পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত । পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ।
ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি জানতে চাপ দিনপেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত । পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এটি আজকের
আলোচনার প্রধান বিষয়। আমরা প্রায়ই পেট ব্যাথা সমস্যার শিকার হয়। বিভিন্ন সময়
দেখা যায় বাইরের খাবার খেয়েও সৃষ্টি হয় পেট ব্যথার। কিছু ঘরোয়া উপায়েও কমানো সম্ভ পেটে ব্যথা। তাই আজকে আমরা এর উপায় সম্পর্কে জানাবো। এছাড়াও আলোচনা করব পেট ব্যথা হওয়ার কারণ কি সম্পর্কেও ।
বর্তমান সময়ে অন্যতম এক সমস্যা হিসেবে বাড়ছে পেটব্যথা। আমরা সবাই ই কম বেশি এই
পেট ব্যথা সমস্যায় ভোগি। তাই এই সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানা উচিত। কিন্তু
অনেকেই জানেন না পেট ব্যথা কমানোর উপায় যা বিস্তারিত ভাবে থাকছে আজকের এই পোস্ট
জুড়ে। তাই অবশ্যই আপনার এই পেট ব্যথায় সমস্যা সমাধানের জন্য পোস্টটি শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
ভূমিকা
তাই সকলেরই পেট ব্যথার সমস্যা হয়। খাবারের ভিতরে বিভিন্ন অনিয়ম কিংবা এমন কিছু
খাবার খাওয়া যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য একদমই অস্বাস্থ্যকর । ফলাফল হিসেবে সৃষ্টি
হয় পেট ব্যাথা। পেট ব্যথা কমাতে হলে এমন কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো মেনে
চললে এ সমস্যা থেকে আপনার সমাধান মিলবে। যা আমরা এই পোস্টে আলোচনা করেছি ।
পেট ব্যথা হওয়ার কারণ কি
বিভিন্ন রকম কারণে পেটের ব্যথা হতে পারে। বর্তমান সময়ে এটি একটি সাধারণ সমস্যা।
পেটে ব্যথা হওয়ার কারণ যদি আপনার জানা থাকে তাহলে সচেতন থাকার মাধ্যমে পেটের
ব্যাথা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব। যেগুলো অনেকেরই অজানা। আপনি যদি এসব জানতে চান
তাহলে অবশ্যই জেনে নিন। কারণ এখন আমরা জানবো পেট ব্যথা হওয়ার কারণ কি।
বিভিন্ন সময়ে আমরা এমন কিছু খাবার খেয়ে ফেলি যেগুলো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া
যুক্ত। আমরা খালি চোখে এগুলো দেখতে না পাওয়ার কারণে অসতর্কতার স্বরূপ এগুলো
খাবারের সঙ্গে চলে যায় আমাদের পেটে। ফলাফল হিসেবে তৈরি হয় পেটব্যথা। আবার
অনেকেই রয়েছে যারা অনেক সময় ধরে না খেয়ে থাকে। আর এই না থেকে খাওয়ার জন্য হতে
পারে পেটের ব্যথা।
পেট ব্যথা হওয়ার পিছনে আরও অনেকগুলো কারণ থাকে। আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য
সেগুলো এখন বিস্তারিতভাবে তুলে ধরছি। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি সহজে বুঝে যাবেন পেটে
ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে।
- ফুড পয়জনিংঃ কোন খাবারে যদি ফুড পয়জনিং হয় আর সেটা যদি আপনি খেয়ে ফেলেন তাহলে তা পেটের ভিতর গিয়ে শুরু করে দিতে পারে বিদ্রোহ। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা, বমি বমি ভাব ডায়রিয়া এবং জ্বরও আসতে পারে। এর জন্য পেট ব্যথা হয়ে থাকে।
- বদহজম জনিতঃ প্রায় বিভিন্ন সময়ে পেটে বদহজম হয়ে থাকে। আর এই হজম ঠিকঠাকভাবে না হয়ে বদহজম হওয়ার ফলেও সৃষ্টি হয় পেট ব্যথা।
- গ্যাস্ট্রিকঃ অনেক সময় আমরা বাইরে ঘোরাফেরা করার সময় তেল জাতীয় প্রচুর ভাজাপোড়া খাবার খেয়ে ফেলি। অতিরিক্ত মাত্রায় এই তেল জনিত খাবার খাওয়ার ফলে বিভিন্ন সময় তা পেটে গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে। এ কারণে গ্যাস্টিকের কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে।
- ওষুধ সেবনঃ আমরা রোগ সারানোর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে ফেলি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে অন্য রোগের যদি ওষুধ সেবন করা হয় তাহলে সেটার ফলে পেট ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের মাদক প্রতিরোধি জ্বালাপাড়া প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং বিভিন্ন আ্যন্টিবায়োটিক সেবন করার ফলেও এটা হতে পারে।
- জীবাণু আক্রমণঃ বিভিন্ন কারণে যদি পেটের ভিতর জীবাণু ও কৃমি চলে আসে তাহলে পেটে ব্যথা হয়। এসব জীবনে আক্রমণের ফলে ফেটে ডায়রিয়া এবং পেট ব্যথার সহ ভূমি ও হতে পারে। এরকম সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- কিডনিতে পাথরঃ বিভিন্ন কারণে যখন কিডনিতে পাথর হয় ফলে তার মূত্রনালীতে চলাচল করলে পেটে ব্যথা হতে পারে। কিডনিতে যদি পাথর হয় তার লক্ষণ হচ্ছে প্রস্রাব জ্বালাপোড়া করে, প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া এমনকি দুর্গন্ধ হতে পারে।
- আলসারঃ বিভিন্ন সময় আলসার এর কারণও পেট ব্যথা হতে পারে। এ ব্যথা সাধারন তো পেটের উপরে এবং মাঝ বরাবর হয়ে থাকে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পেট ব্যথার কারণ গুলো।
পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত
পেট ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে তো জানলাম। কিন্তু অনেকেরই অজানা পেট ব্যথা হলে
কি খাওয়া উচিত । আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ এখন
আমরা আপনাকে জানাবো পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত। পেটে ব্যথা হলে অবশ্যই অধিক
তেল এবং বেশি ঝাল ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকুন।
পেটে ব্যথা কমাতে আপনি নরম ভাত খেতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের চা খেতে পারেন যেমন -
লেবু চা,আদা চা,পুদিনা পাতার চা,পিপারমেন্ট চা এবং ক্যামোমিল চা। এগুলো পেট ব্যথা
কমাতে বেশ উপকারী। বেশি বেশি করে পানি খান এবং খাবার স্যালাইন খেতে পারেন।
এছাড়াও কাঁচা কলা পেট ব্যথা কমাতে বেশ ভূমিকা রাখে এজন্য আপনি পেট ব্যথা কমানোর
জন্য কাঁচা কলা সেদ্ধ করে খেতে পারেন।
কিন্তু এর সাথে কোন রকম ঝাল ছাড়া খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পেট ব্যাথা হলে
বাইরের খাবার থেকে বিরত থেকে নিজের বাসায় তৈরি বিশুদ্ধ খাবার খান। কারণ বাইরের
খাবারে থাকে অনেক ধরনের ধুলোবালি এবং জীবাণু ভাইরাস। পেটে ব্যথা হলে দই খেতে
পারেন। কারণ দই প্রদাহ জডনিত সমস্যা দূর করতে অনেক ভূমিকা রাখে। আশা করছি আপনি
বুঝতে পেরেছেন পেটে ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত।
পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
বর্তমানে বেড়েই চলেছে পেট ব্যথা। অনেক সময় আমরা পেট ব্যথা কমাতে বিভিন্ন ধরনের
ওষুধ খেয়ে থাকি।কিন্তু উচ্চ মাত্রার এসব ওষুধ সবাই আমাদের পেটে সমস্যা হতে পারে।
তাই এই পেট ব্যথা কমাতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে খুব সহজে পেটের ব্যথা দূর
হয়। তো চলুন এবার জেনে নিন পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়।
- আদা চাঃ আপনি যদি পেটের ব্যথা কমাতে চান তাহলে অবশ্যই আধা দিয়ে চা খেতে পারেন। এটি সব ধরনের প্রদাহকে দূর করে। আদা চিবিয়েও খেতে পারেন।
- পর্যাপ্ত পানি পানঃ যাদের পেটে ব্যথা জনিত সমস্যা হয় তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সেবুন করুন।এভাবে বেশি বেশি করে যদি পানি খাওয়া হয় তাহলে শরীর থেকে টক্সিন বের করতে অনেক ভূমিকা রাখে।
- পুদিনা চাঃ পুদিনা পাতা দিয়ে চা তৈরি করে খেলে তা পেট ব্যথা কমাতে দারুন ভূমিকা রাখে। এজন্য পুদিনা পাতা খেয়ে সিদ্ধ করে নিয়ে তার সাথে কিছুটা মধু এবং মেশান। তৈরি হয়ে গেল পুদিনা চা।
- দইঃ বিভিন্ন সময় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করার ফলেও পেটে হতে পারে ব্যথা। পেটের এ ব্যথাও কমাতে পারে দই । দয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান সাহায্য করে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে । এছাড়াও ঝুঁকি কমায় সংক্রমণের।
- লেবু চাঃ লাল চা না খেয়ে পেট ব্যাথা কমাতে লেবু চা খান। কারণ লেবু চা পেট ব্যথা কমানোর জন্য অনন্য ভূমিকা রাখে। তাই পেট ব্যথা কমানোর জন্য লেবু চা খেতে পারেন। এর সঙ্গে কিছুটা মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়।
- কাঁচা কলাঃ পেটে ব্যথা জনিত সমস্যা হয়ে থাকলে কাঁচা কলা রান্না করে খাওয়া অথবা কাঁচা খোলা সিদ্ধ করে খেলে পেটে অনেকটা ব্যথা কমে এবং প্রদাহ কমিয়ে দেয়। এতে থাকে পটাশিয়াম ভিটামিন বি ৬ এবং ফলেট। এজন্য পেট ব্যথা কমাতে রয়েছে অনেক ভূমিকা।
- ক্যামোমিলঃ ক্যামোমিল পেট ব্যথা বদহজম এবং বমি ভাব সহ ডায়রিয়াতেও ভূমিকা রাখে দারুন ভাবে। এজন্য পেট ব্যথা কমাতে চাইলে আপনি ক্যামোমিল চায়ে আস্থা রাখতে পারেন।
- চালের জলঃ বাড়িতে রান্নার জন্য যে চাল ব্যবহার করা হয় সে চাল ধোয়ার জল যদি আপনি খান তাহলে পেটের ব্যথা কমাতে বেশ ভূমিকা রাখে। বদ হজমজনিত এবং গ্যাস সমস্যা থেকে এটা মুক্ত দেয়।
- জিরাঃ পেটের প্রদাহ দূর করতে জিরার রয়েছে অন্যতম ভূমিকা। টেবিল চামচ এর এক চামচ জিরা গুড়া করে তা স্রোতের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। এটা নিরাময় করে বিভিন্ন ধরনের রোগ। এভাবে খেলে দেখবেন আপনি অনেকটাই উপকার পেয়েছেন।
- নরম ভাতঃ পেটে ব্যাথা হলে অবশ্যই অনেক ধরনের মসলা জাতীয় খাবার না খেয়ে চেষ্টা করুন নরম ভাত খাবার। কারণ এই ভাতের ভেতরে কোন মসলা কিংবা লবণ জাতীয় কিছু থাকে না যে কারণে অধিক মসলাযুক্ত খাবার না খেয়ে নরম ভাত খান।
- পিপারমেন্ট চাঃ আদা কিংবা লেবু চা এর পাশাপাশি পেট ব্যথা কমাতে পিপারমেন্ট চা খুব ভালো কাজ করে। বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া সহ পেটব্যথা কমাতে প্রিপারমেন্ট খুব ভালো কাজ করে।
পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ
বিভিন্ন সময়ে পেটে হওয়া ব্যথা ও হতে পারে গরুতর রোগের কারণ। তাই এ বিষয়ে
অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। কিন্তু অনেক রকম কারণের জন্য পেটে ব্যাথা হতে পারে। তো
চলুন এবার জেনে আসা যাক পেটে ব্যথা কিসের লক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত। গ্যাস জনিত
সমস্যার কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে। শরীরের ভিতরে যদি গ্যাস নির্গমনের থেকে বেশি
পরিমাণে গ্যাস উৎপন্ন হয় ।
তাহলে তা জমতে থাকে পরিপাকতন্ত্রে। এর ফলে তা পরিপাক ক্রিয়া ব্যাহত করে এবং শুরু
হয় পেটব্যথা। অনেক সময় আবার বদ হজমের ফলেও পেট ব্যথা হয়। খাবার খাওয়ার পরে
যদি হজম ঠিকভাবে না হয় বমি বমি ভাব আসে তাহলে বুঝতে হবে তা বদহজমের ফলে হচ্ছে।
পেটের ডান বরাবর ও নিচের দিকে হঠাৎ করেই যদি তীব্র ব্যথা হয় তাহলে সেটা
অ্যাপেন্ডিসাইডের লক্ষণ।
এরকম ব্যথা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বিভিন্ন সময় আলসারের ব্যথার
কারণেও পেট ব্যথা হতে পারে। পেট ব্যাথার মাত্রা যদি বেশি হয় তাহলে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
হঠাৎ পেটে ব্যথা হলে করনীয়
বিভিন্ন সময় হঠাৎ করে আমাদের পেট ব্যাথা দেখা সৃষ্টি হয়। বর্তমান সময়ে এটা
প্রতিটা পরিবারে কারো না কারো হয়ে থাকে। অনেকে জানতে চেয়েছেন হঠাৎ পেটে ব্যথা
হলে করণীয় কি। তাহলে চলুন এবার জেনে আসি হঠাৎ পেটে ব্যথা হলে করনীয় নিয়ে
বিস্তারিত। পেট ব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে তার ভিতর একটি অন্যতম
গ্যাস্ট্রিকজনিত কারণ।
আপনার যদি গ্যাস্টিকের সমস্যার কারণে ব্যাথা হয় তাহলে আপনি গ্যাসের অ্যান্টাসিড
জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। এর ফলে গ্যাস নিরাময় হলে আপনার ফেটে ব্যথার ভাব অনেকটাই
কমে যাবে। পেটে ব্যথা বিভিন্ন রকম হয় এজন্য এর চিকিৎসার ডাক্তাররা বিভিন্ন রকম
দিয়ে থাকেন। পেটে ব্যথা হলে বেশি করে পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
বিভিন্ন সময় দেখা যায় না খেয়ে থাকার ফেলেও পেটে ব্যথা হয়। তাই ঠিকমতো
খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। বিভিন্ন সময় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার জন্য পেটে ব্যথা হয়।
এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করা ভালো। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন
হঠাৎ পেটে ব্যথা হলে করণীয় কি।
পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ | পেটে ব্যাথার ঔষধের নাম
এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত । পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া
উপায় সহ পেটে ব্যথা হওয়ার কারণ এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি।অনেকে জানতে চেয়েছেন যে পেটে ব্যথা হলে কি ধরনের ওষুধ খেতে হবে। তাই আমরা
এখন আলোচনা করব পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ বা পেটে ব্যাথার ঔষধের নাম সম্পর্কে।
পুরো পোস্ট জুড়রে আমরা আলোচনা করেছি পেটে ব্যথা কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে। আপনার পেট ব্যথা যদি প্রাথমিক পর্যায় হয় তাহলে ইনশাআল্লাহ এগুলো করার ফলে তা আপনার পেট ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখবে কার্যকরী। কিন্তু আপনার পেট ব্যথা যদি উচ্চতর লেবেল হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পেট ব্যাথা কমানোর জন্য কিছু ওষুধ পাওয়া যায় যেমন -
- গ্যাসের কারণে পেট ব্যথার দূর করার জন্য সেকলো - ২০ এমজি।
- ওমিপ্রাজল ও গ্যাসের জন্য পেটব্যথা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
- সার্জেল সাহায্য করে পেট ব্যথা কমাতে।
- ইসোটিড - ২০ এমজি খেলেও তা পেটে ব্যথা কমায়।
- প্যানটোপ্রাজল খেলেও তা পেট ব্যথা দূর করতে সাহায্যকারী।
- এন্টাসিড পেটে গ্যাস জনিত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
আশা করছি আপনি পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ বা পেটে ব্যাথার ঔষধের নাম সম্পর্কে
বিস্তারিত বিষয় সমূহ ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্য। পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত । পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ।
আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়েছি হঠাৎ পেটে ব্যথা হলে কি
খাওয়া উচিত পেট ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ও পেট ব্যথার সংক্রান্ত আরো বিভিন্ন
বিষয় নিয়ে বিস্তারিত। এই আর্টিকেলে আমরা অত্যন্ত সাবলীল ও সহজ ভাষায় আপনাদের
কে পেট ব্যথার বিভিন্ন ধরনের কারণ সমূহ নিয়ে সহজভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশা
করছি আপনি এগুলো খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
পেট ব্যথার সমস্যা যেন না হয় এজন্য
অবশ্যই আপনি সকল ধরনের ভাজাপোড়া ও তেল যুক্ত খাবার খুবই অল্প পরিমাণে খাবেন। তবে
সমস্যা হলে এগুলো না খাওয়াই ভালো। আজকের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে
তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। আর এই সকল তথ্য সেবার নিয়মিত পেতে ভিজিড
করুন আমাদের এই www.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি। এতক্ষণ ধরে সঙ্গে থাকার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url