সাওম কি ? সাওমের গুরুত্ব ও শিক্ষা
ভূমিকা
সাওম কি...??
সাওমের ধর্মীয় গুরুত্ব..??
ধর্মীয় দিক থেকেও সাওমের অনেক গুরুত্ব রয়েছে সকল সৎ কাজের প্রতিদান আল্লাহ ১০ গুন থেকে ৭ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিবেন। কিন্তু সাওমের প্রতিদিন সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন -
❝ সাওম আমার জন্য আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো।❞ ( বুখারী )
যেহেতু সওয়াবের আশায় আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাওম পালন করা হয় সেহেতু আল্লাহ তায়ালা রোজাদারের পূর্বে সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেন।❞ যেমন মহানবী সাঃ বলেন -
যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও সওয়াবের আশায় রমজান মাসে রোজা রাখে আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেন ( বুখারী )
এটি একটি মৌলিক ফরজ কাজ। যদি কেউ তা অস্বীকার করে তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে।
সাওমের নৈতিক শিক্ষা....??
সাওম কেবল আমাদের উপরে ফরজ নয় বরং পূর্বের সকল নবী রাসূলের উম্মতের উপর ফরজ ছিল। এর মাধ্যমে সাওম পালনকারীর আর্থিক উৎকর্ষ সাধিত হয়। সাওমের মাধ্যমে মানুষের মনে তাকওয়া
( আল্লাহভীতি) ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কাতর হয়েও মানুষ মহান আল্লাহর ভালোবাসা ও ভয় কিছু পান আর করে না ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি লাভ করে না।
মহান আল্লাহ বলেন -
❝তোমাদের উপর সাওম ফরজ করা হয়েছে। যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা তাকওয়া ( আল্লাহভীতি ) অর্জন করতে পারো। ❞ [ সূরা আল বাকারা আয়াত ১৮৩ ]
আমরা তাকওয়া অর্জনের জন্য রমজান মাসে সিয়াম পালন করব।
মানুষ লোভ- লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ ,ক্রোধ -ক্ষোভ ও কামভাবের বশবর্তি হয়ে অনেক মন্দ কাজে লিপ্ত হয়। সাওম মানুষকে এসব কাজ থেকে মুক্ত থাকতে শেখায়। সাওম হল কোন ব্যক্তি ও তার মন্দ কাজের মাঝে ঢালস্বরপ।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন – ❝ সাওম (রোযা) ঢালস্বরূপ ❞। [ বুখারী ও মুসলিম ]
সর্বোপরি সাওম পালনের মাধ্যমে দৈহিক মানসিক ও আত্মিক প্রশান্তি অর্জিত হয়।
সাওমের সামাজিক শিক্ষা..??
সিয়াম সাধনার ফলে সমাজের লোকদের মাঝে পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহমর্মিতা সৃষ্টি হয়। সাওম পালনকারি ব্যক্তি ক্ষুধার্ত থাকার ফলে সে অন্য আরেকজন অনাহারির ক্ষুধার জ্বালা সহজে বুঝতে পারে।ক্ষুধা ও পিপাসার যন্ত্রণা যে কি রূপ পীড়াদায়ক হতে পারে সেটা উপলব্ধি করতে পারে। এতে অসহায় নিরন্ন মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতার ভাব জাগ্রত হয়।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন —❝এ মাস সহানুভূতির মাস ❞ ( ইবনে খুযায়মা )
রমজান মাসের রাসূলুল্লাহ( স.) অন্যদের দান-সদকা করতে যেমন উদ্ধত করছেন তিনি নিজেও তেমনিভাবে খুব দান-সদকা করতেন।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেন ---
❝রাসূলুল্লাহ (স.) লোকদের মধ্যে অধিক দানশীল ছিলেন। বিশেষ করে রমজান এলে তার দানশীলতা আরো বেড়ে যেত।❞ ( বুখারী ও মুসলিম )
সাওম অসহায় ও দরিদ্রকে দান করতে উদ্বুদ্ধ করে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url