আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি.? |এর প্রকারভেদ ও ব্যবহার সমূহ |
ভুমিকাঃ
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি..?
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর প্রকারভেদ :
১. ANI ( Artificial Narrow Intelligence) :ANI হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট এরিয়াতে এক্সপার্ট। যেমন -যে মেশিন দাবা খেলতে পারবে সে শুধু দাবায় ভালো পারবে দাবা খেলা থেকে লুডু খেলা সহজ হওয়া সত্ত্বেও তাকে দাবা খেলার পরিবর্তে যদি লুডু খেলতে হয় সে পারবেনা ।
আরও পড়ুনঃ ন্যানো টেকনোলজি কি? এর প্রয়োগ, ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা
২. AGI ( Artificial General Intelligence) :কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে AGI। এটাকে Strong AI,বা Human - Level AI ও বলা হয়।এধাপে কম্পিউটার মানুষের মতো চিন্তা, পরিকল্পনা, সমস্যা সমাধান করতে পারবে।
৩. ASI ( Artificial super Intelligence ) : এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৃতীয় ধাপ। কম্পিউটার যখন মানুষ থেকেও বুদ্ধিমান হবে তখন তাকে বলবো আর্টিফিশিয়াল সুপার ইনটেলিজেন্স।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রয়োগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা হয় । যেমন - LSP, CLLSP , PROLOG , java ইত্যাদি |
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ( Application of AI ) :
- ই-মেইলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ফিল্টারের মাধ্যমে “ স্প্যাম ” হিসেবে চিহ্নিত করে।
- ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কোন একজনক ক্রেতার পূর্বের কেনাকাটা ও অন্যান্য ব্যবহারকারীদের কেনাকাটা তুলনামূলক পার্থক্য পার্থক্য বুঝতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে যেমন- Amazon বা Netflix ।
- ব্যাংকে গ্রাহকের একাউন্টে অদ্ভুত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে তা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয়।
- কৃত্রিম বুদ্ধমত্তার অ্যাপ্লিকেশন মানুষের কথাও নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। intelligent personal assistan, আমাজন “আলেক্রা ” বা আ্যপল এর “সিরীয় ” এর কথা মনে করতে পারি ।গাণিতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে।
- রোবট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে।
- স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে।
- মানুষ্যবিহীনগাড়ি এবং বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে।
- স্মার্টফোনে স্বয়ংক্রিয় গেম তৈরিতে ।
- রিমোট সেন্সিং কাজে।
- চিকিৎসাবিদ্যা ক্ষেত্রে।
- Automated online Assistants - এর মাধ্যমে কাস্টমার সার্ভিস প্রধানের ক্ষেত্রে।
- প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ খুঁজে বের করার কাজে।
- ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের সূক্ষ্ম ভুল ত্রুটি শনাক্তকরণে।
- এক্সপার্ট সিস্টেম পরিকল্পনা ও তৈরি করার ক্ষেত্রে
- Self Driving Cars অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে যা মানুষের কষ্ট কমিয়ে দেবে ।
- ক্ষতিকর বিস্ফোরক শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় করার কাজে।
শেষ কথা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃতিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনকে আরও সহজ থেকে সহজতর করেছে। এটি আমাদের জীবনকে আরো অনেক বেশি উন্নত করতে পারে এবং সৃজনশীল শক্তিতে অনেক বেশি দক্ষ করে তুলতে পারে।বর্তমান সময়ে সব জায়গাতেই এটি ব্যবহার হচ্ছে । সর্বোপরি বলা যায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা অনেক।
তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধার পাশাপাশি কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের সব সময় এটা মনে রাখা দরকার যে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এ আই এমন একটি যন্ত্র যা ভালো এবং মন্দ সকল কাছে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদের উচিত এটাকে সবসময় ভালো কাজে ব্যবহার করা এবং দায়িত্বশীল থাকা।
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ তো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর প্রকারভেদ ও ব্যবহার সমূহ নিয়ে বিস্তারিত জানলেন। আশা করছি এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনি অনেক কিছুই জানতে পারলেন। পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর হ্যাঁ, এ সকল তথ্য সেবা পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিড করুন। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন খবরাখবর নিয়ে পোস্ট লিখে থাকি। ধন্যবাদ।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url