বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা । বেল খাওয়ার সঠিক সময় ।
আম খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ জানতে চাপ দিনবেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা । বেল খাওয়ার সঠিক সময় আজকে আমাদের আলোচনার
মুখ্য বিষয়। অন্যতম এক সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল হচ্ছে বেল। আপনি যদি
অনেক ভিটামিনে ভরপুর এই বেল সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি হতে
আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেলে যত উপাদান রয়েছে তা আমাদের শরীর সুস্থ রাখার
জন্য অনেক উপকারি।
বেল খেতে পছন্দ করেনা এরকম মানুষ খুব কমই রয়েছে। বেল আমাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
কমানো থেকে শুরু করে শরীরে আরো অনেক উপকার করে। কিন্তু বেলের উপকারিতা অনেকেই
জানে না যা আমরা আজকের পোস্টে আপনাদের জানাবো। এ পোস্টে আমরা আপনাকে আরো জানাবো
কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও। তাই বিস্তারিত জানতে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
ভূমিকা
বেলে শরবত কিংবা খালি মুখে অনেকভাবেই আমরা বেল খেয়ে থাকি। বেল একদিকে যেমন অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ঠিক তেমনি বেলের আবার কিছু ঔষধিও গুণাগুণও রয়েছে। যেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন ভাবে উপকার করে। প্রতিদিন যদি বেলের শরবত খাওয়া হয় তাহলে তার শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার দূর করে।
কিন্তু সঠিকভাবে যদি আবার বেল খাওয়ার না হয় তাহলে পড়তে পারেন অনেক ধরনের
সমস্যায়। বেল খাওয়ার কিছু অপকারিতা রয়েছে । বেল খাওয়ার এসব দিক সম্পর্কে
অবশ্যই জানা উচিত । যেসব বিষয় নিয়ে আজকের পুরো পোস্ট জুড়ে আমরা আলোচনা করেছি।
তাহলে চলুন দেরি না করে এবার বিস্তারিত জেনে নিন ।
বেল খাওয়ার সঠিক সময়
অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই বেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। কিন্তু
ঠিকভাবে যদি বেল খাওয়া না হয় তাহলে উপকারের চেয়ে আরো বিপরীত হতে পারে। আপনি
যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার একদমই কারণ নেই। কারণ আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে
আপনি জেনে যাবেন বেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে। তাহলে চলুন এবার জেনে আসা যাক।
আরো পড়ুনঃ
নিয়মিত কলা খেলে উপকারিতা কি যেনে নিন
বেল খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে সকালে। দুপুরেও বেল খাওয়া যায়। আপনি যদি
সকালবেলাতে পেরে শরবত কিংবা বেলের চাটনি খান তাহলে আপনি একসাথে সকালেই পেয়ে
যাচ্ছেন উপযুক্ত এনার্জি। এছাড়া কাজ করার সময় যখনই ক্লান্ত হবেন আপনি চাইলে এক
গ্লাস ব্রেনের শরবত তৈরি করে খেতে পারেন।
এটা খারাপ হলে আপনার শরীরে এনার্জি আরো বেড়ে যাবে এবং কাজে ভালো করে মনোযোগ দিতে
পারবেন। গ্রীষ্মকালের এই গরমের সময় বেল খাওয়ার উপযুক্ত সময়। এই সময়ে বেল
খাওয়া হলে তার শরীর ঠান্ডা রাখে। তাই একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে বিলের
চাহিদা খুব বেড়ে যায় গরমকালে।
বেল খাওয়ার উপকারিতা
প্রকৃতির সাথে পাল্লা দিয়ে বর্তমানে গরমের মাত্রা অত্যাধিক। এই সময়ে বেল খাওয়া
শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেলের ভিতরে যতগুলো গুনাগুন রয়েছে তা আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারে। কিন্তু অনেকে জানে না বেল খাওয়ার উপকারিতা কি।
তাই এখন আমরা জানবো বেল খাওয়ার উপকারিতা।
আরো পড়ুনঃ শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি জানুন
- ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায়ঃ বেলের ভেতরের যত পরিমাণ খাদ্য আঁশ রয়েছে তা খুবই উপকারী ভূমিকা রাখে আমাদের ত্বকের জন্য। প্রতিদিন যদি বেল খাওয়া হয় তাহলে তোকে মুসলিম করতে সহায়তা রাখে। এছাড়াও ব্রণ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রয়েছে অনন্য ভূমিকা।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ খেয়াল করে দেখবেন গরমের সময় আসলে বদহজম সহ পেট ব্যাথা এমনকি গ্যাসের সমস্যা যেন পিছু ছাড়ে না। এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেলের শরবতের রয়েছে অনন্য এক কার্যকরী ভূমিকা। বেল খাওয়া হলে তা সাহায্য করে ঠিকভাবে খাওয়ার হজম করাতে। এর জন্য বেল খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ শক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক এবং রক্তকে ঠিকমতো পরিষ্কার রাখতে বেলের রয়েছে ভূমিকা। এছাড়াও বেল খাওয়া হলে তার শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন দূর করে। গরমের সময় যত রকম ছোঁয়াচে রোগ হয় সেগুলো মোকাবেলা করতে বেলের ভূমিকা ব্যাপক।
- শরীর রাখে সতেজঃ আপনি যদি শরীরে থাকা এনার্জি কিংবা সত্যি ভালভাবে বৃদ্ধি করতে চান তাহলে নিয়মিত বেল খেতে পারেন। কারন বেলে যে ক্যালরি রয়েছে এবং যে প্রোটিন রয়েছে তা শরীরে এলার্জি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও রয়েছে পেশিকে মজবুত এবং দেহ সচল রাখতে অনন্য এক ভূমিকা।
- চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখেঃ বেল যে শুধু শরীরের উপকার করে তা নয় বরং চোখের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বেলে রয়েছে প্রচুরপরিমাণ ভিটামিন এ। আর এই ভিটামিনের চোখের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি রাখে প্রখর। এজন্য নিয়মিত বেল খেতে পারেন।
- ক্যান্সার প্রতিরোধঃ বেলে থাকা বেটাক্যারোটিন আমাদের দেহের টিউমার কোষ কে বৃদ্ধি রোধ করে থাকে। এছাড়াও বেলে আ্যন্টিঅক্সিজেন থাকার কারণে তা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন জরায়ু ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সারও, কোলন ক্যান্সারের মত রোগ প্রতিরোধে বেশ ভূমিকা রাখে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ পাকা বলের শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করতে অনেক ভূমিকা রাখে। বেল খাওয়া হলে তা হজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে বিধায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে দূরে রাখে। তাই যারা কষ্ট কাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন যদি নিয়মিত বেল খান তাহলে খুব অল্প সময়েই ভালো ফল পেতে পারেন।
- ডায়েরিয়া কমায়ঃ ডায়েরিয়া সমস্যা কমাতে কাঁচা বেলের জুড়ি মেলা ভার। অনেকেই আবার বলেন অব্যর্থ ওষুধ। আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন তাহলে কাঁচা বেলে শেষ করে কেটে সেটা রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে এই গরুর সাথে কিছুটা ব্রাউন সুগার ভালো করে মিশিয়ে তার সঙ্গে গরম জল কিছু পরিমাণ নিয়ে মিশিয়ে খাওয়া হলে আপনি খুব অল্প সময়ে ভালো ফল পেতে পারেন।
- যক্ষা কমায়ঃ আপনি হয়তো শুনে চমকে উঠতে পারেন। কিন্তু এটাই সত্যি যে পাকা বেলে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল যক্ষা কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিন্তু ভালো ফল যদি পেতে চান তাহলে এর সঙ্গে ব্রাউন সুগার অথবা মধু মিশ্রণ করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সেটা খান। এভাবে খাওয়ার ফলে উপকার পাওয়া যায়।
- লিভারের যত্নেঃ বিটা ক্যারোটিনের অন্যতম একটি উৎস হচ্ছে বেল। আর এই কারণে যদি বেল খাওয়া হয় তাহলে সরাসরি তা উপকার করে লিভার ভালো রাখতে। কারণ বেলে থাকা বিটা ক্যারোটিন লিভারের জন্য অনেক উপকারী।
বেল খাওয়ার অপকারিতা
আমাদের শরীরের জন্য অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। তায়েব বেল খাওয়ার কিছু
অপকারিতা রয়েছে। তাই অবশ্যই বেল খাওয়ার উপকারিতা ও জানতে হবে। তো চলুন এবার
জেনে আসা যাক বেল খাওয়ার অপকারিতা।
- বেল সাধারণত মিষ্টি হয়ে থাকে।কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ যদি কেউ এই মিষ্টি বেল খেয়ে ফেলে তাহলে তা অনেক ক্ষতিকর হতে পারে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য।
- অতিরিক্ত পরিমাণে যদি পাকা বেল খাওয়া হয় তাহলে তা পেটে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে।
- বিভিন্ন সময় দেখা যায় অতিরিক্ত পরিমাণে বেল খাওয়ার ফলে যৌন শক্তি খুব দ্রুত কমে যায়।
- দীর্ঘদিন সময় ধরে পাকা বেল খাওয়া হয় এ কারণে অন্তের ছিদ্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কাচা বেল খাওয়া হলে এই সমস্যা হয় না।
- বেল খাওয়ার মাত্রা যদি খুব বেশি হয়ে যায় তাহলে বিভিন্ন সময় তা পাতলা পায়খানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
- অধিক মাত্রায় যদি বেল খাওয়া হয় তাহলে বিভিন্ন সময় তা পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম
পাকা বেলের যেমন উপকারিতা অনেক ক্ষেত্রে অনেক আশা বেলারও কিছু উপকারিতা রয়েছে।
কিন্তু অনেকেই জানে না কাঁচা বেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন এবার
জেনে নিন কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম। কাঁচা বেলকে শরবত করেও খাওয়া যায়। এছাড়াও
আপনি চাইলে কাঁচা বেল চাটনি হিসেবেও খেতে পারেন।
কাঁচা বেল ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়ে সেটা শরবত তৈরি করেও খাওয়া যায়।কাঁচা বেল
দিয়ে যদি শরবত বানাতে চান তাহলে একে বেল ভালোভাবে ধুয়ে সেটা ভালোভাবে সিদ্ধ করে
নিন। সেদ্ধ পুরোপুরি হয়ে গেলে সেটা ফাটিয়ে তার ভেতরে থাকা আশগুলো বের করে নিতে
হবে। তারপর এর সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশে গুলিয়ে নিয়ে তৈরি করতে পারেন কাঁচা
বেলের শরবত।
এটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও আপনি চাইলে কাঁচা বেল দিয়ে চাটনি
করেও খেতে পারেন। কাঁচা বেলের চাটনি খাওয়ার জন্য একই নিয়মে বেল ভালোভাবে ধুয়ে
পরিষ্কার করে ভালো করে সিদ্ধ করে তার আঁশগুলো ভালো করে থেকেও করে নিয়ে তার সাথে
পরিমাণ মতো মরিচ পেঁয়াজ কুচি সরিষার তেল হালকা লবণ ভালো করে মাখিয়ে নিন ।
তৈরি হয়ে গেল কাঁচা বেলের চাটনি। এভাবে যদি কাঁচা বেলের চাটনি খাওয়া হয় তাহলে
পেটে বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত দূর হয়। আশা করছি আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন
কাঁচা বেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম
উপরের আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন বেল শরীরের জন্য কত উপকারী। তবে এটার পরিপূর্ণ উপকার তখনই পাওয়া সম্ভব যখন এটা সঠিক নিয়মে খাওয়া হয়। যেটা অনেকেই জানেনা। তাই এখন আমরা জানবো পাকা বেল খাওয়ার নিয়ম।
- বেলের যদি পরিপূর্ণ উপকার পেতে হয় তাহলে খালি মুখে খাওয়াই ভালো। এছাড়াও পাকা বেলের শরবত এবং চাটনি বানিয়ে খাওয়া হলেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
- বেল যেমনি হোক না কেন খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। পাকা পেলে শরবত বানিয়ে খাওয়া খুব প্রচলিত। আপনি চাইলে পাখা পেলে শরবত করে খেতে পারেন।
- পাকা বেল শরবত বানিয়ে খেতে বেল ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে সেটা ফাটিয়ে তার ভেতর থেকেআশ গুলো বের করে তার সঙ্গে কিছুটা লেবু রস এবং চিনি ভালোভাবে মিশিয়ে বানিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন পাকা বেলের শরবত ।
- আপনি চাইলে পাকা বেল রান্না করেও খেতে পারেন। এজন্য আপনাকে বেলটিকে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়ে তার সঙ্গে কিছু পরিমাণ চিনি ও প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন।
- এটা খেতে অনেক সুস্বাদু।আপনি যদি প্রতিনিয়ত দুপুর বেলাতে পাকা বেল খান তাহলে শরীরে অনেক এনার্জি বৃদ্ধি পায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়।
- কাজ করার সময় যখন ক্লান্তি বোধ করবেন ঠিক সেই সময়ে খেতে পারেন এক গ্লাস বেলের শরবত। এতে কাজের প্রতি আপনারই অনিহাও কমবে এবং তার সাথে শরীরে যুক্ত হবে অনেক পরিমাণে এনার্জি।
- বেলের শরবত কিংবা চাটনি করে খাওয়া গেলেও সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায় খালি মুখে খাওয়া হলে।
বেল পাতার উপকারিতা
এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আলোচনা করছিলাম বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা । বেল খাওয়ার সঠিক সময় । সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। কিন্তু বেলের পাশাপাশি বেল পাতার ও রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য দারুন এক ভূমিকা । তাই এখন আমরা জানবো বেল পাতার উপকারিতা।
- পেটজনিত রোগ থেকে মুক্তিঃ আমরা যারা পেট সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে ভোগি তারা বেল পাতার রস করে খেতে পারেন। কারণ এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম এবং আয়রনের মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
- শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতেঃ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে বেল পাতাতে থাকে এক ধরনের মারমেলোসিন ও প্যান্টিস নামক উপাদান। আর এই উপাদান শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ যারা ডায়াবেটিস সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত বেলপাতা খেতে পারেন। কারণ বেলপাতা সুগার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়াও পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে রয়েছে বিশেষ এক ভূমিকা।
- সর্দি কাশির ক্ষেত্রেঃ লেবুর সাথে বেল পাতার রস তৈরি করে যদি খাওয়া হয় তাহলে সেটা সর্দি কাশি কমাতে দারুন ভূমিকা রাখে। এজন্য বেল পাতার রস খেতে পারেন সর্দি-কাশি হলে।
- শরীরের জয়েন্ট ব্যথা কমাতেঃ আমরা অনেক সময়ে ধরে কাজ করার ফলে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা অনুভব করি। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় বেলের পাতা যদি গরম করে সেই স্থানে ভালো করে শেখ দেওয়া হয় তাহলে ব্যথা অনেকটা সেরে যায়।
- শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করেঃ সামান্য কিছু পরিশ্রম বা অল্প ঘাম থেকেই যাদের শরীর থেকে দুর্গন্ধ চলে আসে তারা বেলপাতার রস ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত যদি বেলপাতা রস খাওয়া হয় তাহলে এই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
- গ্যাস দূর করেঃ আর যদি গ্যাসের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে বেলপাতা রস করে খেতে পারেন। কারণ বেলের পাশাপাশি বেল পাতাতেও রয়েছে অনেক গুনাগুন।
খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা
এতক্ষণ পর্যন্ত আজকের এই আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন বেলের উপকারিতা
সম্পর্কে। আমাদের শরীরের জন্য আসলে এটা অনেক উপকারী। অনেকেই জানতে চেয়েছেন
খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা কি।তাই এখন আমরা আলোচনা করব খালি পেটে বেল
খাওয়ার উপকারিতা।
- খালি পেটে বেল খাওয়া হলে শরীরের জন্য উপকারী সকল উপাদানগুলো একসাথে পেয়ে যাচ্ছেন বেল থেকে।
- সকালে যদি খালি পেটে বেলের শরবত খাওয়া হয় তাহলে তা কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা দূর করে।
- যারা ব্রণের সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা সকালে যদি খালি পেটে বেল খাওয়া হয় তাহলে মুখের ব্রণ দূর করতে এটা অনেক ভূমিকা রাখবে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও রয়েছে অনন্য এক ভূমিকা।
- এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে খালি পেটে যদি শরবত খাওয়া হয় তাহলে তার ব্লাড প্রেসারও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- খালি পেটে যদি বেল খাওয়া হয় তাহলে তার শরীরের এনার্জিকে আরো অনেক বাড়িয়ে দেয় এবং মনও রাখে সতেজ।
- খালি পেটে যদি বেল কিনবা বেলের শরবত খাওয়া হয় তাহলে তা শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধের শক্তি অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
- বেলে থাকা ফাইভার আলসার সমস্যা উপশম করতে অনন্য এক ভূমিকা রাখে।
বেলের শরবত খাওয়ার সঠিক সময়
বেলের শরবত আমাদের অনেকের কাছে খুব পছন্দের একটা খাবার। এর গুনগুনও অনেক।
কিন্তু তবুও অনেকেরই অজানা বেলের শরবত খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে। তাই আজকের
এই আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব বেলের শরবত খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে।
বেলের শরবত খাওয়ার জন্য ছক বাধা কোন নির্ধারিত নিয়ম নেই।
এটা মূলত ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ এবং খাদ্যবাসের উপর নির্ভরিত। আপনি চাইলে
ক্ষুধা নিবারনের জন্য নাস্তার মাঝেও খেতে পারেন বেলের শরবত। এটা অধিক ফাইবার
এবং পুষ্টির অন্যতম একটি উৎস। একটু কাজ করার পর যখন আপনি ক্লান্ত বোধ হয়ে
যাবেন তখন খেতে পারেন বেলের শরবত। এর ফলে তার শরীরে এনার্জি ফিরিয়ে আনবে এবং
কাজের প্রতিও আগ্রহ এনে দিবে।
তবে সবথেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় যদি সকালবেলাতে পেলে শরবত খাওয়া হয়।
শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং বিভিন্ন রোগব্যাধিও দূর করে থাকে। আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য বিদেশ শরবত খাওয়ার গুরুত্ব অনেক।
আমাদের পরামর্শ
বেল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটা আমাদের শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য ক্যান্সার
যক্ষা ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অনন্য এক ভূমিকা রাখে। কিন্তু তবুও বেশি
বেশি বেল খাওয়া হলে তা কখনো কখনো পেটের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে এবং
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কখনো বিরূপ প্রভাব ফেলে তাই নিজের স্বাস্থ্যগত দিক খেয়াল
রেখে বেল খাবেন।
প্রিয় পাঠক, আজকের এই পোস্টে আমরা বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা । বেল
খাওয়ার সঠিক সময় সহ বেল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন এবং শেয়ারের মাধ্যমে সুযোগ করে
দিন এ সকল তথ্যসেবা অন্যদেরও পেতে। আর হ্যাঁ, এ সকল তথ্য সেবার নিয়মিত পেতে
ভিজিড করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি। ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url