ওয়াইফাই কি.? Wi-fi এর বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা অসুবিধা সমূহ

ইন্টারনেট কি  ও সুবিধা অসুবিধা  জানুনআজকের এ পোস্টে আমরা আপনাকে জানাবো ওয়াইফাই কি.? Wi-fi এর বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা অসুবিধা সমূহ । বর্তমান সময়ে wi-fi কথাটার সাথে আমরা বেশ পরিচিত। কিন্তু আপনি কি ওয়াইফাই কি এবং ওয়াইফাই এর বৈশিষ্ট্য কি তা কি জানেন না । wi-fi সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। চিন্তার কোনই কারন নেই। তাহলে আজকের এ পোস্টটি আপনার জন্যই।
ওয়াইফাই আমাদের নেটওয়ার্ক সিস্টেম এর নতুন এক মাত্রা। যা আমদের জীবনকে আরও সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু জানেন না Wi-Fi ( ওয়াইফাই ) কি এবং ওয়াইফাই এর সুবিধা অসুবিধা কি । তাইতো এ পোস্টে আমরা জানাবো এ বিষয়গুলো সম্পরকে। শুধু কি তাই, আমরা আরও জানাবো Wi-fi (ওয়াইফাই) এর বৈশিষ্ট্য গুলোও, তো আর দেরি কেন।চলুন শুরু করা যাক-

ভূমিকাঃ 

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তির যতগুলো আবিষ্কার রয়েছে তার মধ্যে ওয়াইফাই একটি। এটি আমাদের সবাইকে একসাথে পাশাপাশি থাকতে বেশ অবদান রাখে।বলা যায় প্রায় আমাদেরকে বেঁধে রেখেছে এক সুতোয় । কিন্তু অনেকেই এর নাম জানলেও এটা জানে না যে ওয়াইফাই কি এর বৈশিষ্ট্য কি। এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। কারণ এ পোস্টে আমরা জানাতে যাচ্ছি ওয়াইফাই কি এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলো।শুধু কি তাই আরো জানাবো ওয়াইফাই এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলোও।

(Wi-Fi) ওয়াই -ফাই   কি..??

Wirless Fidelity শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ Wi-fi হচ্ছে LAN (Local area network ) এর ওয়ারলেস ব্যবস্থা। এর সাহায্যে পোর্টেবল বা বহনযোগ্য ডিভাইসকে (ল্যাপটপ কম্পিউটার ডিজিটাল অডিও প্লেয়ার, ভিডিও গেম কনসোল,মোবাইল ফোন সহজে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করা হয় । ওয়াইফাই এর স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে IEEE 802.11

আরও  পড়ুনঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি.? |এর প্রকারভেদ ও ব্যবহার সমূহ | 

যা একটি ওয়ারলেস বা তারবিহীন LAN স্ট্যান্ডার্ড। বিভিন্ন পোর্টেবল ডিভাইস ও ফিক্সড ডিভাইস এর মধ্যে নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহৃত হয়। ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক যুক্ত এলাকা বা অঞ্চল (WI-FI)ওয়াইফাই  হটস্পট (Hotspot ) নামে পরিচিত। 

Wi-Fi - এর বৈশিষ্ট্য ( Characteristics  of Wi-Fi ) :

  • এটি IEEE 802.11 স্ট্যান্ডার্ডে ওয়ারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক।
  • নেটওয়ার্কের জন্য কোন ধরনের কেবল এর প্রয়োজন নেই।
  • নেটওয়ার্কে সহজে নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত করে নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়ানো যায়।
  • কভারেজ এরিয়া 40 থেকে 200 মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
  • একাধিক এক্সেস পয়েন্টের জন্য নেটওয়ার্কিং সুবিধা রয়েছে।
  • চ্যানেল ব্যান্ডউইথ 52 সাব -ক্যারিয়ারের জন্য 20 MHz নির্দিষ্ট।
  • এর প্রাথমিক ফ্রিকুয়েন্সির ব্যান্ড 2.4 GHz হলেও বর্তমানে এ ব্যান্ড 5 GHz পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • সিগনাল নয়েজ ( Signal to -noise ratio SNR ) সর্বোচ্চ 10dB ( decibel ) ।
  • হাফ ডুপ্লেকিং মোড ব্যবহার করা হয়।
  • বাধা মুক্ত সিগন্যাল ট্রান্সফারের জন্য বিভিন্ন ধরনের এনক্রিপশন সুবিধা রয়েছে।
  • এর ব্যান্ডউইথ 10 Mbps — 50 Mbps ।
  • ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ডের জন্য কোন লাইসেন্স বা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
  • 802. 1 1 b এবং 802.11g স্ট্যান্ডার্ডের জন্য ফ্রিকোয়েন্সি হোপিং ( Frequency - hoping ) সুবিধা প্রদান করে।
  • মিডিয়া এক্সেস কন্ট্রোলের জন্য CSMA/CA ( Career sense Multiple Access with Collison Avoidance) প্রটোকল ব্যবহার করা হয় ।
  • এতে ৬৪ চ্যানেলের OFDM ( Orthogonal frequency-division multiplexing ) এবং MIMO ( Multiple- Input and Multiple -output ) টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় |



Wi-Fi এর সুবিধা সমূহ ( advantages of Wi-Fi ) :

বর্তমান সময়ে ওয়াইফাই আমাদের নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তুলেছে । ওয়াইফাই (Wi-Fi) এর অনেক সুবিধা রয়েছে । তাহলে চলুন এবার জেনে নিন সব সুবিধা সম্পর্কে।

  • এটি সম্পূর্ণভাবে তার বিহীন লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ( WLAN ) ব্যবস্থা ।
  • ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের জন্য সরকারি অনুমোদের প্রয়োজন হয় না।
  • এর সাহায্যে ইন্টারনেট এক্সেস করা হয়।
  • LAN ব্যবহার করে বাসাবাড়ি, অফিস, হোটেল ক্যাফে, বিশ্ববিদ্যালয়, এয়ারপোর্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তার বিহীন ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়।
  • IEEE 802.11b ও 802.11g স্ট্যান্ডার্ডে ভালো ফ্রিকোয়েন্সি পাওয়া যায় ।
  • Wi-Fi কার্ড ব্যবহার করে বাধা মুক্ত ভাবে একই সাথে কথা বলা যায়।

Wi-Fi এর অসুবিধাসমূহ (Disadvantages of Wi-Fi ) :

ওয়াইফাই(Wi-Fi) এর যেমন সুবিধা রয়েছে তেমন কিছু অসুবিধা রয়েছে। তবে এর সুবিধার দিকি বেশি। তো চলুন এবার যানা যাক ওয়াইফাইয়ের অসুবিধা সম্পর্কে -

  • নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব দুর্বল |
  • ডেটা ট্রান্সফারের গতিবেস ধীরগতি সম্পন্ন |
  • বিস্তৃত  এলাকা ব্যাপী ডেটা  আদান-প্রদান করা যায় না |
  • মাসিক রিচার্জ এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেল অটোমেটিকলি ওয়াইফাই ডিসকানেক্ট করে দেয়। ফলে সেই সময়ে নেট চালানোর জরুরি হলেও ওয়াইফাই ব্যবহার করা যায় না। 

ওয়াইফাই এর জনক কে 

ডাচ কম্পিউটার বিজ্ঞানী ভিক্টর ভিক হেয়েস ( vic Hayes) - কে ওয়াইফাই এর জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি ডেফট ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে কর্মরত অবস্থায় IEEE 802.11 স্ট্যান্ডার্ডের ওয়াইফাই আবিষ্কার করেন।

ওয়াইফাই এর মাসিক বিল কত

সাধারণভাবে একটি ওয়াইফাই Wifi এর মাসিক বিল নেট স্পিডের উপর নির্ভর করে। যত বেশি Mbps স্পিডের নেট ব্যবহার করবেন তত বিল আসবে। কিন্তু এমন অনেকেই আছে যারা মনে করে যে ওয়াইফাই এর বিল নির্ভর করে মূলত আমরা কতটা ব্যবহার করছি তার ওপর। এ ধারণাটা একদমই ভুল। তবে ওয়াইফাইয়ের মাসিক বিল সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা আছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানি দাম বাড়াতেও পারে আবার কমাতেও পারে।

লেখকের  মতামত: 

Wi-Fi ( ওয়াইফাই ) এর কিছু অসুবিধা থাকলেও সুবিধা অনেক বেশি। আজকাল প্রায় সব জায়গাতেই Wi-Fi ব্যবহার হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে Wi-Fi ( ওয়াইফাই ) যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা। Wi-fi যেহেতু নেটওয়ার্কের জন্য কোন ধরনের কেবল ব্যবহার করতে হয় না তাই সুবিধাও অনেক। তাই সর্বোপরি বলা যায় Wi-fi বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় প্রচলিত একটি ইন্টারনেট সিস্টেম।

এতক্ষণ তো Wi-Fi কি এবং ওয়াইফাই এর সুবিধা অসুবিধা সমূহ জানলেন। পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর হ্যা,সবার আগে আপডেট তথ্যসমূহ পেতে, এবং আপনার বন্ধু কিংবা আশপাশের মানুষকে পৌছে দিতে অবশ্যই ওয়েবসাইটটি শেয়ার করে দিন এবং ভিজিড করুন আমাদের WWW.multiplebd.com ওয়েবসাইট টি । ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url