সাওম কি ? সাওমের গুরুত্ব ও শিক্ষা

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়এ পোস্টে আমরা আপনাকে জানাবো সাওম কি ? সাওম এর গুরুত্ব ও শিক্ষা সম্পর্কে। সাওম আল্লাহ তায়ালার নিকট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি এবাদত। কিন্তু আপনি কি সাওম কি এবং সাওমেরর গুরুত্ব শিক্ষা সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন। তাহলে একদম সঠিক ওয়েবসাইটে এসেছেন। তো চলুন বিস্তারিত যেনে নিন- 
সাওমের মাধ্যমে আল্লাহ তার বান্দার কাছে অনেক প্রিয় হয়ে ওঠে। তাই অবশ্যই আপনার জানা দরকার সাওমের গুরুত্ব কি ? ও সাওমের গুরুত্ব কি। এ পোস্টে আমরা সবই আপনাকে জানাবো। শুধু কি তাই , এ পোস্টে আমরা আপনাকে আরো জানাবো সাওমের নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক শিক্ষা সম্পর্কে।যে বিষয়গুলো আপনার জানা দরকার। তাহলে চলুন শুরু করা যাক -

ভূমিকা

সাওম বা রোজা যেটাই বলি না কেন। এটা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ফরজ। আল্লাহতালার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য এটি একটি পরীক্ষা। সাওম পালনকারিকে আল্লাহতায়ালা এত পরিমান ভালোবাসেন যে, শুধু সাওম পালনকারি ব্যাক্তি নয়, সাওন পালনকারী ব্যক্তির মুখের গন্ধও আল্লাহতালার নিকট খুব পছন্দনীয়। তাহলে এবার যেনে নিন সাওম কি সাওমের গুরুত্ব ও শিক্ষা নিয়ে বিস্তারিত -

সাওম কি...??

সাওম আরবি শব্দ। এর ফারসি প্রতিশব্দ হলো রোজা।সাওম এর অভিধানিক অর্থ হলো বিরত থাকা। ইসলামের ৫ টি স্তম্ভের ভিতরে সাওম অন্যতম একটি স্তম্ভ। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় সাওম হলো সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিয়তের সাথে পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা।প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক নারী ও পুরুষের উপর রমজান মাসের একমাস সাওম পালন করা ফরজ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাওমের শিক্ষা ও গুরুত্ব অপরিসীম।

সাওমের ধর্মীয় গুরুত্ব..?? 

ধর্মীয় দিক থেকেও সাওমের অনেক গুরুত্ব রয়েছে সকল সৎ কাজের প্রতিদান আল্লাহ ১০ গুন থেকে ৭ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিবেন। কিন্তু সাওমের প্রতিদিন সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, আল্লাহ  তাআলা বলেন -

❝ সাওম আমার জন্য আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো।❞  ( বুখারী )

যেহেতু সওয়াবের আশায় আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাওম পালন করা হয় সেহেতু আল্লাহ তায়ালা রোজাদারের পূর্বে সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেন।❞ যেমন মহানবী সাঃ বলেন -

যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও সওয়াবের আশায় রমজান মাসে রোজা রাখে আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেন ( বুখারী ) 

এটি একটি মৌলিক ফরজ কাজ। যদি কেউ তা অস্বীকার করে তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। 

সাওমের নৈতিক শিক্ষা....?? 

সাওম কেবল আমাদের উপরে ফরজ নয় বরং পূর্বের সকল নবী রাসূলের উম্মতের উপর ফরজ ছিল। এর মাধ্যমে সাওম পালনকারীর আর্থিক উৎকর্ষ সাধিত হয়। সাওমের মাধ্যমে মানুষের মনে তাকওয়া

 ( আল্লাহভীতি)  ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। ক্ষুধা  ও তৃষ্ণার কাতর হয়েও মানুষ মহান আল্লাহর ভালোবাসা ও ভয় কিছু পান আর করে না ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি লাভ করে না। 

মহান আল্লাহ বলেন -

❝তোমাদের উপর সাওম ফরজ করা হয়েছে। যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা তাকওয়া  ( আল্লাহভীতি ) অর্জন করতে পারো। ❞ [ সূরা আল বাকারা আয়াত ১৮৩ ]

আমরা তাকওয়া অর্জনের জন্য রমজান মাসে সিয়াম পালন করব। 

মানুষ লোভ- লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ ,ক্রোধ -ক্ষোভ ও কামভাবের বশবর্তি হয়ে অনেক মন্দ কাজে লিপ্ত হয়। সাওম মানুষকে এসব কাজ থেকে মুক্ত থাকতে শেখায়। সাওম হল কোন ব্যক্তি ও তার মন্দ কাজের মাঝে ঢালস্বরপ।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন – ❝ সাওম (রোযা) ঢালস্বরূপ  ❞। [ বুখারী ও মুসলিম ]

সর্বোপরি সাওম পালনের মাধ্যমে দৈহিক মানসিক ও আত্মিক প্রশান্তি অর্জিত হয়। 

সাওমের সামাজিক শিক্ষা..?? 

সিয়াম সাধনার ফলে সমাজের লোকদের মাঝে পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহমর্মিতা সৃষ্টি হয়। সাওম পালনকারি  ব্যক্তি ক্ষুধার্ত থাকার ফলে সে অন্য আরেকজন অনাহারির ক্ষুধার জ্বালা সহজে বুঝতে পারে।ক্ষুধা ও পিপাসার যন্ত্রণা যে কি রূপ পীড়াদায়ক হতে পারে সেটা উপলব্ধি করতে পারে। এতে অসহায় নিরন্ন মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতার ভাব জাগ্রত হয়। 

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন —❝এ মাস  সহানুভূতির মাস ❞ ( ইবনে খুযায়মা )

রমজান মাসের রাসূলুল্লাহ( স.) অন্যদের দান-সদকা করতে যেমন  উদ্ধত করছেন তিনি নিজেও তেমনিভাবে খুব দান-সদকা করতেন। 

হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেন  ---

❝রাসূলুল্লাহ (স.)  লোকদের মধ্যে অধিক দানশীল ছিলেন। বিশেষ করে রমজান এলে তার দানশীলতা আরো বেড়ে যেত।❞  ( বুখারী ও মুসলিম ) 

সাওম অসহায় ও দরিদ্রকে দান করতে উদ্বুদ্ধ করে। 

শেষ কথা

আল্লাহতায়ালার যতগুলো বিধি-বিধান রয়েছে তার মধ্যে সাওম একটি। সাওম এমন একটি এবাদত যার প্রতিদান আল্লাহতালা নিজ হাতে দেন। সাওম পালনকারীকে আল্লাহতালা অনেক ভালবাসেন। তাই আমাদের সবার উচিত আল্লাহতালা যাদের উপর এবং যে বয়স থেকে শুরু করে সাওম ফরজ করেছেন, অবশ্যই সাওম পালন করা।

প্রিয় পাঠক। এতক্ষণ তো সাওম কি সাওমের সামাজিক শিক্ষা ধর্মীয় গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানলেন। পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা এই পোস্টের মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর হ্যাঁ, এ সকল তথ্য সেবা পেতে অবশ্যই আমাদের এই WWW.multiplebd.com ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিড করুন। আপনার বন্ধু কিংবা আপনার আশপাশের মানুষদেরও এসব তথ্য সেবা পাওয়ার জন্য অবশ্যই ওয়েবসাইটটি শেয়ার করে দিন। ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url