যই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পরতে থাকুন ।

মিষ্টি কুমড়ার বীজ কি

আপনি যদি মিষ্টি কুমড়া ব্রীজের উপকারিতা গুলো জানতে চান তাহলে তার আগে আপনাকে চিনতে হবে বা জানতে হবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ কি। তাই এখন আমরা আলোচনা করব কুমড়ার বীজ কি এ সম্পর্কে। চলুন তাহলে এবার বিস্তারিত জেনে আসা যাক। সাধারণত মিষ্টি কুমড়ার বীজ হচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার ভেতরে যে বিচি থাকে সেগুলোকে বলা হয় মিষ্টি কুমড়ার বীজ।

অনেকে রয়েছে যারা এই বিচিগুলো ফেলে দেন। কিন্তু মিষ্টি কুমড়ার এই বীজের রয়েছে অনেক উপকারিতা। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন গুলোর ভেতর অন্যতম এক ভালো উৎস হচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার বীজ। আশা করছি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন মিষ্টি কুমড়ার বীজ সম্পর্কে। চলুন তাহলে আমরা এখন জেনে আসি মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা।

মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে কি হয়

মিষ্টি কুমড়ার বীজ কি তা তো জানলেন। আপনি কি জানেন মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে কি হয়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার একদমই কারণ নেই। কারন এখন আমরা জানবো মিষ্টি কুমড়ার বিজ খেলে কি হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক। আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী মিষ্টি কুমড়ার বীজ।

মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া হলে তা শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ খাওয়া থেকে বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে। শুধু তাই নয় মিষ্টি কুমড়ার বীজের রয়েছে দারুন কিছু ঔষধি গুণ ও। মিষ্টি কুমড়ার বিজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে জন্ডিসের জন্যও খুব উপকারী। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন উপকার সাধন করে।

মিষ্টি কুমড়ার বীজ আমাদের শরীরে ত্বকের যত্ন রাখে । এছাড়াও চুল এবং দাঁতের ব্যথাতেও বেশ কাজ করে। চলুন আমরা তাহলে এ বিষয়গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম

আজকের আর্টিকেলে আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। মিষ্টি কুমড়ার ব্রীজ আমাদের শরীর এর জন্য খুবই উপকারী। আচ্ছা আপনি কি জানেন মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোনই কারণ নেই।

কারণ এখন আমরা জানব মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। মিষ্টি কুমড়ার বীচে অনেক পরিমাণ ক্যালরি এবং প্রোটিন রয়েছে। এজন্য আমাদের প্রতিদিন এটা খাওয়া ভালো হলেও নিয়ম মত খাওয়া উচিত। একজন সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিদিন একমুঠ অথবা ১৫-২০ মিষ্টি কুমড়ার বিজ খাওয়া হলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

মিষ্টি কুমড়ার বীজ অনেক কঠিন এবং পোস্টটি সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার পূর্বে সেটা আমাদেরকে রোদে ভালো করে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। তারপর এগুলোকে তরকারির সাথে রান্না করে খাওয়া হলে অনেক পুষ্টিমান পাওয়া যায়। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া হতে পারে সকালের বেলাতে নাস্তা কিংবা বিকেলের সময়ে ড্রাই ফুড হিসেবে খেতে পারি অল্প তেলে ভাজার মাধ্যমে।

এছাড়াও আপনি মিষ্টি কুমড়ার বিষ খেতে পারেন ভর্তা হিসেবেও। মিষ্টি কুমড়ার বীজ দিয়ে সালাত, কেক এমন কিছু বানিয়েও খাওয়া যায়। মিষ্টি কুমড়ার ব্রীজ আপনি চাইলে গুঁড়ো করার মাধ্যমে সেটা খেতে পারেন রুটির সঙ্গে মিশিয়েও। আশা করছি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।

মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা

মিষ্টি কুমড়ার বীজ আমাদের শরীরের জন্য কত উপকারী তা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এর গুনাগুন এবং উপকারিতা যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে আপনি হয়তো আজকের পর থেকে প্রত্যেক দিনই মিষ্টি কুমড়ার বিজ খাওয়া শুরু করে দিতে পারেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে এবার আমরা জেনে আসি মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা।
multiplebdমিষ্টি কুমড়ার- বীজ খাওয়ার নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার -বীজের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
  • ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণেঃ বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ মানুষই আক্রান্ত হয় টাইপ টু ডায়াবেটিসে। ডায়াবেটিসের এই সমস্যার সমাধানের জন্য মিষ্টি কুমড়ার বিষ দারুন এক ভূমিকা পালন করতে পারে। এর কারণ হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে অধিক পরিমাণ ফাইবার। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম আছে মিষ্টি কুমড়ার বীজে আর যে কারণে তা সাহায্য করে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতেও।
  • ওজন কমতে সাহায্য করেঃ আপনি কি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন। তাহলে আজকে থেকে মিষ্টি কুমড়ার বিষ খাওয়া শুরু করে দিন। কারণ মিষ্টি কুমড়ার ভিজে পর্যাপ্ত মাপে ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে যা সাহায্য করে ওজন কমাতে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার ভিজে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট আয়রন বিটা কেরাটিন ক্যালসিয়াম সহজে উপাদান গুলো রয়েছে তার শরীরের জন্য বেশ উপকারী এবং ওজন কমাতে সাহায্যকরে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজের অন্যতম ও উপকারিতা হচ্ছে এটা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কারণ মিষ্টি কুমড়া ব্রিজে যে উপাদান গুলো রয়েছে তার সাহায্য করে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণের জন্য। মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভেতরে রয়েছে এক ধরনের নাইট্রিক অক্সাইড এবং অ্যামাইনো এসিড। বিভিন্ন গবেষকদের মধ্যে এই নাইট্রিক এস স্নায়ুকে শীতল করার মাধ্যমে তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখে। তাই অবশ্য উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনি খাদ্য তালিকাতে যোগ করতে পারেন মিষ্টি কুমড়ার বীজ।
  • অনিদ্রা দূর করেঃ আমাদের শরীলকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই আমাদের পর্যাপ্ত ঘুমের কোন অবকাশ নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেকেই অনিদ্র সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য অন্যান্য এক ভূমিকা রাখতে পারে মিষ্টি কুমড়ার বীজ। কারণ মিষ্টি কুমড়া এই দেশ সাহায্য করে ছেরোটোনিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক উপাদানকে তৈরিতে। আর যা আমাদের স্নায়ুত তন্ত্রের চাপ কে কমানোর মাধ্যমে ভূমিকা রাখে অনিদ্রা সমস্যা দূর করতে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজ প্রকৃতিকভাবে টিপট্রফ্যান নামক এক ধরনের অ্যামাইনো এসিডের উৎসব। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে,এই উপাদানটি আমাদের ঘুমের উন্নতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
  • মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতেও মিষ্টি কুমড়ার বীজে জুড়ি মেলা ভার। মিষ্টি কুমড়ার ব্রীজের ভেতরে যে ট্রিপটোফ্যান ও টাইরেছি নামক জে এমাইনো এসিড থাকে তা অনেক ভূমিকা রাখে। এই উপাদানগুলো ডোপামিন ও ছেরোটোনিন এর পূর্বসূরী । যেগুলো আমাদের বিভিন্ন মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ মিষ্টি কুমড়ার ভিজে যে ওমাগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে তা আমাদের হৃদযন্তকে ভালো রাখে। এছাড়া রক্তের ভেতর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায় এবং ট্রাইগ্লিসাইড এর পরিমাণ কমাতে ও ভূমিকা রাখে। নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার ফলে তা অনেকটাই ঝুঁকি কমায় হৃদরোগের।
  • চুল ভাল রাখেঃ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন, সালফার ও জিংসহ ইত্যাদি সব উপাদান রয়েছে মিষ্টি কুমড়ার বীজে। যেগুলো চুলকে উজ্জ্বল করতে এবং সাহায্য করে ঘন করার জন্য। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভেতরে যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে তা উন্নত করে চুলের গঠন এবং চুল রাখে মজবুত ও ঝলমলে। আপনিও যদি আপনার চুলে এসব উপকারীর দিক পেতে চান তাহলে আজকে থেকে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে পারেন।
  • পুরুষদের জন্য উপকারীঃ বিশেষজ্ঞদের মতে শুক্রানু বৃদ্ধি করতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বেশ উপকারী। কারণ মিষ্টি কুমড়ার বীজ থেকে জিংক মিলে আর যা শুক্রানুর গুণগত মানকে ভালো রাখে। এছাড়াও পুরুষদের স্বাস্থ্যকরি হরমোন প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং শক্তিশালী করে প্রোস্টেট গ্রন্থিকে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বিয়ের সাহায্য করে পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যকে বজায় রাখতে।
  • হাড় ভালো রাখেঃ হারে স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য মিষ্টি কুমড়ার বীজের রয়েছে বিশেষ এক ভূমিকা। মিষ্টি কুমড়ার ভিজে উপস্থিত থাকে প্রচুর পরিমাণ জিংক, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম। যেগুলো সাহায্য করে হার ভালো রাখতে। তাহলে বুঝতে পারছেন মিষ্টি কুমড়ার বীজের উপকারিতা কত।
  • ত্বক ভালো রাখেঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজে ক্যারোটিনয়েড ও ভিটামিন ই পাওয়া যায়। যার সাহায্য করে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাকে এবং উদ্দীপিত করতে ভূমিকা রাখে কোলেজেনকে। এছাড়াও ত্বকের ভেতরের যে মৃত কোষ থাকে সেগুলো দূর করতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে মিষ্টি কুমড়ার ভিজে থাকা আলফা হাইড্রোক্সি এসিড।
  • প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ মিষ্টি কুমড়া বীজের ভিতরে উপস্থিত আছে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জিংক। যেগুলো আমাদের শরীরের ভিতরে ইমিউনিটি কে ভারতে ভূমিকা রাখে। তার এই ইমিউনিটি পরিমাণ ঠিক পরিমাণ থাকলে তা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ আপনারা যারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন তারা মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে পারেন। কারণ এর ভেতরের রয়েছে ফাইবার যা ভূমিকা রাখে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে।
  • বেশি জ্বালাপোড়া কমাতেঃ আমাদের শরীরে হঠাৎ করেই বিভিন্ন সময় জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়। এ জ্বালাপোড়া কমাতেও ভূমিকা রাখে মিষ্টি কুমড়ার বীজ। এছাড়াও বাত ব্যথা কম করতেও রয়েছে এর অনন্য এক ভূমিকা।
  • প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজের ভেতরে আছে জিংক। আর যে কারণে এটা প্রজনন ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সাহায্য করে সুস্থ সবল শিশু জন্ম দিতে। নিবারণ করে বিভিন্ন ধরনের রোগ।
  • প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ জিংক এর অন্যতম একটি উৎস হল মিষ্টি কুমড়ার বীজ। গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রোস্টেটের সমস্যা দূর করাতে মিষ্টি কুমড়ার ব্রীজ ভূমিকা রাখে। এই ভিজে রয়েছে এক ধরনের ডাইহাইড্রো এন্ড্রোসটেনেডিয়ন নামক উপাদান। যা ব্যাপক সাহায্য করে শরীরে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে।

মিষ্টি কুমড়ার বীজের অপকারিতা

মিষ্টি কুমড়ার বীজর যেমন উপকারিতা আছে তেমন কিছু অপকারিতা রয়েছে। যে বিষয়গুলো আপনার জানা দরকার। এতক্ষণ তো আমরা জানলাম মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারী দিক সম্পর্কে। চলুন তাহলে আমরা এবার জেনে আসি মিষ্টি কুমড়া বীজের অপকারিতা গুলো মিষ্টি কুমড়ার বীজের অপকারিতা গুলো।

আরো পড়ুনঃ টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও  উপকারিতা কি জানুন  

  • যারা হাইপারটেনশন আক্রান্ত মানুষ তাদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া একদমই ঠিক হবে না।
  • অনেকে রয়েছেন যারা মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া হলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে। তাদের জন্য এগুলো না খাওয়াই ভালো।
  • কেউ যদি বেশি পরিমাণে মিষ্টি কুমড়ার বিষ খেয়ে ফেলে তাহলে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পেটে ব্যথা, পেট ফোলা, পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও হতে পারে।
  • মিষ্টি কুমড়ার বীজ ওজন কমাতে সাহায্য করে হলেও কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণ খেয়ে ফেলে তাহলে তাই হিতে আরো বিপরীত হতে পারে।
  • গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যদানকারি মহিলার জন্য একদমই উচিত না মিষ্টি কুমড়ার বিজ খাওয়া।
  • কেউ যদি কেলারে জুতো ডায়েটে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে মিষ্টি কুমড়ার বীজ সীমিত পরিমাণ ব্যবহার না করলে খেলার এর পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে ডায়েটে উপকার হয় না।
  • যাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্র কম থাকে তারা যদি বেশি পরিমাণ খেয়ে ফেলে তাহলে সমস্যা হতে পারে। আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারী দিকগুলো ।

মিষ্টি কুমড়ার বীজের পুষ্টিগুণ

আচ্ছা আপনি কি জানেন মিষ্টি কুমড়ার বীজের পুষ্টিগুণ গুলো ?  মিষ্টি কুমড়ার ব্রিজের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কারনে কারন এখন আমরা জানবো মিষ্টি কুমড়ার বীজের পুষ্টিগুণ। এতক্ষণ তো জানলেন ই মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা। চলুন এবার পুষ্টিকোণ জেনে এসে যাক।

multiplebdমিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার -নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা -ও অপকারিতা

নিচে মিষ্টি কুমড়ার ব্রীজের পুষ্টিগুণ গুলো তুলে ধরা হলো। 

  • মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ক্যালসিয়াম।
  • আয়রনের ভালো উৎস মিষ্টি কুমড়ার বীজ।
  • রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিংক।
  • প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎস মিষ্টি কুমড়ার বীজ।
  • মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট।
  • ফাইবারের উপস্থিতি আছে মিষ্টি কুমড়ার বীজে।
  • ম্যাগনেসিয়াম থাকে মিষ্টি কুমড়ার বীজে।
  • আমাদের শরীরের জন্য উপকারী ফসফরাস আছে মিষ্টি কুমড়ার বীজে।
  • ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড উপস্থিত মিষ্টি কুমড়ার বীজে।
  • মিষ্টি কুমড়ার ভিজে থাকে বিটা ক্যারোটিন।
  • এছাড়াও রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল। আশা করছি আপনি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

মিষ্টি কুমড়ার বীজের দাম

আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা এতক্ষণ তো জাবলাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সহ মিষ্টি কুমড়া নিজের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত। অনেকে জানতে চেয়েছেন মিষ্টি কুমড়ার বীজের দাম সম্পর্কে। তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে আসি মিষ্টি কুমড়ার বীজের দাম। বর্তমানে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খুব জনপ্রিয়।

তবে এটা অনেক সহজলভ্য হওয়ার কারণে দাম একটু কম। যারা মিষ্টি কুমড়া বীজের উপকারিতা জানে তারা সাধারণত এ বীজ সংরক্ষণ করে রাখে। মূলত বর্তমান সময়ে অনেক জায়গাতে প্রতি ১ কেজি মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিক্রয় হয় ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে অঞ্চল ভেদে এর দামের পার্থক্য হতে পারে। তবে আপনি ইচ্ছা করলে মিষ্টি কুমড়ার ১০০ গ্রাম বীজ কিনতেও পারবেন।

বর্তমানে বিভিন্ন রকম অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি 100 গ্রাম ব্রিজের দাম ১৩০- ২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে আমার মতামত থাকবে আপনি মিষ্টি কুমড়া যেখান থেকে কিনবেন না কেন অবশ্যই একটু যাচাই-বাছাই করে কিনবেন।

চাল কুমড়ার বীজের উপকারিতা

আজকের এই এতক্ষণ আমরা জানলাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সহ বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত। অনেকে জানতে চেয়েছেন চাল কুমড়ার বীজের উপকারিতা গুলো। তাই এখন আমরা আলোচনা করব। চলুন তাহলে আমরা বিস্তারিত জেনে নিই।
  • চালকুমড়ার পাকা বীজের শাঁস ভালো করে পিষে নিয়ে ঘি দিয়ে লাড্ডু করে খাওয়া হয় তাহলে শরীরে অনেক উপকার মিলে। অনেক এনার্জি পাওয়া যায় ও দূবলতা ।
  • চালকুমড়ার বীজ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিক রোগ নিরাময় করতে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে।
  • চালকুমড়ার বীজ ভূমিকা রাকে কৃমিনাশ করতে।
  • চালকুমড়ার বীজ থেকে পাওয়া তেল পিত্তনাশক । এ ছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে চালকুমড়ার বীজের ।

মিষ্টি কুমড়ার বীজ ভাজির পদ্ধতি

এতক্ষণ আমরা জানলাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার উপকারিতা খাওয়ার নিওমসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত । তাই আজকের আর্টিকেলের এ পর্বে আমরা জানব মিষ্টি কুমড়ার ভাজির পদ্ধতি সম্পর্কে । তাহলে আর দেরি কিসের , চলুন এবার আমরা বিস্তারিতভাবে যেনে আসি ।

  • প্রথমে আমাদের বীজ নিতে হবে ।
  • এরপর এই বীজগুলোকে ভালোভাবে রোদে শুকাতে হবে ।
  • শুকানো হলে তারপর একটি পাত্রে করে হালকা তাপে চুলাই বসাতে হবে । সামান্য পরিমানে ২-৪ ফোঁটা তেল দিয়ে করই গরম করতে হবে ।
  • গরম হয়ে গেলে এবার আমরা বীজ গুলকে ভালোভাবে ঢেলে দিব ।
  • একটা চমচ দিয়ে এবার আমরা সেগুলকে নেড়ে নিব । দেখবেন একটা সময় পর পটপট আওয়াজ হয়ে ফাটতে থাকবে । এভাবে আমরা ভালোভাবে ভেজে নিব উলটাপালটা করে ।
  • ঠিকভাবে ভাজা হয়ে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন । এর ফলে টা আরো মচমচে হয় । এবার এটা খেয়ে দেখুন কত স্বাদ । আশা করছি বুজতে পেরেছেন মিষ্টি কুমড়ার বীজ ভাজির পদ্ধতি ।

আমাদের মতামত

মিষ্টি কুমড়ার বীজ আমাদের জন্য অনেক উপকারি । তাই ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখুন । আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম - মিষ্টি কুমড়ার বীজের ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা তো জানলেনই । আমি আশা করছি আপনি সবকিছু বুজতে পেরেছেন । আর যদি বুঝতে সমস্যা হয়ী তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন । 

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হন বা যদি আপনার ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন । আর হ্যাঁ, এ সকল তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটি । এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । সবাই ভাল থাকবেন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url