এইডস কি.? এইডস কিভাবে ছড়াই এইডস প্রতিরোধের উপায়সমুহ
ভূমিকাঃ
AIDS কি.......????
AIDS শব্দটির অর্থ হলো, অর্জিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঘাটতির লক্ষ্মণ সমষ্টি । AIDS কে এভাবেও বলা যায়....।
A = Acquired ( অর্জিত ), এডস কি এবং এইডস কিভাবে প্রতিরোধ করবেন
I = immune ( রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা ),
D = Deficiency ( অভাব ),
S = Syndrome (লক্ষ্মণ, লক্ষ্মণসমষ্টি )
AIDS রোগের জন্য HIV ভাইরাস কে ( Human immuno- deficiency Virus) দায়ী করা হয়। শরিরে HIV ভাইরাস প্রবেশের সাথে সাথে লক্ষণ প্রকাশ পায় না। AIDS এর চূড়ান্ত লক্ষণ প্রকাশের ৭/৮ বছর সময় লেগে যায়। মূলত AIDS বলতে ভিন্ন ভিন্ন রোগকে বুঝায় না।শরিরের HIV ভাইরাস প্রবেশ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায়। এর ফলে শরীরে যে কোন অন্য রোগ তার স্থায়ী অধিপত্য গড়ে তোলে।যেমন - জ্বর হলে সে জ্বর আর ভালো হয় না ।
আরও পড়ুনঃ যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানুন
AIDS রোগটি নিজে নিজে আসে না। এটি বহুলাংশে মানুষ নিজেই ডেকে আনে। বাংলাদেশর বর্তমান AIDS পরিস্থিতি ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এইডস সম্পর্কে কিছু লোককে প্রশ্ন করা হলে জানায় ❝ নাম জানি না,তবে রোগ একটি এ রকম আছে,তা শুনেছি। ❞
AIDS : এইডসের একমাত্র পরিচয় এটা ঘাতক ব্যাধি। সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে এটি একটি আতঙ্ক। ১৯৮১ সালের পূবে মানুষ এ ঘাতক ব্যাধি সম্পর্কে তেমন কিছু জানতে পারিনি। রবার্ট সি গ্যালো এবং ড. লুক মন্টাগলিয়ের AIDS রোগের জীবানু চিহ্নিত করেন।
আজকের পৃথিবী AIDS এর কারণে এক চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আক্রান্ত হয়েছে এইডস মহামারীতে। আর অনেক দেশে চলছে এ রোগের ধির ও নিরব বিস্তৃতি।
AIDS কিভাবে ছড়ায়....???
আজকের পৃথিবী HIV এইডসের কারণে এক চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন আমরা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আক্রান্ত হয়েছে AIDS মহামারীতে। বর্তমান পৃথিবীতে এর ঘাতক ব্যাধি বেড়ে চলেছে এবং অকালে ঝরে যাচ্ছে পৃথিবীর তাজা প্রাণ।
আরও পড়ুনঃ যৌন রোগ কি ? এবং যৌন রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করবেন
এইডস ( AIDS ) রোগের বিস্তার : AIDS এর বিস্তার নিম্নরূপ:
- আরক্ষিত যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে এ রোগের বিস্তার ঘটে । AIDS রোগে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে এইডস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- AIDS আক্রান্ত কোন ব্যক্তির ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, সুচ,ব্লেড, রেজার, ক্ষুর, সার্জিকাল যন্ত্রপাতি প্রভৃতি জীবনমুক্ত করে ব্যবহার না করলে এ রোগের বিস্তার ঘটে।
- এইডস আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির রক্ত সুস্থ শরীরে প্রবেশ করলে তারও এইডস হয়।
- AIDS আক্রান্ত মাতার সন্তান ও এইডস আক্রান্ত হয়। বুকের দুধ থেকেও এ রোগের বিস্তার ঘাটে ।
- বিয়ট্রিস হ্যান ( আলবামা বিশ্ববিদ্যালয় ) দেখান যে, মানুষ AIDS রোগটি শিম্পাঞ্জির থেকে গ্রহণ করেছে। শিম্পাঞ্জির দেহে এ রোগ হয়। শিম্পাঞ্জির মাংস ভক্ষণ করার মধ্য দিয়ে মানব দেহে এ রোগের বিস্তার ঘটে ।
এইডস প্রতিরোধের উপায় সমূহ :
- AIDS এর ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে জনগণকে সজাগ ও সচেতন করে তুলতে হবে।
- পুরুষ ও নারী সবার বহুগামীতা হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে।
- সব ধরনের মাদকদ্রব্যের সেবন বন্ধ করতে হবে।
- AIDS আক্রান্ত নারীকে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
- অন্যের সুচ, সিরিঞ্জ,ব্লেট রেজার জীবন মুক্ত করে ব্যবহার করতে হবে।
- রক্ত নেওয়ার সময় রক্ত পরীক্ষা করে নিতে হবে।
- WHO ঘোষণা করেছেন যে, AIDS প্রতিরোধের ধর্মীয় শিক্ষাদান এবং যথাযথ নির্মল আচরণ প্রবর্তনের চেয়ে আর কোন কিছুই সহায়তা হতে পারে না। [ ইত্তেফাক ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪। ]
- স্বামী স্ত্রীর ছাড়া অন্যের সাথে যৌন মিলন থেকে বিরত থাকার মানসিক প্রবৃত্তি গড়ে তুলতে হবে ।
- সমাজে পতিতাদের পতিতাবৃত্তি থেকে মুক্ত করে অন্য উপায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
- বিদেশি কুরুচিকর ছায়াছবি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে হবে।
মাল্টিপল বিডির নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url