মেদ কমানোর সেরা উপায় ও খাবার সম্পর্কে যেনে নিন
ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া পদ্ধতি জানুনআজকের পোস্টে আমাদের আলোচনার বিষয় মেদ কমানোর সেরা উপায় নিয়ে। মেদ সমস্যা খুবই
হতাশা জনক। এবং পেটে মেদের পরিমাণ বেশি হওয়ার ফলে শরীরে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আপনি যদি মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন।
কারণ আজকের পুরো পোস্ট জুড়ে থাকছে মেদ কমানো নিয়ে বিস্তারিত।
শরীরের যদি বেশি পরিমাণ মেধ হয় তাহলে নিজেকেও একটু অন্যরকম মনে হয়। কারণ যাদের
মেদ বেশি তাদেরকে মানুষ একটু অন্যরকম চোখে দেখে। আরে মেদ সমস্যায় অনেকে জীবন
যাপন করছে কিন্তু কিন্তু জানেনা মেদ কমানোর উপায় কি। যা আমরা জানাবো আজকের এই
পোস্টে। এ পোস্টে আমরা আপনাকে আরো জানাবো পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম কোনগুলো সে
বিষয় সম্পর্কেও।
ভূমিকাঃ
অনেকে শরীরের ওজন কমালেও মেদ কমাতে পারেনা। মেদ সমস্যা একটি দুঃখজনক বিষয়। কারণ
যাদের মেদ বেশি তাদের স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন চলতে অনেক ব্যাঘাত ঘটে। কিছু
পদ্ধতি যদি মেনে চলা যায় তাহলে দ্রুত মেদ কমে যায়। খাবার তালিকায় কিছু
পরিবর্তন আনলে এছাড়াও যদি ব্যায়াম করা হয় তাহলে কমে যায় মেদ খুব সহজে।
একবারে বেশি বেশি না খেয়ে অল্প পরিমাণ করে কিছু কিছু করে খেলে কি সমস্যা কমে
যায় অনেকটাই। কিন্তু অনেকে এসকল বিষয় সম্পর্কে জানেনা। যে সকল বিষয়ে নিয়ে
আজকের পুরো পোস্ট জুড়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনার মেদ সমস্যা কমানোর জন্য
অবশ্যই এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পেটের মেদ হওয়ার কারণ কি
পেটের মেদ কমাতে হলে তার আগে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে পেটের মেদ হওয়ার কারণ কি।
এটা জানা থাকলে মেদ কমানো যায় খুব সহজে। তাহলে চলুন এবার জেনে আসা যাক পেটে
মেয়ে ধরার কারণ কি।
- স্বাভাবিক ঘুমের থেকে যদি কম পরিমাণে ঘুমানো হয় তাহলে সেটা পেটে মেদ তৈরি করে। কারণ ঠিকভাবে না ঘুমানোর ফলে শরীরের চর্বি ঝরানোর প্রক্রিয়া হ্রাস পায়।
- গবেষণায় দেখা গেছে অর্ধেক মাথায় চিনি মিশ্রিত পানীয় পান করার ফলে মেদ বাড়ে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে থেকে অবশ্যই এগুলো বাদ দিতে হবে এছাড়াও অভ্যাস গড়ে তুলুন চিনি ছাড়া চা খাওয়ার।
- শারীরিক পরিশ্রম যদি একটু না করা হয় তাহলে বসে থাকার কারণে মেদ বাড়তে পারে।
- সঠিক মাত্রায় যদি প্রোটিন খাবার না হয় তাহলে সেটার ফলে সৃষ্টি হতে পারে পেটের মেদ।
- এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ যদি ঘুম না হয় তাহলে পেটপ মেদ সৃষ্টি হয়।
- রাতে খাওয়ার পর সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়া একটু বাদে অভ্যাস। এটার ফলে মেদ তৈরি হয়। খাবার পর সাথে সাথে ভরা পেটে ঘুমিয়ে গেলে সেটা হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই খাওয়ার পর সাথে সাথে না কিছু ঘন্টা পর ঘুমোতে হবে।
মেদ কমানোর সেরা উপায়
কিছু পদ্ধতি যদি মেনে চলা হয় তাহলে মেদ কমে যায় খুব সহজেই। তাই যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন এগুলো জানা দরকার। কিন্তু অনেকেই জানে না এসব উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন এবার জেনে নিন মেদ কমানোর সেরা উপায়।
আরও পড়ুনঃ যৌন রোগ কি ? এবং যৌন রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করবেন
- লেবুর শরবতঃ প্রতিদিন সকালে অবশ্যই লেবুর শরবত খেতে হবে। কারণ লেবুর শরবতে থাকে অনেক উপাদান যা সাহায্য করে শরীরের মেদ কমাতে। এজন্য আপনাকে একটি এগলা সেয়া পানির সাথে একটি লেবু চিপে শরবত বানিয়ে নিতে হবে। এভাবে প্রতিদিন যদি শরবত খাওয়া হয় তাহলে সেটা দ্রুত মেদ কমাই।
- চিনি কম খাওয়াঃ চিনি খাবার পরিমাণ একবারেই কমিয়ে দিতে হবে সবচেয়ে ভালো হয় চিনি না খাওয়া।
- বেশি বেশি পানি খাওয়াঃ পানি শরীরের জন্য জন্য অনেক উপকারী। মেদ কমানোর জন্য এটার কোন বিকল্প নেই। পানির শরীরে থাকা দূষিত পদার্থ বাইরে বের করে দিতে সহায়তা করে। তবে যে সকল ড্রিঙ্কস গুলোতে অ্যালকোহল এবং শীতের মাত্রা বেশ থাকে সেগুলো না খাওয়াই ভালো।
- ব্যায়াম করাঃ প্রতিদিন যদি নিয়ম করে ব্যায়াম করা যায় তাহলে সেটা শরীরের মেদ কমাতে বেশি উপকারী। ব্যায়াম করার ফলে শরীরের ওজনও বাড়তে পারে না এবং মেদও কমে যায়।
- উচ্চ তেলযুক্ত খাবার না খাওয়াঃ উচ্চ তেল যুক্ত খাবার থেকে তো একদমই দূরে থাকতে হবে যদি মেদ কমাতে হয়। কারণ উচ্চতর খাবার শরীরে চর্বি জমায় অধিকহারে।
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণঃ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে মেদ কমে যাবে।
- ফাইবার জাতীয় খাদ্য খাওয়াঃ ফাইবার জাতীয় খাদ্য খাওয়ার ফলে মেদ কমে যায়। তাই মেদ কমাতে হলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।
- ফল ও সবজি খেলেঃ প্রতিদিন যদি ফল ও সবজি খাওয়া হয় তাহলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত হয় ।এছাড়াও মিনারেল সহ ভিটামিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন প্রচুর ফল হলো শাকসবজি খেতে হবে।
- একসঙ্গে অধিক খাওয়ার নয়ঃ পেটের মেদ কমাতে খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। একসঙ্গে বেশি খাবার না খেয়ে কিছু ঘন্টার ব্যবধানে অল্প করে খান। এতে হজম শক্তি ভালো থাকে।
পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম কোনগুলো
কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো করার ফলে শরীর থেকে মেদ কমে যায় খুব সহজে। কিন্তু
অনেকেই জানেন না এসব ব্যায়াম সম্পর্কে। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এবার
জেনে নিন পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম কোনগুলো। লেগ রেইস ব্যায়াম মেদ কমাতে উপকারী।
তাই এই ব্যায়াম করার ফলে মেদ কমে।
লেগ রেইস ব্যায়াম সম্পর্কে আপনারা সবই জানেন তাই এ সম্পর্কে আর বললাম না। সাইড
লেক লিফটস ব্যায়াম করলে মেদ খুব সহজে ঝরে তাই এই ব্যায়মটি করতে পারেন।
স্ট্যান্ডিং লেগ রেজ ব্যায়াম করতে হবে। এর মানে হচ্ছে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে একটি
পা সামনের দিকে তুলতে হবে এবং কিছু সেকেন্ড এভাবে রাখার পর ধীরে ধীরে নামিয়ে
ফেলতে হবে ।
এবং একটু বিশ্রাম সেরে নিতে হবে।তারপর আবার অন্য পা এভাবে করে নিতে হবে। এভাবে
যদি ১০- ১৫ বার করা হয় তাহলে কয়েক মাসের ভিতরে পেট মেদ কমে যাবে। এছাড়াও মেদ
কমাতে হলে জগিং করার কোন বিকল্প নেই।
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
এতক্ষণ আমরা পেটে মেদ হওয়ার কারণ এবং কমানোর উপায় সহ বিভিন্ন কিছু আলোচনা
করলাম। মেদ কমাতে হলে হলে কিছু খাবার খাওয়া ভালো যেগুলো মেদ কমাতে সাহায্য
করে। তো চলুন এবার জানা যাক পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে।
- মেদ কমাতে হলে মটরশুঁটির খাওয়া হলে সেটা মেদ কমাতে অনেক সাহায্য করে। কারণ নিয়মিত যদি এই মোটরসুটি খাওয়া হয় তাহলে সেটা চর্বি কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়ে।
- শসা খেলে মেদ কমে যায় কারণ শসাতে আছে অধিক পরিমাণে ক্যালরি।
- আপেলে থাকি অধিক পরিমাণ ফাইবার তাই যদি মেদ কমাতে চান তাহলে আপেল খেলে মিলতে পারে এর সমাধান। কারণ আপেলে রয়েছে ফাইবার যা মেদ জমতে দেয় না।
- মেদ কমাতে মটরশুঁটির রয়েছে অন্যতম ভূমিকা। এতে থাকা প্রোটিন ও ভিটামিন গুলো শরীর এর জন্য অনেক উপকারী।
- কালোজিরা খাওয়া হলে সেটা মেদ কমাতে উপকারী।
- প্রতিদিন যদি লেবু খাওয়া হয় তাহলে সেটা শরীরের চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। তবে বেশি পরিমাণে লেবু খাওয়ার ফলে করা ক্ষেত্রে এসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- গ্রিন টি খাওয়ার ফলে চর্বি কমে যায়। কারণ গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা সাহায্য করে শরীরে শরীরের মাত্রা কমাতে।
- এছাড়াও মেদ কমাতে হলে শর্করা জাতীয় খাবার খেতে হবে।যেমন কামরাঙ্গা তেতুল জলপাই।
- চিয়া বীজ খাওয়ার ফলে দ্রুত হারে চর্বি কমে। তাই চর্বি কমাতে প্রতিদিন কমাতে দুই চামচ করে চিয়া বীজ খাওয়া দরকার।
ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমবে যে ভাবে
এমন অনেকেই রয়েছে যারা ব্যায়াম করতে পারে না। কিন্তু মেদ কমানোর উপায় জানতে
চায়। আপনিও যদি এই সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে চলুন এবার জেনে নিন
ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমবে যে ভাবে।
- প্রত্যেকদিন সকালে এক গ্লাস লেবুর শরবত পান করুন। পানির সাথে লেবু ভালোভাবে চেপে নিন। এরপর এর সাথে একটুখানি লবণ ভালোভাবে গুলিয়ে নিয়ে খেয়ে নিন।এটা আপনার মেদ কমাতে অনেক সাহায্য করবে।
- চীনে যুক্ত খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে যদি আপনি ব্যায়াম না করে মেদ কমাতে চান। পানি খাওয়ার ফলে সেটা দেহের ভেতর থেকে রক্তের ক্ষতিকর উপাদান গুলো প্রসবের দ্বারা বের করে দেয়।
- প্রতিদিন সকালে অবশ্যই দুই থেকে তিন কুয়া রসুন খেতে পারেন। এবং তারপর পরে লেবুর রস খেয়ে নিন। এটা আপনার শরীরের মেদ কমতে উপকার করবে।
- অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস থেকে নিজেকে দূরে রেখে সবজি জাতীয় খাবার খান।
- তাড়াহুড়ো করে খাবার না খেয়ে সময় নিয়ে ধীরে ধীরে খাবার খান। এটা আপনার খাবার খেয়ে সহজে হজম করতে সাহায্য করবে। ফলে ঠিকভাবে হজম হওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বিও জমতে পারে না।
- যেকোনো ধরনের মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। আশা করছি আপনি বিস্তারিত বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মন্তব্য
পেটের মেদ কমাতে হলে বেশি বেশি করে পানি পান করুন। প্রত্যেকদিন ব্যায়াম করুন
এবং অধিক তায়ালযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন। আজকের পোস্টে আমরা মেদ কমানোর
উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করছি আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এই
সকল দিকগুলো মেনে চললে খুব সহজেই পথ পায় আপনার মেদ।
পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে দিন। আপনার একটি
শেয়ারের মাধ্যমে সুযোগ করে দিন অন্য সবাইকেও এ সকল তথ্য হিসেবে পেতে এবং
নিয়মিত ভিজিড করুন আমাদের এইwww.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি। কারন আমরা
নিয়মিত নিত্য নতুন পোস্ট লিখে থাকি। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url