ডিহাইড্রেশন হলে কি খেতে হবে যেনে নিন

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় জানুনআজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব ডিহাইড্রেশন হলে কি খেতে হবে সম্পর্কে। আপনি যদি হাইড্রেশন নিয়ে জানতে চান তাহলে পোস্টটি হতে যাচ্ছে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ । ডিহাইড্রেশন এর সমস্যায় আমরা সবাই ভোগি। কিন্তু অনেকেরই অজানা ডিহাইড্রেশন হলে কি খেতে হয়। যে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে আজকের পুরো পোস্ট জুড়ে।
বর্তমানে যে রোদ আর গরম পড়া শুরু হয়েছে তাতে ডিহাইড্রেশন আরো বেশি সমস্যাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ডিহাইড্রেশন হলে কি খেতে হয় এবং সে সম্পর্কে জানা দরকার যায় পোস্টে জেনে যাবেন। এছাড়া এ পোস্টে আরো জানতে পারবেন ডিহাইড্রেশন এর লক্ষণ সম্পর্কেও। তাই অবশ্যই আপনার জন্য এ সকল তথ্যগুলো জানতে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভূমিকা 

ডিহাইড্রেশন সমস্যায় পড়ে না এরকম মানুষ নেই। ডিহাইডেশনের শিকার হলে শরীর অনেক দুর্বল হওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তা জানা দরকার এ সময় কি খাবার খেতে হয়। যেগুলো জানলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো হলে বুঝতে হয় যে ডি হাইড্রেশন হয়েছে।

বিভিন্ন সময় আবার ডিহাইড্রেশনের শিকার হয়ে অনেকের অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে বলার বাইরে। ডিহাইড্রেশন এর মাত্রা যদি বেশি হয়ে যায় কখনো কখনো তাহলে আবার কিডনি সহ মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আরো বিস্তারিত বিষয় গুলো জানতে পারবেন আজকের এই পোস্টে।

ডিহাইড্রেশন এর লক্ষণ

কিছু লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়েছে। কিন্তু অনেকেই জানে না এসব লক্ষণ গুলো সম্পর্কে। তো চলুন এবার জেনে নিন ডিহাইড্রেশন এর লক্ষণ গুলো।

  • ডিহাইড্রেশন  হলে মাথা ব্যথা অনুভূত হয়। 
  • ডিহাইড্রেশন  হলে মানুষের বেশি বেশি পিপাসা অনুভূত হয়। 
  • স্বাভাবিকের চেয়ে যখন প্রস্রাবের  মাত্রা পরিবর্তন হয়ে আরো কম হয়  হয় এটা হতে পারে হাইড্রেশনের কারণ।
  • শরীরে যখন ডিহাইড্রেশন  সমস্যা চলে আসে তখন কোষ্ঠকাঠিন্য  সৃষ্টি হয় । 
  • শরীরে যখন ডিহাইড্রেশন হয় তখন শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যায়। 
  • ত্বক যখন শুষ্ক হতে শুরু করে বুঝতে হবে শরীরের ডিহাইড্রেশন হচ্ছে। 
  • বিভিন্ন সময় ডিহাইড্রেশনের ফলে চোখে আবছা ভাব চলে আসে। 
  • মেজাজের র খুব পরিবর্তন হয় আগের তুলনায়।
  • ডিহাইড্রেশনের ভাব হলে নিঃশ্বাসে এক ধরনের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। 
  • রক্তচাপের পরিমাণ নিম্ন হয়ে যায়। 
  • খুব অল্পতেই শরীরে অলসতা ভাব চলে আসে। 

ডিহাইড্রেশন হলে কি খেতে হবে

ডিহাইড্রেশন সমস্যায় প্রায় সবাই ভোগে থাকে । কিন্তু জানেনা কি ডিহাইড্রেশন হলে কি খেতে হবে। যেগুলো আপনার জানা দরকার। এসব জেনে থাকার ফলে ডিহাইড্রেশন সময়ে আপনার অনেক কাজে দিবে। তো চলুন এবার জেনে নিন ডিহাইড্রেশন হলে কি খেতে হবে সম্পর্কে।

আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন কতটুকু লবণ খাওয়া দরকার যেনে নিন 

  • ডাবঃ ডিহাইড্রেশন সমস্যা প্রতিরোধ করতে ডাবের পানি খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম সোডিয়াম সহ অনেক উপকারী উপাদান। তাই ডিহাইড্রেশনের ডাব খেলে মিলবে অনেক উপকার। 
  • শসাঃ শসা এমন একটি ফল যার পানির পরিমাণ ৯৫ ভাগ। তাইতো সমস্যা খাওয়ার ফলে শরীরে খুব দ্রুত পানি শূন্যতা দূর হবে। 
  • টক দইঃ টক দই রয়েছে অনেক ভিটামিন এবং পানিও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই ডিহাইড্রেশনের সময় টক দই খেলে অনেক উপকার মিলে। 
  • তরমুজঃ তরমুজ এমন একটা ফল যেখানে পানির পরিমাণ খুব বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। তাইতো ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে অন্যতম এক উৎস  হলো তরমুজ। 
  • টমেটোঃ ৯৪ ভাগ পানির অন্যতম ফল টমেটো। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সালাত কিংবা জুস করেও টমেটো খাওয়া যায়। 
  • স্ট্রবেরিঃ ডিহাইড্রেশন  হলে স্ট্রবেরি খেলে অনেক উপকার মিলে।কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে এবং শরীরে পানি শূন্যতা ভাব কমায়। 

ডিহাইড্রেশনের চিকিৎসা

এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম ডিহাইড্রেশন হলে কি খেতে হবে এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে । অনেকে জানেন ডিহাইড্রেশনের চিকিৎসা সম্পর্কে। তো চলুন এবার জেনে আসি ডিহাইড্রেশনের চিকিৎসা সম্পর্কে । ডিহাইড্রেশন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই বেশি বেশি স্যালাইন যুক্ত পানি খেতে হবে।

ডিহাইড্রেশনের সময় মানুষের শরীর থেকে ঘামের সাথে বের হয়ে যায় লবণ ও পানি। তাই এ সময় বেশি বেশি স্যালাইন পানি খাওয়া উচিত। এছাড়াও খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। যদি সমস্যা আরো বেশি রকম হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ডিহাইড্রেশন কত প্রকার

অনেকেই জানতে চান হাইড্রেশন কত প্রকারের হয়। একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে অবশ্যই আপনার এটা জানা দরকার। তো চলুন জেনে নিন ডিহাইড্রেশন কত প্রকার 
ডিহাইড্রেশনকে মূলত ভাগ করা হয় তিনটি ভাগে। 
  • হাইপোটনিকঃ শরীরে যখন হাইপোটনিক ডিহাইড্রেশন হয় তখন শরীরে ঘাটতি দেখা তাই ইলেকট্রোলাইটের। 
  • হাইপারটনিকঃআমাদের শরীরে যখন জলের অপূর্ণতা সৃষ্টি হয় তখন এটা হচ্ছে হাইপারটনিক ডিহাইড্রেশন। 
  • আইসোটনিকঃ আইসোটনিক ডিহাইড্রেশন যখন হয় তখন শরীরে একসাথে দুই ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়। অর্থাৎ জলেরও ঘাটতি হয় এবং সাথে ইলেকট্রোলাইটেরও অভাব তৈরি হয়। 

ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তির উপায়

কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে মিলতে পারে আপনার ডিহাইড্রেশনের সমস্যার সমাধান। তো চলুন এবার জানা যাক  ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে -
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে সাথে সাথে এক গ্লাস পানি খাওয়া।
  • ভাজাভুজি খাবার বেশি খাওয়ার ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তাই এসব খাবার থেকে দূরে থাকুন।
  • অতিরিক্ত চা কিংবা কফি খাওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
  • বেশি বেশি খাবার স্যালাইন খেতে হবে। গরমের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ বের হয়ে যায় ঘামের মাধ্যমে। তাই ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তির জন্য খাবার স্যালাইন খাওয়ার বিকল্প নেই।
  • বেশি বেশি শাকসবজি জাতীয় খাবার খাওয়া।

ডিহাইড্রেশনের কারণ

ডিহাইড্রেশন সমস্যায় তো সবাই ভোগে।কিন্তু অনেকেরই অজানা ডিহাইড্রেশনের কারণ কি। যে বিষয় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আপনিও যদি না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কারণ নেই। কারণ এখন আমরা আপনাকে যানাবো হাইড্রেশনের এসব কারণ সম্পর্কে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে জল না থাকলে ডিহাইড্রেশন হয়।

শরীর সুস্থ থাকার জন্য আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক মতো থাকতে হয়। কিন্তু প্রচন্ড গরমে যখন শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে লবণ পানি বের হয়ে যায়। এ অবস্থায় শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি হয়। যেটা কারণ হয় ডিহাইড্রেশনের। প্রচন্ড গরম আবহাওয়া এবং আপনার বাড়িতেও যদি উষ্ণতা অনেক বেশি হয় তাহলে সেটার ফলেও ডিহাইড্রেশন হয়। এই সময় বেশি বেশি পানি পান করুন।

শিশুর ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ

শুধু বড় মানুষই না। ডিইড্রেশনের শিকার হতে পারে ছোট বাচ্চারাও। ছোট বাচ্চার এসব ডিহাইড্রেশন যত তাড়াতাড়ি বোঝা যায় ততই উত্তম। তাই অবশ্যই আপনার জানা দরকার শিশুর ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ গুলো কি কি। তাহলে চলুন এবার জেনে নিন লক্ষণগুলো।
  • খুবই কম প্রস্রাব হওয়া।
  • শিশুর ভেতরে এক ধরনের মন্দ্যভাব দেখা যায়। 
  • যখন কান্না করে তখনও চোখে জলের পরিমাণ কম হয় এবং চোখের এক ধরনের শুষ্কতা  সৃষ্টি হয়। 
  • শিশুর যখন ডিহাইড্রেশন  হয় তখন ঠোঁট এবং মুখের চারপাশ শুঁকে যায়। 
  • প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায় 
  • এছাড়া যখন শিশু ডিহাইড্রেশনের  শিকার হয় তখন সব সময় কান্নাকাটি করতে থাকে। 

আমাদের মতামত 

ডিহাইড্রশন সমস্যা সমাধানে অবশ্যই সব সময় বেশি বেশি পানি পান করুন। সবজি জাতিয় খাবার খান করণ এগুলো আপনার শরীরে পুষ্টি ও পানির শূন্যতা দূর করবে। অনেক পোস্টটি আজকের পুরো পোস্ট জুড়ে আমরা ডিহাইড্রেশন হলে কি খেতে হবে,ডি হাইড্রেশন এর লক্ষণ ও প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আশা করছি এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনি অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করে দিন। এবং সুযোগ করে দিন অন্যদেরও এ সকল তথ্য সেবা পেতে, আর এই সকল তথ্য সেবার নিয়মিত পেতে ভিজিড করুন আমাদের এই WWW.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url