এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার - ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার জানুন
তুলসী পাতার গুনাগুন ও উপকার জানতে এখানে চাপ দিনএলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার - ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার নিয়ে আজকে আলোচনা
করব। নিম পাতা আমাদের সকলেরই পরিচিত। আসলেই কি এলার্জির জন্য নিম পাতার ব্যবহারে
কোন সুবিধা পাওয়া যায় ? নিম পাতার উপকারিতার কথায় আজকে জানাবো।আপনি কি এলার্জি
নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন? কিছুতেই কি আপনার এলার্জি কমছে না। তাহলে উপায় জেনে
নিন।
এলার্জির জন্য কি আপনার মুখে ব্রণ উঠছে এমনকি চুলকানিও হচ্ছে । তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। এছাড়া আজকের পোস্টে আমরা আপনাকে জানাবো খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় সে সম্পর্কেও। তাই বিস্তারিত জানতে পোস্টটি টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
নিম গাছ যেমন আমাদের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি নিম পাতার ও রয়েছে অনেক উপকার। নিম
পাতা আমাদের মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করা থেকে শুরু করে এলার্জি সমস্যা সহ বিভিন্ন
সমস্যার জন্য উপকারী। নিম পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং রয়েছে
অনেক ঔষধি গুন। ভাইরাস সহ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ান আশক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে
নিম পাতা।
নিম পাতার গাছের ছাল থেকে শুরু করে নিম গাছের ডাল এমনকি নিম গাছের পাতা সহ ফুলও
ব্যবহার হয়ে আসছে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে। আয়ুর্বেদিক
চিকিৎসকরা বলেন ডায়াবেটিস রোগীরাও যদি নিম পাতার রস ব্যবহার করে তাহলে তাদের
বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে নিম পাতার আরো অনেকগুলো গুণ যেগুলো
জানার জন্য পোস্টটি পড়তে থাকুন।
মুখে নিম পাতার ব্যবহার
আমাদের শরীরের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে মুখ। তাই মুখের যত্ন নিয়ে
আমাদের সবসময়ই সতর্ক থাকা উচিত।নিম পাতা আমাদের মুখে ব্যবহারের জন্য অনেক উপকারী
এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। তাই এখন আমরা জানবো মুখে নিম পাতার ব্যবহার।
মুখের ব্রণ এবং কালো দাগ দূর করাতে রয়েছে নিম পাতার অনন্য এক কার্যকারী ভূমিকা।
নিমপাতাতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ালসহ বৈশিষ্ট্য রয়েছে আ্যন্টিফাঙ্গলের। এটি
বিভিন্ন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করে এবং মুখে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান
করে। মুখে যদি ঠিকভাবে নিম পাতা ব্যবহার করা হয় তাহলে মুখে শুধু ব্রনই দূর করে
না বরং বিভিন্ন সূক্ষ্ম দাগ কালচে ভাব ও মুখে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।
এছাড়া মুখে নিমপাতা ব্যবহার করলে মুখ থেকে তৈলাক্ত ভাবও দূর হয়। মুখে নিম পাতার
ব্যবহার করার জন্য প্রথমে নিম পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে পেস্ট তৈরি করে নিতে
হবে এবং তারপর সেটা কিছুক্ষণ মুখে ধরে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে। এভাবে যদি মুখে নিম
পাতা ব্যবহার করা হয় তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
এলার্জিজনিত সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা। যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা
স্বাভাবিকভাবে জীবন চলতে ও নানা-বিপত্তির শিকার হয়। কিন্তু এলার্জি সমস্যা থেকে
নিম পাতা রয়েছে অনেক উপকারিতা। তাহলে এখন জেনে আসা যাক এলার্জিতে নিম পাতার
ব্যবহার৷ নিমপাতা তে থাকে অনেক ব্যাকটেরিয়াল যে এলার্জি দূর করতে বেশ উপকারী।
নিম পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে সময় মত ভিজিয়ে রেখে নিম পাতা ব্যবহার করা
হয় তাহলে সেটার উপকারিতা অনেক। এভাবে যদি আপনি নিয়মিতভাবে নিমপাতা ব্যবহার করেন
তাহলে সেটা আপনারএলার্জি সমস্যা কমাবে খুব সহজে। যেকোনো ধরনের সমস্যা দূর করার
জন্য প্রতিদিন সকালে যেতে এক গ্লাস করে নিম পাতার রস খাওয়া হয় তাহলে সেটা
এলার্জিকে খুব সহজে কমায়।
এছাড়াও নিম পাতা পানির সাথে সেদ্ধ করে নিয়েই সে পানি দিয়ে যদি গোসল করা হয়
তাহলে সেটা এলার্জি দূর করতে বেশ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও যদি নিম পাতার গুড়া দিয়ে
ইসবগুলের ভুষির সঙ্গে খাওয়া হয় তাহলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
মুখে ব্রনের সমস্যা নিয়ে অনেকেই অস্বস্তির ভিতরে আছেন। মুখের ব্রণ দূর করার জন্য
অনেকেই টাকা পয়সা খরচ করেও পাচ্ছে না এর সমাধান। আপনিও কি ব্রণের সমস্যা নিয়ে
বাইরে কোথাও যেতে পারছেন না। আপনার মুখে কি ব্রণের সমস্যা থেকে কালচে দাগ পড়ে
গেছে। তাহলে আজ থেকে চিন্তা করা বাদ দিন ও নিম পাতা ঘরে নিয়ে আসুন।
তাই এখন আমরা জানবো ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার। নিম পাতা দিয়ে বিভিন্ন
ফেসপ্যাক ব্যবহার করে মুখে লাগিয়ে রাখলে ব্রণ সমস্যা দূর হয়। ব্রণ সমস্যা দূর
করার জন্য কসমেটিক এর থেকে ভালো কাজে দেয় নিমপাতা। তাই মুখে নিম পাতার ব্যবহার
করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। নিম পাতার ও চন্দনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
নিম এবং হলুদের ফেসপ্যাক কিংবা নিম তুলসী পাতা অথবা নিমের সাথে পাকা পেঁপে দিয়ে
ফেসপ্যাক বানিয়েও সেটা মুখে লাগিয়ে রাখে ব্রণের সমস্যা দূর করে। ফেসপ্যাক বানান
না কেন অবশ্যই নিম পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বেশি সুবিধা পাওয়ার
জন্য মুখের ব্রণ দূর করতে হলে শুধু মুখী না বরং মুখের পাশাপাশি ঘাড় কিংবা কোন তো
লাগানো যেতে পারে। তাই বলা যায় ব্রণের সমস্যার সমাধানের জন্য নিম পাতার রয়েছে
জাদুকরের ভূমিকা।
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
অনেকে জানতে চেয়েছেন খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়। তাই আজকে আমরা এ
সম্পর্কে আলোচনা করব। নিম পাতা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দূর করার
পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আমাদেরকে মুক্ত করে। তাহলে চলুন এবার জানা যাক
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়।
- খালি পেটে যদি নিমপাতার রস খাওয়া হয় তাহলে এটা রক্ত পরিষ্কার করতে ভূমিকা রাখে। কারণ নিম পাতার ঔষধের গুনাগুনের জন্য শরীর থেকে বের হয়ে যায় ক্ষতি করার টক্সিন।
- প্রতিদিন সকালে যদি খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়া হয় তাহলে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখে।
- পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন এসিডিটি দূর করতেও নিমপাতা রয়েছে বেশ ভূমিকা। তাই সকালে খালি পেটে নিমপাতা রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- খালি পেটে যদি নিম পাতার রস খাওয়া হয় তাহলে সেটা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
- খালি পেটে নিমপাতার রস খাওয়া হলে সেটা কফজনিত বুকের ব্যথা দূর করে।
চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার
আমাদের শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে যতগুলো রোগ রয়েছে তার ভিতরে একটি হচ্ছে চর্মরোগ।
আমরা অনেকেই এই রোগের মুখোমুখি হয়ে থাকি। এই চর্মরোগ সারাতে রয়েছে নিম পাতার
বেশ ভূমিকা। তাহলে চলুন এবার জেনে আসা যাক চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার।
- নিমপাতাতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান চর্ম রোগের বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে।
- নিম গাছ থেকে নিমপাতার ছাল নিয়ে সেটা ভালো করে রোদে শুকাতে হবে। শুকানো হয়ে গেলে সেটা ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিয়ে তার তিন গ্রামের মতো নিতে হবে এবং সেটা পানির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে তার সঙ্গে কিছুটা মধু মিশিয়েছে পানি ব্যবহার করুন। এভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে চর্মরোগ উপশম করে এবং ভালো ফল পাওয়া যায়।
- নিমপাতা যদি ভাল হবে বেটে সেটা ক্ষত স্থানে ব্যবহার করা হয় তাহলে খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়।
- নিম পাতার সাথে হলুদ ব্যবহার করে পেস্ট তৈরি করা হয়েছে শরীরে লাগালে চুলকানি ও দাগ সহ বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।
- নিমের পাতার সঙ্গে নিমেষ সাল ও নিমের বীজ ব্যবহার করলেও অনেক উপকার পাওয়া যায় চর্মরোগ থেকে।
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
নিম পাতা আমাদের ত্বকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক ফর্সা করতে নিম পাতার
ব্যবহার হয়ে থাকে। আপনি হয়তো সম্পর্কে জানেন না। তাহলে চলুন এবার জেনে নিন নিম
পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়।
- কয়েকটি নিম পাতা ভালো করে পেশ করে নিয়ে তার সঙ্গে দুই চামচ দই মেশাতে পারেন। মেশানো হয়ে গেলে সেটা আপনার ত্বকে ভালো হবে লাগিয়ে রাখুন কিছু সময়।
- এরপর ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন।দেখবেন খুব অল্প সময়ে আপনার মুখ ফর্সা হয়ে গেছে আগের থেকে।
- নিম পাতার সঙ্গে এলোভেরা যুক্ত করেও মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এটাও বেশ উপকারী। কারন এলোভেরা হচ্ছে ত্বকের জন্য খুবই ভালো।
- শসার সঙ্গে নিম পাতার ফেসপ্যাক তৈরি করে যদি মুখে লাগানো হয় তাহলে দ্রুত ফর্সা হওয়া যায়।
- নিম পাতা ব্যবহার করে ফর্সা হতে হলে সপ্তাহে অন্তত দুইবার কাঁচা হলুদ এবং নিম পাতা বেটে ব্যবহার করুন।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
আমাদের সবার জন্যই চুলকানি খুবই একটা খারাপ জিনিস চুলকানি হলে চুলকাতে চুলকাতে
অবস্থা একদম খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু আপনাকে জানে চুলকানিতে নিম পাতার উপকারিতা
কি । চুলকানি সমস্যার জন্য নিম পাতা রয়েছে দারুণ ভূমিকা।তাই এখন আমরা জানবো
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার।
চুলকানিতে আক্রান্ত স্থানে ভালোভাবে নিম পাতা বেটা লাগিয়ে রাখুন।দেখবেন এর
মাধ্যমে আপনি চুলকানি থেকে খুব দ্রুত রেহাই পাচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে এক
গ্লাস করেন নিম পাতার রস খেতে পারেন। নিমপাতাতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকে আর সে
কারণে ব্যবহার করার সময় ভালোভাবে বেটে নিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।
নিম পাতার উপকারিতা
নিম পাতার যতগুলো উপকার রয়েছে তা আসলে বলার বাইরে। নিম পাতা আমাদের সবারই পরিচিত
হলেও এখনো অনেকেই জানে না নিম পাতার উপকারিতা । আপনিও যদি না জেনে থাকেন তাহলে
চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ এখন আমরা আপনাকে জানাবো নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।
- ত্বকের যত্নেঃ ত্বকের যত্নে নিম পাতার রয়েছে এক অনন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নিম পাতায় ঔষধে গুন সম্পূর্ণ তাই যদি নিম পাতা বেটে ত্বকে ব্যবহার করা হয় তাহলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায়।
- চর্মরোগ দূর করেঃ নিমপাতা তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে চর্মরোগ দূর করতে বেশ ভূমিকা রাখে। এজন্য যাদের চর্মরোগ আছে তারা নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
- রক্ত পরিষ্কার করেঃ প্রতিদিন যদি নিম পাতার রস খাওয়া হয় তাহলে সেটা রক্ত পরিষ্কার করতে অনেক উপকারী কারণ নিম পাতাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করে রক্তের জীবাণু রক্ত পরিষ্কার রাখে
- চুলের যত্নেঃ নিম পাতা সাহায্য করে চুলের খুশকি দূর করতে। এছাড়াও মাথার চুল রাখে দৃষ্টিনন্দন। নিম পাতা ভালো করে বেটে যদি চুলে লাগিয়ে রাখা হয় তাহলে চুল পড়া সমস্যাও কমায়।
- দাঁতের রোগ দূর করেঃ প্রাচীনকাল থেকেই দাঁতের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে নিম পাতার ছাল কিংবা নিম পাতার ডাল। এছাড়া নিম পাতার গুড়া দিয়ে দাঁত মাজলেও দাঁত থেকে পরিষ্কার এবং অনেক মজবুত।
- পোকামাকড়ের কামডঃ কোন জায়গায় যদি পোকামাকড় কামড় দেয় বাহুল ফোটায় তাহলে সেখানে নিম পাতার ছাল কিংবা নিমপাতা বেটে ক্ষত জায়গায় লাগানো হলে ব্যথা উপশম করে।
- জন্ডিস রোগেঃ প্রতিদিন সকালে যদি নিম পাতা রস খাওয়া হয় তাহলে জন্ডিস রোগ থেকে খুব সহজে রেহাই পাওয়া যায়। তাই জন্ডিস সমস্যার সমাধান একটু পানির সাথে নিম পাতার রস ব্যবহার করে খেতে পারেন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যদি নিম পাতা রস খাওয়া হয় তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- বিভিন্ন চুলকানিতেঃএছাড়া নিমপাতা ব্রণ সমস্যার দূর করে। চুলকানিতে ভালো উপকার দেয়। এলার্জি সমস্যা সমাধানের রয়েছে নিম পাতার বহুভেদ ভূমিকা ।
নিম পাতা শরীরে যেসব ক্ষতি করে
উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন নিম পাতার গুনাগুন সম্পর্কে ।
আসলে নিম পাতার উপকারিতা অনেক বেশি। কিন্তু নিম পাতার কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
যেগুলো আপনার জানা দরকার। তাই এখন আমরা জানবো নিম পাতা শরীরে যেসব ক্ষতি করে।
- গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধঃ নিম পাতা আমাদের জন্য উপকারী হলেও নিমপাতাতে থাকা কিছু উপাদান গর্ভপাতের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এজন্য গর্ভকালীন সময়ে নিম পাতা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কিডনি সমস্যাঃ কোন কোন সময় নিম পাতা খাওয়ার ফলে সেটা কিডনির সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই অবশ্যই কিডনি রোগীরা নিমপাতা না খাওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- এলার্জির প্রতিক্রিয়াঃ নিম পাতা শরীরে এলার্জি সমস্যা নিরাময়ের জন্য ব্যবহার হলেও এর অধিক ব্যবহার হতে পারে এলার্জির কারণ।
- এ ছাড়াও নিম পাতা যদি খালি পেটে বেশি করে খেয়ে ফেলা হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে।
- বিভিন্ন ধরনের অপারেশনের আগে নিম পাতা খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। নয়তো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আশা করছি আপনারা সবকিছু বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।
আমাদের পরামর্শ
নিঃসন্দেহে নিম পাতা আমাদের জন্য খুবই উপকারী। এটা আমাদের ত্বকে থেকে শুরু করে
শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। কিন্তু তবুও নিম পাতা খেলে যাদের সমস্যা হয়
এ ক্ষেত্রে নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। নিম পাতা যেভাবে খাওয়া হোক তা কেন
খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। আজকের পোস্টে আমরা এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
সহ নিম পাতার উপকারিতা অপকারিতা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছে।
আশা করছি আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। প্রিয় পাঠক, আজকের এই পোস্টটি যদি
আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে শেয়ার করে দেন। আর হ্যাঁ, এ
সকল তথ্য সেবা নিয়মিত পেতে ভিজিড করুন আমাদের এই www.multiplebd.com
ওয়েবসাইটটি। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url